ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদেরসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা। পটুয়াখালীতে অগ্নিকাণ্ডে ৬ টি দোকান পুড়ে ভস্মিভূত, ক্ষতি অর্ধ কোটি টাকা এসআই কামাল প্রত্যাহার হলেও এএসআই তানভীর বহাল তবিয়তে গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে চলছে বুঙ্গার ব্যবসা বৈষম্য বিরোধীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা গাজীপুরে দিন দিন কমছে বনভূমি-জলাশয়,বাড়ছে দখলকারী কবিরহাটের অবৈধ ইটভাটা ভেঙ্গে দিয়েছে প্রশাসন জাফলংয়ে জুম পাড় কেটে পাথর উত্তোলন, হুমকিতে বল্লাঘাট মন্দির ও ফসলি জমি মিঠাপুকুরে ওয়ার্ল্ডভিশণ কতৃক শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ দিশেহারা ইটভাটার মালিকেরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি ক্রেতা শূন্য ইটভাটা নাগেশ্বরীর কচাকাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্বসাধারণের জন্য এম্বুলেন্স প্রধান

গাজীপুরে সদরে অভিযানে ৩ একর বনভূমি উদ্ধার

  • মোঃ মিলন সরকার
  • আপডেট সময় ১১:৫০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫০৮ বার পড়া হয়েছে

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।ঢাকা নিয়ন্ত্রিত ভাওয়াল রেঞ্জের অধীনে সম্প্রতি অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর বিটের বাঘের বাজার শিরিরচালা হিজড়া পট্টি এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

উল্লেখ্য, ৫ই আগস্টের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। এ সুযোগে গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয় হয়ে ওঠে ভূমিদস্যুরা। তারা বনের খাস জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। ভবানীপুর বিট অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের মাহনা ভবানীপুর মৌজায় ১১.৭২ একর বনভূমি দখল হয়ে গেছে।

যেখানে কয়েক হাজার নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ঘর নির্মাণকারীদের বেশিরভাগই উচ্চ শ্রেণির ব্যক্তি, যারা মূলত ভাড়া দেওয়া বা বিক্রির উদ্দেশ্যে বাড়িগুলো নির্মাণ করেছেন।
সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। রোববার জেলা প্রশাসন, গাজীপুর, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ এবং বন বিভাগের যৌথ অভিযানে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালিত হয়। অভিযানে মোট ৩ একর সংরক্ষিত বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়, যেখানে অবৈধভাবে নির্মিত দ্বিতল ভবন,দোকানপাটসহ বিভিন্ন ধরনের ছোটো বড়ো মোট ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়, যার বাজার মূল্য ১০কোটি টাকা। এই অভিযানে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ এবং বন বিভাগ যৌথভাবে অংশ নেয়।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জানান, ৫ই আগস্টের পর দখল হওয়া বনভূমিতে নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। ইতিপূর্বে এই রেঞ্জের আওতাধীন আরও দুটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে, এবং ভবিষ্যতেও সকল বিট এলাকায় এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অভিযানকালে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মঈন খান এলিস, বন বিভাগের ভাওয়াল রেঞ্জের রেঞ্জার মোঃ মাসুদ রানাসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা এবং বনকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদেরসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা।

গাজীপুরে সদরে অভিযানে ৩ একর বনভূমি উদ্ধার

আপডেট সময় ১১:৫০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।ঢাকা নিয়ন্ত্রিত ভাওয়াল রেঞ্জের অধীনে সম্প্রতি অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর বিটের বাঘের বাজার শিরিরচালা হিজড়া পট্টি এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

উল্লেখ্য, ৫ই আগস্টের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। এ সুযোগে গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয় হয়ে ওঠে ভূমিদস্যুরা। তারা বনের খাস জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। ভবানীপুর বিট অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের মাহনা ভবানীপুর মৌজায় ১১.৭২ একর বনভূমি দখল হয়ে গেছে।

যেখানে কয়েক হাজার নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ঘর নির্মাণকারীদের বেশিরভাগই উচ্চ শ্রেণির ব্যক্তি, যারা মূলত ভাড়া দেওয়া বা বিক্রির উদ্দেশ্যে বাড়িগুলো নির্মাণ করেছেন।
সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। রোববার জেলা প্রশাসন, গাজীপুর, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ এবং বন বিভাগের যৌথ অভিযানে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালিত হয়। অভিযানে মোট ৩ একর সংরক্ষিত বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়, যেখানে অবৈধভাবে নির্মিত দ্বিতল ভবন,দোকানপাটসহ বিভিন্ন ধরনের ছোটো বড়ো মোট ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়, যার বাজার মূল্য ১০কোটি টাকা। এই অভিযানে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ এবং বন বিভাগ যৌথভাবে অংশ নেয়।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জানান, ৫ই আগস্টের পর দখল হওয়া বনভূমিতে নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। ইতিপূর্বে এই রেঞ্জের আওতাধীন আরও দুটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে, এবং ভবিষ্যতেও সকল বিট এলাকায় এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অভিযানকালে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মঈন খান এলিস, বন বিভাগের ভাওয়াল রেঞ্জের রেঞ্জার মোঃ মাসুদ রানাসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা এবং বনকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।