ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

প্রকৌশলী সাইফুল ২৪ ফ্ল্যাটের মালিক : অনিয়ম দূর্নীতি

দূর্নীতি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি আত্মসাৎ ও নামে বেনামে বিপুল অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন আইসিডিআর এর এক প্রকৌশলী। বর্তমানে তিনি কর্মরত আছেন আইসিডিআর এর সহকারী প্রকৌশলী (ম্যানটেনেন্স) হিসেবে। তার নাম মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বিল্ডিং কেয়ার টেকনেলজি লিমিটেডের চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় চেক জালিয়াতি করায় দুই দফা জেল ও খেটেছেন এই প্রকৌশলী। জেল থেকে মুক্ত হয়ে তিনি বিভিন্ন ভাবে ওই কোম্পানির এমডি এবং দুই পরিচালকরে বিরুদ্ধে মিথ্যে বানোয়াট অভিযোগ এনে হয়রানি করে যাচ্ছে। যে কারণে এর প্রতিকার চেয়ে গত বৃহস্পতিবার বিল্ডিং কেয়ার টেকনেলজি লিমিটেডের এর পরিচালক মোসিউর রহমান ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির দফতরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে তা তদন্তাধীন। অনুসন্ধানে জানা যায়, সাইফুল ইসলামের নামে বর্তমানে নামে বেনামে রাজধানীর আশকোনা, দক্ষিণখান, ঢাকায় নং-২ হাজী সিরাজ উদ্দিন রোড, বাড়ি নং-৪৪, ফ্ল্যাট নং-২এ এবং ৪এ, ফ্ল্যাট দুটি তিনি ক্রয় করলেও রয়েছে তার স্ত্রীর খালেদা পারভীনের নামে। কাউলার মধ্যপাড়ায় ১৪০০ এসএফটির (ঠধষবহপরধ) নামক বাড়িতে রয়েছে একটি ফ্ল্যাট। ৩/৫২ জামতলা, দক্ষিণখান, ঢাকায় ৭তলা বাড়িতে রয়েছে ২১টি ফ্ল্যাট। সাভার আইচা নন্দা রোডে তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪ কাঠার প্লট এবং ব্যাংকে ১ কোটি টাকার এফডিআর। তার নিজের নামে বরদাইল, ধামরাই, ঢাকায় রয়েছে ২৪ শতাংশ জমি। এ ছাড়া সাভার ও ঢাকায় এবং তার গ্রামের বাড়িতে আত্মীয় স্বজনের নামে আরো জমি এবং বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
এদিকে, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কাছে দেয়া অভিযোগে জানা যায়, সাইফুল ইসলামের স্থায়ী ঠিকানা পাবনা জেলার, বেড়া উপজেলার, হাতীগাড়া গ্রামে-তার পিতা আব্দুল কুদ্দুস। ঢাকায় তিনি দক্ষিণখানের আশকোনার ২ নং রোডের ৪৪নং বাড়ির ২/এ নিজ ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। ২০১২ সালে বিল্ডিং কেয়ার টেকনোলজী লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদেন সাইফুল ইসলাম। কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদেশে অবস্থান করায় এবং কোম্পানীর অন্য দুইজন পরিচালক মোসিউর রহমান ও পঙ্কজ মিত্র কোম্পানীর বিভিন্ন কাজে ঢাকার বাহিরে থাকায় কোম্পানীর কাজের সুবিধার জন্য চেয়ারম্যান ব্যাংকের চেক বইয়ের খালি পাতায় স্বাক্ষর করিয়ে রাখতেন । এভাবেই আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতেন। আর এ সুযোগ ব্যবহার করে কোম্পানীর অগ্রনী ব্যাংক হিসাব নং-(০২০০০০৮৭৭৪১৯২) আইসিডিডি, আরবি শাখা, মহাখালী, ঢাকা হতে দুই দফায় মোট হিসাবে সর্বমোট ৯২,০৪,৬০৩/-( বিরানব্বই লক্ষ চার হাজার ছয়শত তিন) টাকা স্থানান্তর করিয়া আত্মসাৎ করেন। তথ্যে আরো জানা যায় এই টাকা তিনি নিজের আইসিডিডিআর বি, অগ্রণী ব্যাংক শাখায় তার পার্সোনাল একাউন্টে ট্রান্সফার করেন সাইফুল। এছাড়াও কোম্পানীর পরিচালক বর্গের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংকের ১,৫৪,৪০২১৭/-(এক কোটি চুয়ান্ন লক্ষ চল্লিশ হাজার দুই শত সতের) টাকা আত্মসাৎ করায় বনানী থানা ১২(৩)২২ নং মামলা দায়ের করা হয়। কোম্পানির ব্যাংক হিসাব থেকে নিজের ব্যাংক হিসাবে ও তাহার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে সর্বমোট ৯২,০৪,৬০৩/- ( বিরানব্বই লক্ষ চার হাজার ছয়শত তিন) টাকা স্থানান্তর করিয়া আত্মসাৎ করায় সিআর ১৫৬/২৩ নং মামলা দায়ের করা হয় এবং কোম্পানীর ‘মানি রিসিটের’ মাধ্যমে ৩৭,২১,৪৬৮/- (সাতত্রিশ লক্ষ একুশ হাজার আটষট্টি) টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে নগদ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করায় সিআর ৩৬/২৩ নং মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম দুই দফা জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি লাভ করেন। জামিনে বের হয়ে কোম্পানীর পরিচালক জনাব পঙ্কজ মিত্র সহ কোম্পানীর কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারিদেরকেও তার বিরুদ্ধে করা সমস্ত মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। এবং হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দেয়ার চেষ্টা করে যায়। এমনকি প্রাণ নাশেরও হুমকী দেয় সাইফুল। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সাইফুল ইসলাম ২০১৩ সাল থেকে কতিপয় ডিলারের সাথে যোগসাজসে আর্থিক দুর্নীতি শুরু করেন। বিষয়টি অন্য পরিচালকদের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সুপরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা ও ভুল বুঝিয়ে ভিন্নভাবে গণমাধ্যমের নজরে অনার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে পরিচালকদের অভ্যান্তরীণ তদন্তে সাইফুল ইসলামের দুর্নীতি প্রমানিত হয়। তখন সাইফুল ইসলাম কোম্পানির প্যাডে এই মর্মে মুচলেকা দেন যে, তিনি নিজেকে সংশোধিত করবেন। কিন্তু কদিন যেতে না যেতেই তিনি মুচলোকা তোয়াক্কা না করে আরও বেশি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে কোভিড চলাকালীন সময়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদেশে আটকে পড়ায় চেয়ারম্যান সেই সুযোগে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে বিল্ডিং কেয়ার টেকনেলজি লিমিটেডের পরিচালক মোসিউর রহমান জানান, কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এ ছাড়া তিনি মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে হয়রানি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি পত্রিকায় মিথ্যা মনগড়া তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম জানান, আমি ওই কোম্পানির চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আমাকে তারা বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রকৌশলী সাইফুল ২৪ ফ্ল্যাটের মালিক : অনিয়ম দূর্নীতি

আপডেট সময় ০৪:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দূর্নীতি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি আত্মসাৎ ও নামে বেনামে বিপুল অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন আইসিডিআর এর এক প্রকৌশলী। বর্তমানে তিনি কর্মরত আছেন আইসিডিআর এর সহকারী প্রকৌশলী (ম্যানটেনেন্স) হিসেবে। তার নাম মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বিল্ডিং কেয়ার টেকনেলজি লিমিটেডের চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় চেক জালিয়াতি করায় দুই দফা জেল ও খেটেছেন এই প্রকৌশলী। জেল থেকে মুক্ত হয়ে তিনি বিভিন্ন ভাবে ওই কোম্পানির এমডি এবং দুই পরিচালকরে বিরুদ্ধে মিথ্যে বানোয়াট অভিযোগ এনে হয়রানি করে যাচ্ছে। যে কারণে এর প্রতিকার চেয়ে গত বৃহস্পতিবার বিল্ডিং কেয়ার টেকনেলজি লিমিটেডের এর পরিচালক মোসিউর রহমান ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির দফতরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে তা তদন্তাধীন। অনুসন্ধানে জানা যায়, সাইফুল ইসলামের নামে বর্তমানে নামে বেনামে রাজধানীর আশকোনা, দক্ষিণখান, ঢাকায় নং-২ হাজী সিরাজ উদ্দিন রোড, বাড়ি নং-৪৪, ফ্ল্যাট নং-২এ এবং ৪এ, ফ্ল্যাট দুটি তিনি ক্রয় করলেও রয়েছে তার স্ত্রীর খালেদা পারভীনের নামে। কাউলার মধ্যপাড়ায় ১৪০০ এসএফটির (ঠধষবহপরধ) নামক বাড়িতে রয়েছে একটি ফ্ল্যাট। ৩/৫২ জামতলা, দক্ষিণখান, ঢাকায় ৭তলা বাড়িতে রয়েছে ২১টি ফ্ল্যাট। সাভার আইচা নন্দা রোডে তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪ কাঠার প্লট এবং ব্যাংকে ১ কোটি টাকার এফডিআর। তার নিজের নামে বরদাইল, ধামরাই, ঢাকায় রয়েছে ২৪ শতাংশ জমি। এ ছাড়া সাভার ও ঢাকায় এবং তার গ্রামের বাড়িতে আত্মীয় স্বজনের নামে আরো জমি এবং বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
এদিকে, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কাছে দেয়া অভিযোগে জানা যায়, সাইফুল ইসলামের স্থায়ী ঠিকানা পাবনা জেলার, বেড়া উপজেলার, হাতীগাড়া গ্রামে-তার পিতা আব্দুল কুদ্দুস। ঢাকায় তিনি দক্ষিণখানের আশকোনার ২ নং রোডের ৪৪নং বাড়ির ২/এ নিজ ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। ২০১২ সালে বিল্ডিং কেয়ার টেকনোলজী লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদেন সাইফুল ইসলাম। কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদেশে অবস্থান করায় এবং কোম্পানীর অন্য দুইজন পরিচালক মোসিউর রহমান ও পঙ্কজ মিত্র কোম্পানীর বিভিন্ন কাজে ঢাকার বাহিরে থাকায় কোম্পানীর কাজের সুবিধার জন্য চেয়ারম্যান ব্যাংকের চেক বইয়ের খালি পাতায় স্বাক্ষর করিয়ে রাখতেন । এভাবেই আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতেন। আর এ সুযোগ ব্যবহার করে কোম্পানীর অগ্রনী ব্যাংক হিসাব নং-(০২০০০০৮৭৭৪১৯২) আইসিডিডি, আরবি শাখা, মহাখালী, ঢাকা হতে দুই দফায় মোট হিসাবে সর্বমোট ৯২,০৪,৬০৩/-( বিরানব্বই লক্ষ চার হাজার ছয়শত তিন) টাকা স্থানান্তর করিয়া আত্মসাৎ করেন। তথ্যে আরো জানা যায় এই টাকা তিনি নিজের আইসিডিডিআর বি, অগ্রণী ব্যাংক শাখায় তার পার্সোনাল একাউন্টে ট্রান্সফার করেন সাইফুল। এছাড়াও কোম্পানীর পরিচালক বর্গের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংকের ১,৫৪,৪০২১৭/-(এক কোটি চুয়ান্ন লক্ষ চল্লিশ হাজার দুই শত সতের) টাকা আত্মসাৎ করায় বনানী থানা ১২(৩)২২ নং মামলা দায়ের করা হয়। কোম্পানির ব্যাংক হিসাব থেকে নিজের ব্যাংক হিসাবে ও তাহার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে সর্বমোট ৯২,০৪,৬০৩/- ( বিরানব্বই লক্ষ চার হাজার ছয়শত তিন) টাকা স্থানান্তর করিয়া আত্মসাৎ করায় সিআর ১৫৬/২৩ নং মামলা দায়ের করা হয় এবং কোম্পানীর ‘মানি রিসিটের’ মাধ্যমে ৩৭,২১,৪৬৮/- (সাতত্রিশ লক্ষ একুশ হাজার আটষট্টি) টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে নগদ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করায় সিআর ৩৬/২৩ নং মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম দুই দফা জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি লাভ করেন। জামিনে বের হয়ে কোম্পানীর পরিচালক জনাব পঙ্কজ মিত্র সহ কোম্পানীর কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারিদেরকেও তার বিরুদ্ধে করা সমস্ত মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। এবং হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দেয়ার চেষ্টা করে যায়। এমনকি প্রাণ নাশেরও হুমকী দেয় সাইফুল। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সাইফুল ইসলাম ২০১৩ সাল থেকে কতিপয় ডিলারের সাথে যোগসাজসে আর্থিক দুর্নীতি শুরু করেন। বিষয়টি অন্য পরিচালকদের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সুপরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা ও ভুল বুঝিয়ে ভিন্নভাবে গণমাধ্যমের নজরে অনার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে পরিচালকদের অভ্যান্তরীণ তদন্তে সাইফুল ইসলামের দুর্নীতি প্রমানিত হয়। তখন সাইফুল ইসলাম কোম্পানির প্যাডে এই মর্মে মুচলেকা দেন যে, তিনি নিজেকে সংশোধিত করবেন। কিন্তু কদিন যেতে না যেতেই তিনি মুচলোকা তোয়াক্কা না করে আরও বেশি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে কোভিড চলাকালীন সময়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদেশে আটকে পড়ায় চেয়ারম্যান সেই সুযোগে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে বিল্ডিং কেয়ার টেকনেলজি লিমিটেডের পরিচালক মোসিউর রহমান জানান, কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এ ছাড়া তিনি মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে হয়রানি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি পত্রিকায় মিথ্যা মনগড়া তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম জানান, আমি ওই কোম্পানির চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আমাকে তারা বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।