ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হতে চাই : মোস্তফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ২০১৮ সালে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছি। এ সফলতা ধরে রেখে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরিত হতে চাই।

তিনি বলেন, টেলি কমিউনিকেশনের মূল উদ্দেশ্য হলো, একটি দেশের পুরো জনসংখ্যাকে যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসা। করোনা এবং এর পরবর্তী সময়ে টেলিকম নেটওয়ার্কের ব্যবহার অনেক বেড়ে যায়। দৈনন্দিন কাজকর্মে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে থাকে।

এ সময় মন্ত্রী নিরবচ্ছিন্ন সার্ভিস দেওয়ার জন্য টেলিকম অপারেটর ও হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমার বিশ্বাস, এই সহযোগিতা গুলোর মাধ্যমে ফাইভজি প্রযুক্তি দ্বারা আমাদের পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের দিকে নিয়ে যাবে। আমরা ইতোমধ্যেই ফাইভজি ইন্টারনেটের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চালিয়েছি। এই প্রযুক্তির ফলে সারা বাংলাদেশের মানুষ একটি যোগাযোগ ব্যবস্থার ভেতর চলে আসবে।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালে আমাদের ২জি ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৩ সালে থ্রিজি এবং ২০১৮ সালে ফোরজি ইন্টারনেটে প্রবেশ করি। দ্রুতই আমরা ৫জি ইন্টারনেটে প্রবেশ করবো।

ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে টেকনোলজি বাংলাদেশের হেড অব মিডিয়া তানভীর আহমেদ, এশিয়াটিক ৩৬০ এর মিডিয়া রিলেশনস অফিসার উম্মে সালমা প্রমুখ।

চীনের শেনঝেনে অনুষ্ঠিত মূল আয়োজনে হুয়াওয়ে আন্তর্জাতিক টেলি কমিউনিকেশন ইউনিয়নের পার্টনার টু কানেক্ট ডিজিটাল অ্যালায়েন্সে (জোট) যোগদানের জন্য একটি বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি স্বাক্ষর করেছে। এ উদ্যোগটি ২০২৫ সালের মধ্যে ৮০টিরও বেশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ১২ কোটি মানুষকে কানেক্টিভিটি সুবিধার আওতায় নিয়ে আসবে।

হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া প্রতিষ্ঠানটির ২০২২ সাসটেইনেবিলিটি ফোরাম, কানেক্টিভিটি+, ইনোভেট ফর ইম্প্যাক্ট এ এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ঘোষণা করেন। কীভাবে আইসিটি উদ্ভাবন ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে কানেক্টিভিটির ব্যবসায়িক ও সামাজিক অগ্রগতি এবং স্থায়িত্বকে ত্বরান্বিত করতে পারে, ফোরামে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

মোস্তাফা জব্বারের পাশাপাশি আইটিইউ এবং জাতিসংঘের সিনিয়র নেতারা, কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তানের টেলিকমমন্ত্রী, নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা অনলাইনে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে ড. লিয়াং বলেন, ডিজিটাল যুগে স্থিতিশীল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের বিষয়টি মানুষের মৌলিক চাহিদা। যারা সংযোগ বিহীন রয়েছেন, তাদের জীবন পরিবর্তনের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে নির্ভরযোগ্য কানেক্টিভিটি। তিনি আরও বলেন, সুবিধাজনক যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হতে চাই : মোস্তফা জব্বার

আপডেট সময় ১২:০১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ২০১৮ সালে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছি। এ সফলতা ধরে রেখে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরিত হতে চাই।

তিনি বলেন, টেলি কমিউনিকেশনের মূল উদ্দেশ্য হলো, একটি দেশের পুরো জনসংখ্যাকে যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসা। করোনা এবং এর পরবর্তী সময়ে টেলিকম নেটওয়ার্কের ব্যবহার অনেক বেড়ে যায়। দৈনন্দিন কাজকর্মে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে থাকে।

এ সময় মন্ত্রী নিরবচ্ছিন্ন সার্ভিস দেওয়ার জন্য টেলিকম অপারেটর ও হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমার বিশ্বাস, এই সহযোগিতা গুলোর মাধ্যমে ফাইভজি প্রযুক্তি দ্বারা আমাদের পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের দিকে নিয়ে যাবে। আমরা ইতোমধ্যেই ফাইভজি ইন্টারনেটের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চালিয়েছি। এই প্রযুক্তির ফলে সারা বাংলাদেশের মানুষ একটি যোগাযোগ ব্যবস্থার ভেতর চলে আসবে।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালে আমাদের ২জি ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৩ সালে থ্রিজি এবং ২০১৮ সালে ফোরজি ইন্টারনেটে প্রবেশ করি। দ্রুতই আমরা ৫জি ইন্টারনেটে প্রবেশ করবো।

ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে টেকনোলজি বাংলাদেশের হেড অব মিডিয়া তানভীর আহমেদ, এশিয়াটিক ৩৬০ এর মিডিয়া রিলেশনস অফিসার উম্মে সালমা প্রমুখ।

চীনের শেনঝেনে অনুষ্ঠিত মূল আয়োজনে হুয়াওয়ে আন্তর্জাতিক টেলি কমিউনিকেশন ইউনিয়নের পার্টনার টু কানেক্ট ডিজিটাল অ্যালায়েন্সে (জোট) যোগদানের জন্য একটি বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি স্বাক্ষর করেছে। এ উদ্যোগটি ২০২৫ সালের মধ্যে ৮০টিরও বেশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ১২ কোটি মানুষকে কানেক্টিভিটি সুবিধার আওতায় নিয়ে আসবে।

হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া প্রতিষ্ঠানটির ২০২২ সাসটেইনেবিলিটি ফোরাম, কানেক্টিভিটি+, ইনোভেট ফর ইম্প্যাক্ট এ এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ঘোষণা করেন। কীভাবে আইসিটি উদ্ভাবন ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে কানেক্টিভিটির ব্যবসায়িক ও সামাজিক অগ্রগতি এবং স্থায়িত্বকে ত্বরান্বিত করতে পারে, ফোরামে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

মোস্তাফা জব্বারের পাশাপাশি আইটিইউ এবং জাতিসংঘের সিনিয়র নেতারা, কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তানের টেলিকমমন্ত্রী, নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা অনলাইনে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে ড. লিয়াং বলেন, ডিজিটাল যুগে স্থিতিশীল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের বিষয়টি মানুষের মৌলিক চাহিদা। যারা সংযোগ বিহীন রয়েছেন, তাদের জীবন পরিবর্তনের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে নির্ভরযোগ্য কানেক্টিভিটি। তিনি আরও বলেন, সুবিধাজনক যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।