ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের বাংলাদেশকে সস্তায় গরুর মাংস দিতে চায় ব্রাজিল খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি কুমিল্লা মুরাদনগর বাঙ্গরা বাজার থানা ১৫ কেজি গাঁজা সহ দুইজন আটক” ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ নিপাত যাক: সর্বহারা পার্টি গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে গেলেন তারেক রহমান ঢাকা দক্ষিণ জাতীয়তাবাদী যুবদলের পক্ষ থেকে ২০২৫ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত বোনদের জমি না দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লা থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সূচনা শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে – হাসনাত আবুল্লাহ বিআরটিএ ড্রাইভিং ইন্টারভিউয়ে নতুন গাড়ি না পাওয়া: লক্কর ঝক্কর গাড়ির কারণে বিপাকে সাধারণ পরীক্ষার্থীরা

চট্টগ্রাম আদালতের ১,৯১১ মামলার নথি গায়েব, থানায় জিডি

চট্টগ্রাম আদালতে সরকারি আইনজীবীর বারান্দা থেকে ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট বা সিডি উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় রোববার থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আদালতের অবকাশকালীন ছুটির কারণে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগর পিপি কার্যালয় বন্ধ ছিল। কেস ডকেটগুলো এ সময়ের মধ্যে উধাও হয়েছে। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার মো. রইছ উদ্দিন বলেন, কেস ডকেট হারানোর বিষয়ে থানায় একটি জিডি হয়েছে। সেটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া কেস ডকেট উধাওয়ের ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় জিডি করেন।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেস ডকেটগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সেগুলো পাওয়া যায়নি।

এদিকে উধাও হওয়া কেস ডকেটগুলোর মধ্যে হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে। এসব কেস ডকেট বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নথি না থাকলে অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যাবে বলছেন আইনজীবীরা।

তবে পিপি মফিজুল হক ভুঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, উধাও বা হারানো কেস ডকেটগুলো জুডিশিয়াল নথি নয়। এতে বিচার কাজে কোনো ধরণের বাধা সৃষ্টি হবে না।

তিনি আরও বলেন, কেস ডকেটগুলো আমাকে কেউ বুঝিয়ে দেয়নি বা আমি বুঝে নেইনি। বারান্দায় বস্তাটি না থাকায় আমি নিজ থেকেই সবাইকে জানিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা রয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের

চট্টগ্রাম আদালতের ১,৯১১ মামলার নথি গায়েব, থানায় জিডি

আপডেট সময় ০৮:০২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম আদালতে সরকারি আইনজীবীর বারান্দা থেকে ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট বা সিডি উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় রোববার থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আদালতের অবকাশকালীন ছুটির কারণে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগর পিপি কার্যালয় বন্ধ ছিল। কেস ডকেটগুলো এ সময়ের মধ্যে উধাও হয়েছে। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার মো. রইছ উদ্দিন বলেন, কেস ডকেট হারানোর বিষয়ে থানায় একটি জিডি হয়েছে। সেটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া কেস ডকেট উধাওয়ের ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় জিডি করেন।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেস ডকেটগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সেগুলো পাওয়া যায়নি।

এদিকে উধাও হওয়া কেস ডকেটগুলোর মধ্যে হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে। এসব কেস ডকেট বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নথি না থাকলে অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যাবে বলছেন আইনজীবীরা।

তবে পিপি মফিজুল হক ভুঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, উধাও বা হারানো কেস ডকেটগুলো জুডিশিয়াল নথি নয়। এতে বিচার কাজে কোনো ধরণের বাধা সৃষ্টি হবে না।

তিনি আরও বলেন, কেস ডকেটগুলো আমাকে কেউ বুঝিয়ে দেয়নি বা আমি বুঝে নেইনি। বারান্দায় বস্তাটি না থাকায় আমি নিজ থেকেই সবাইকে জানিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা রয়েছে।