নোয়াখালীর মাইজদীর সমাজসেবা অফিসে এক যুগেরও বেশি একের পর এক অপকর্ম করে চলছেন আলাউদ্দিন। সন্ত্রাস, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও ঘুষ গ্রহণেসহ অসামাজিক নানা ধরনের অসংখ্য অপকর্মের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড উন্দানিয়া গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ির মৃত মকবুল আহমেদের মেজো ছেলে আলা উদ্দিন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলছেন। প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে অহেতুক হয়রানি মারধর হুমকির দেওয়া ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে জোর খাঁটিয়ে জমি দখল ভাঙচুর, অন্যের জমি জোর করে দখল ও হত্যার হুমকিসহ আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। নোয়াখালীর মাইজদীতে সরকারের সমাজ সেবা অফিসে চাকুরির সুবাদে এক যুগের বেশি সময় ধরে সেখানে ঘুষ দুর্নীতি বাণিজ্যের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন বিশাল বিত্তবৈভব। গড়েছেন একাধিক আলিশান বাড়ি। নোয়াখালীর মাইজদীতে সরকারের সমাজ সেবা অফিসে চাকুরির সুবাদে এক যুগের বেশি সময় ধরে সেখানে ঘুষ দুর্নীতি বাণিজ্যের মাধ্যমে নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে বিপুল সম্পদ। অনেকের অভিযোগ রয়েছে সরকারি সুযোগ সুবিধা একাই আত্মসাতে মাতেন আলা উদ্দিন। এ নিয়ে নিজ গ্রামে ও কর্মস্থলে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভের জম্ম দিয়েছেন তিনি।
চাকুরি হওয়ার পর ১২ বছর পার হলেও অন্য কোথাও বদলি হননি আলা উদ্দিন। অভিযোগ আছেন উপরস্তরের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে নিজ জেলায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ নিজ এলাকায় কি করে কোন আইনে ১২ বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করেছেন তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন।
কয়েক বছর আগে একটি সংবাদপত্রে আপন ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নির্লজ্জ আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এ নিয়ে সেনবাগ উপজেলার মানুষের মুখেমুখে আলোচিত হয়েছিলো আলা উদ্দিনের কীর্তিকলাপ।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, নোয়াখালীর মাইজদীর সমাজসেবা অফিস থেকে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাকে দ্রুত কথাও বদলি করা না হলে আলা উদ্দিনের দুর্নীতির হার আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, লেখাপড়া শিখে আলাউদ্দিন সরকারি চাকরি পেয়ে নিজ গ্রামে প্রতিবেশীদের সাথে হিংসাত্মক বিতর্কিত ও কুরুচিপূর্ণ নানা ধরনের অপরাধ ঘটিয়ে চলছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। কারোর জোর করে জমি দখল আবার কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘায়েল করার মত অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে পাওয়া গিয়েছে। ভুক্তভোগী মহল তার বিরুদ্ধে বহুবার অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়েছে।নোয়াখালীতে দীর্ঘদিন পর্যন্ত জড়িত চাকুরি করার কারণে তার অপরাধ দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এ কারণে তাকে অন্যত্র বদলি করা হলে অপরাধ দুর্নীতি বাণিজ্যের অবসান হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছে।আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইলে তিনি জানান এসব ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।