ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

পাকিস্তানে রাতের আঁধারে মিনিবাস খাদে, নিহত অন্তত ২০

পাকিস্তানে জলাবদ্ধ খাদে মিনিবাস পড়ে যাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধ প্রদেশে এই দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানের পুলিশের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ পাকিস্তানে গভীর জলাবদ্ধ খাদে একটি মিনিবাস পড়ে গেলে কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও ১৪ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ শুক্রবার জানিয়েছে।

সিন্ধ প্রদেশের স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা খাদিম হোসেন এএফপিকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে সিন্ধ প্রদেশে হাইওয়রে পাশে একটি পানিতে ভরা খাদে পড়ে যায় বাসটি। চলতি বছরের ভয়াবহ বন্যায় ওই এলাকাটি পানিতে ভেসে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘চালক রাস্তায় ডাইভারশন সাইন দেখতে পাননি এবং এ কারণে বাসটি রাস্তা থেকে ২৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়।’

এদিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন বলছে, দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জামশোর জেলা প্রশাসক ফরিদউদ্দিন মুস্তফা বলেছেন, আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তিনি বলেন, মিনিবাসটি খায়রপুর থেকে সেহওয়ানে সুফি সাধক লাল শাহবাজ কালান্দরের মাজারে যাচ্ছিল। মিনিবাসটির সকল যাত্রী একই পরিবারের সদস্য এবং তারা জিয়ারত করতে মাজারে যাচ্ছিলেন।

মুস্তফা বলেন, মিনিবাস চালক রাস্তার পাশে ব্যারিকেড দেখতে পারেননি। হাইওয়ে সংলগ্ন ওই এলাকায় একটি খাদ রয়েছে, যেখানে সাম্প্রতিক বন্যার সময় পানি জমে এবং পরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

পাকিস্তানে এই বছর রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয় এবং দেশের এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে তলিয়ে যায়। এছাড়া ভয়াবহ ওই বন্যায় ৮০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয় এবং বহু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

পাকিস্তানে রাতের আঁধারে মিনিবাস খাদে, নিহত অন্তত ২০

আপডেট সময় ০৭:৪২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২

পাকিস্তানে জলাবদ্ধ খাদে মিনিবাস পড়ে যাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধ প্রদেশে এই দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানের পুলিশের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ পাকিস্তানে গভীর জলাবদ্ধ খাদে একটি মিনিবাস পড়ে গেলে কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও ১৪ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ শুক্রবার জানিয়েছে।

সিন্ধ প্রদেশের স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা খাদিম হোসেন এএফপিকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে সিন্ধ প্রদেশে হাইওয়রে পাশে একটি পানিতে ভরা খাদে পড়ে যায় বাসটি। চলতি বছরের ভয়াবহ বন্যায় ওই এলাকাটি পানিতে ভেসে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘চালক রাস্তায় ডাইভারশন সাইন দেখতে পাননি এবং এ কারণে বাসটি রাস্তা থেকে ২৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়।’

এদিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন বলছে, দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জামশোর জেলা প্রশাসক ফরিদউদ্দিন মুস্তফা বলেছেন, আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তিনি বলেন, মিনিবাসটি খায়রপুর থেকে সেহওয়ানে সুফি সাধক লাল শাহবাজ কালান্দরের মাজারে যাচ্ছিল। মিনিবাসটির সকল যাত্রী একই পরিবারের সদস্য এবং তারা জিয়ারত করতে মাজারে যাচ্ছিলেন।

মুস্তফা বলেন, মিনিবাস চালক রাস্তার পাশে ব্যারিকেড দেখতে পারেননি। হাইওয়ে সংলগ্ন ওই এলাকায় একটি খাদ রয়েছে, যেখানে সাম্প্রতিক বন্যার সময় পানি জমে এবং পরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

পাকিস্তানে এই বছর রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয় এবং দেশের এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে তলিয়ে যায়। এছাড়া ভয়াবহ ওই বন্যায় ৮০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয় এবং বহু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।