উত্তরায় বসবাসরত বেশকিছু স্থায়ী বাসিন্দারার অভিযোগ, তাদের বাড়ি আবাসিক এলাকায় হলেও কোন কারণ ছাড়া ওয়াসার কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান টিপু বাণিজ্যিক বিল দিয়ে বাড়ির মালিকদেরকে হয়রানি করে আসছে। দাগ ১৫৯, রানাভোলা, উত্তরা, ঢাকা সুরুজ্জামানের আবাসিক বাড়িতে কমার্শিয়াল বিল করেছে। কিন্তু কেন এই বিল করেছে তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জিয়াউর রহমান টিপু অতিরিক্ত টাকা ঘুষ না পেলে ইচ্ছেমত কমার্শিয়াল বিল বানিয়ে বাড়ির মালিকদের থেকে হাতিয়ে নেন টাকা।
আর টিপুর পিছনে রয়েছে ওয়াসার বেশ কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, উত্তরা জোনের ওয়াসার অফিসার জিয়াউর রহমান টিপু অফিসে থাকেন না। কাজ করতেও দেখা যায় তাকে। তার বিপরিতে ওয়াসার নিয়মবহির্ভূত আরেক ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে কাজ করানোর ভায়াবহ অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
ঢাকা ওয়াসা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। নিয়ম অনুযায়ী বাসায় গিয়ে মিটারের রিডিং দেখে পানির বিল ইস্যু করার কথা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিটার রিডাররা সে কাজটি করেন না। ঘরে বসে মনগড়া রিডিং বিলে তুলে দেওয়ায় বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওয়াসার মিটার রিডারদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আছে, তারা নিজেরা কাজ না করে বহিরাগত লোক ভাড়া করেন। তাদেরই মিটারের রিডিং দেখতে বাসায় বাসায় পাঠানো হয়। এ রকম ভাড়াটে বহিরাগতরা ‘ডুপ্লি’ নামে পরিচিত। তারাও রিডিং না দেখে ঘরে বসে বিল করেন। একেকজন মিটার রিডারের রয়েছে একাধিক ডুপ্লি। মাসিক কিছু টাকা দিয়ে তাদের পোষেন মিটার রিডাররা। ডুপ্লিরাও গ্রাহকের কাছ থেকে সুযোগ বুঝে উপরি আদায় করেন। ঢাকা ওয়াসায় বছরের পর বছর চলছে এমন অপকীর্তি। দীর্ঘ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ডুপ্লিদের নিয়ে এসব চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। খোঁজ মিলেছে প্রায় শখানেক ডুপ্লির।