ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যৌতুকের টাকা না দেয়ায় বোরহানউদ্দিনে অন্ত:সত্বা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ বাংলাদেশ থেকে সহজেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিচ্ছে যে দেশগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, সেনাবাহিনী গ্রেফতার করল চারজনকে জমি উদ্ধারে দলিল দিয়ে সবই হারান ২৮ ভূমিহীন ১৩ টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতা কাজ পাননি একটিও গুলশান-বনানীর ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ জাতীয় গৃহায়ণ মিরপুরের প্রকৌশলী শেখ সোহেল বদলী হলে ও রাজু আছেন বহাল তবিয়তে ১ মাস আগে বদলি হলেও চেয়ার ছাড়ছেন না প্রকৌশলী তিতাস গ্যাসের ডিজিএম আতিয়া বিলকিসের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

নতুন দামেও মিলছে না তেল-চিনি

নিত্যপণ্যের বাজারে তেল ও চিনি সংকটের মধ্যেই দাম বেড়েছে পণ্য দুটির। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১২ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম কেজিতে বাড়ানো হয়েছে ১৩ টাকা। যা বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে কার্যকর হওয়া বাড়তি দামেও বাজারে মিলছে না তেল-চিনি। ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে এর চেয়েও বাড়তি দামে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর রায়ের বাজার ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খোলা বাজারে নির্ধারিত দাম থেকে ১০ টাকা বেশি এবং পাইকারি বাজারে ৩-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তেল-চিনি।

রায়ের বাজারের সিদ্দিক স্টোরের কর্মী নাদিম ইসলাম বলেন, খোলা সয়াবিন তেল পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৮৮-১৯০ টাকায় এবং খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকায়। অন্যদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেল গায়ে থাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ২ লিটার ৩৫৫ টাকা এবং ৫ লিটার ৮৮০ টাকায় আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন দামের তেল এখনও বাজারে আসেনি। হয়ত কাল-পরশু নতুন দামের তেল বাজারে পাওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা পাইকারিতে খোলা চিনি বিক্রি করছি ১১০ টাকা কেজি দরে। তবে খুচরায় অনেকে ১২০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করছে।

বুদ্ধিজীবী রোডের একটি দোকানের দোকানি রাজীব বলেন, আমরা খোলা তেল ১৯৫ টাকা লিটার এবং খোলা চিনি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। বোতলজাত তেল এবং প্যাকেটজাত চিনি গায়ের দামে বিক্রি করছি।

এদিকে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বুধবার (১৬ নভেম্বর) সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনও ওইদিনই মন্ত্রণালয়কে জানায়, চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে দুটি সংগঠনের নেতারা।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ১৭ নভেম্বর থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৯০ টাকা। আগে এ দাম ছিল ১৭৮ টাকা। এছাড়া ৮৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৯২৫ টাকা। অন্যদিকে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ১৪ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৭২ টাকা। যা আগে ১৫৮ টাকায় বিক্রি হতো। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১২১ টাকায়।

অন্যদিকে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৩ টাকা বেড়ে হয়েছে ১০৮ টাকা। আগে দাম ছিল ৯৫ টাকা। তবে আরও আগেই বাজারে চিনির দাম শতক ছাড়িয়ে গেছে। বাজারে দেখা দিয়েছে চিনির সংকটও। নতুন দাম অনুযায়ী, ৫০ কেজির চিনির বস্তার দাম হয়েছে ৫ হাজার ১০০ টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১০২ টাকা।

তবে বাজারে নির্ধারিত দামে কোথাও তেল-চিনি বিক্রি করতে দেখা যায়নি। এছাড়া বাজার ঘুরে কোনো কোনো দোকানে তেল পাওয়া যায়নি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যৌতুকের টাকা না দেয়ায় বোরহানউদ্দিনে অন্ত:সত্বা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

নতুন দামেও মিলছে না তেল-চিনি

আপডেট সময় ০৬:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২

নিত্যপণ্যের বাজারে তেল ও চিনি সংকটের মধ্যেই দাম বেড়েছে পণ্য দুটির। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১২ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম কেজিতে বাড়ানো হয়েছে ১৩ টাকা। যা বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে কার্যকর হওয়া বাড়তি দামেও বাজারে মিলছে না তেল-চিনি। ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে এর চেয়েও বাড়তি দামে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর রায়ের বাজার ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খোলা বাজারে নির্ধারিত দাম থেকে ১০ টাকা বেশি এবং পাইকারি বাজারে ৩-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তেল-চিনি।

রায়ের বাজারের সিদ্দিক স্টোরের কর্মী নাদিম ইসলাম বলেন, খোলা সয়াবিন তেল পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৮৮-১৯০ টাকায় এবং খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকায়। অন্যদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেল গায়ে থাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ২ লিটার ৩৫৫ টাকা এবং ৫ লিটার ৮৮০ টাকায় আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন দামের তেল এখনও বাজারে আসেনি। হয়ত কাল-পরশু নতুন দামের তেল বাজারে পাওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা পাইকারিতে খোলা চিনি বিক্রি করছি ১১০ টাকা কেজি দরে। তবে খুচরায় অনেকে ১২০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করছে।

বুদ্ধিজীবী রোডের একটি দোকানের দোকানি রাজীব বলেন, আমরা খোলা তেল ১৯৫ টাকা লিটার এবং খোলা চিনি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। বোতলজাত তেল এবং প্যাকেটজাত চিনি গায়ের দামে বিক্রি করছি।

এদিকে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বুধবার (১৬ নভেম্বর) সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনও ওইদিনই মন্ত্রণালয়কে জানায়, চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে দুটি সংগঠনের নেতারা।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ১৭ নভেম্বর থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৯০ টাকা। আগে এ দাম ছিল ১৭৮ টাকা। এছাড়া ৮৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৯২৫ টাকা। অন্যদিকে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ১৪ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৭২ টাকা। যা আগে ১৫৮ টাকায় বিক্রি হতো। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১২১ টাকায়।

অন্যদিকে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৩ টাকা বেড়ে হয়েছে ১০৮ টাকা। আগে দাম ছিল ৯৫ টাকা। তবে আরও আগেই বাজারে চিনির দাম শতক ছাড়িয়ে গেছে। বাজারে দেখা দিয়েছে চিনির সংকটও। নতুন দাম অনুযায়ী, ৫০ কেজির চিনির বস্তার দাম হয়েছে ৫ হাজার ১০০ টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১০২ টাকা।

তবে বাজারে নির্ধারিত দামে কোথাও তেল-চিনি বিক্রি করতে দেখা যায়নি। এছাড়া বাজার ঘুরে কোনো কোনো দোকানে তেল পাওয়া যায়নি।