বোরহানউদ্দিনে ওয়ারিশি সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলমান। আওয়ামী লীগের আমলেও একাধিকবার শালিসি হলেও হয়নি কোন সমাধান, গত ১০/১২ দিন আগে জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি তার ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে অপরপক্ষ জিসান, জাহিদ তার ক্রয়কৃত ও ওয়ারিশ সম্পত্তি দাবী করে ঘর নির্মাণে বাঁধা দেন। জাহাঙ্গীর বাঁধা অতিক্রম করেও ঘরের কাজ চলমান রাখেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম সেজওয়াল ওই বাজারের, বাজার কমিটির সহ-সভাপতি হওয়ায় তাকে জাহিদ ও তার ভাই জিসান বিষয়টি জনান- একপর্যায়ে মাসুম সেজওয়াল বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল আলম নাসিম কাজীকে অবহিত করেন। পরে নাসিম কাজী সহ স্হানীয় ২০/৩০ জন শালিশ করেন। জাহাঙ্গীর থেকে ৫ পয়েন্টেরও বেশি ও একই এলাকার মালেক মুন্সি থেক ২ পয়েন্ট ৩৪ মোট জমি পায় মালেক মুন্সি ও জাহাঙ্গীর থেকে ৮ শতাংশ জমি পাওনা হন জিসান গংরা। এই জমির সমাধান দিতে গিয়ে যুবদল নেতা মাসুম সেজওয়ালকে মিথ্যা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাংবাদিকদের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায় এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
অন্যদিক ওয়ারিশ সম্পত্তি মালিক জিসান ও জাহিদ সংবাদ সম্মেলন বলেন – আওয়ামী লীগের আমলে আমাদের মা বেঁচে থাকতে এই জমি ভোগ করতে দেয়নি, স্হানীয় রা কোন সমাধান দিতে পারেনি। পরে স্হানীয় যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম সেজওয়াল ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল আলম নাসিম কাজী ওনাদের দ্বারস্থ হই। গত মঙ্গলবার দুপুরে পর স্হানীয় নেতৃবৃন্দ সহ শালিসি করে, জাহাঙ্গীর ও মালেক মুন্সি দুইজনের কাছ থেকে ৮ শতাংশ জমি আমরা পাওনা হই। আমাদেরকে বুজিয়ে দেন। জিসান আরো বলেন- এই জমিকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর সহ স্হানীয় একটি চক্র আমাদের নামে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে যমুনা প্রতিদিন নামে একটি নিউজ পোর্টালে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে সংবাদ পরিবেশন করা হয়।এই মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আর সেই সাথে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অনুরোধ থাকবে ঘটনাস্থলে এসে সঠিক তথ্য উদঘাটন করে সংবাদ পরিবেশন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে যুবদল নেতা মাসুম সেজওয়াল বলেন- জাহাঙ্গীর আমার শত্রু না বরং একই এলাকায় বসবাস করি ভালো সম্পর্ক। অপরপক্ষ জিসান ও জাহিদ তারা দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী তাদের মা মারা যাওয়ার পর স্বপন ফরাজী ও বাবুল ফরাজি কাছ থেকে ওয়ারিশ সম্পত্তি পাওনা হয়। তাদেরকে দেই দিচ্ছি বলে দীর্ঘদিন ধরে জমি বুজ দেওয়া হয়নি, এই দিকে বাবুল ফরাজি থেকে জাহাঙ্গীর ২০ বছর আগে ২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে, ওই জমি জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করে আসছে, গত ১০/১২ দিন আগে জাহাঙ্গীর তার ক্রয় কৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে জিসন ও জাহিদ বাঁধা দেন। পরে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি ও নাসিম কাজী সহ ২০/২৫ জন স্হানীয় লোকজন বসে চুল ছিঁড়া বিশ্লেষণ করে জাহাঙ্গীর ও মালেক মুন্সি ৮ শতাংশ জমি দেনা হন। এই রায় কার্যকর করতে গেলে স্হানীয় একটি চক্র জাহাঙ্গীরকে ভুল বাল বুজিয়ে সাংবাদিকদের এনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে যমুনা প্রতিদিন নামে একটি নিউজ পোর্টাল থেকে আমার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে সংবাদ পরিবেশন হয়। আমি এই সংবাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশ্য বলবো ঘটনাস্থলে এসে আসল রহস্য উদঘাটন করে সংবাদ পরিবেশন করবেন।