ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইতিহাস গড়ল ইলন মাস্কের মহাকাশ যান স্পেসএক্স ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডিসহ ২০ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত: আমান ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঔষধের গুণগত মান ঠিক রেখে স্পে করার আহবান আমিনুল হকের গ্লোবাল লাভ অফ লাইভস অ্যাওয়ার্ডস পেলেন নৌকা স্কুলের রেজওয়ান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ বরিশাল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত পলিথিনে না দিলে ‘কিসে দিমু’ কুমিল্লায় র‌্যাব ১১ সিপিসি২ এর অভিযানে ১০ কেজি গাঁজা সহ ১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার গোয়াইনঘাটে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষনের উদ্বোধনঃ

তিতাস গ্যাসের ডিজিএম আতিয়া বিলকিসের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র ডিজিএম কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স সৈয়দা আতিয়া বিলকিস (মিতু) কোড নং-০০৭৫৬ এর বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোপূর্বে নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে পেট্রোবাংলায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হয়।কিন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে চায় না।

দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থেকে তিনি দাপটের সাথে অপকর্ম করে আসছেন।নিয়মিত অফিসে না আসা, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর থেকেও রাতারাতি আওয়ামী রূপ পাল্টিয়ে বিএনপি বনে যাওয়া এই কর্মকর্তার অত্যাচারে জর্জরিত তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা।বিভিন্ন সময়ে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে অনিয়ম দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন, বাগিয়ে নিয়েছেন ৪টি পদোন্নতি ও তিনটি বৈদেশিক প্রশিক্ষণ। প্রায় দিনই দুপুরে অফিসে আসলেও তিনি দাপ্তরিক কাজ করতেন না।সোস্যাল মিডিয়ায় আবির তালুকদার নামে ফেক আইডি ব্যাবহার করে কোম্পানীর স্বার্থ বিরোধী কাজ করেন। শফিউল্লাহ ভূইয়া নামে একজন চাকরিচ্যুত কর্মচারীকে দিয়ে ফেসবুকে বর্তমান এমডিকে নিয়ে টাকার জন্য অভিযান চালায় বলে কুৎসা রটায়।গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কমিশনার মোজাম্মেল হক, ও পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী কে দিয়ে তিতাসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল কে চাপ প্রয়োগ করে তদবির করে ডিজিএম পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

তিতাস গ্যাসের ডিজিএম হয়ে বেপরো হয়ে ওঠেন আতিয়া। সেই সময় তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত তিতাস গ্যাস কর্মকর্তাদের অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি পদ বাগিয়ে নেন। দুদকের শীর্ষ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক এর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সৎ, দক্ষ,কর্মঠ ও নিবেদিত প্রাণ তিতাস গ্যাসের অফিসারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করেন। তিতাসের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মনির হোসেন খানের নামে অফিসের আশেপাশে ও পেট্রোবাংলায় পোস্টার সাঁটিয়ে হয়রানি ও মানহানি করেন। আতিয়ার ছেলে ও ছেলের স্ত্রী কানাডা গমন কালে আর্থিক সংকট দেখিয়ে তিতাসের আঞ্চলিক অফিস প্রধানদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন।

তিনি কমন সার্ভিস বিভাগের ডিজিএম থাকাকালে মিরপুরে তিতাসের অফিস ভাড়া নেওয়ার কে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট বাড়িওয়ালার নিকট হতে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলেও শোনা যায়। এবং সেখান থেকে নিয়মিত মাসোহারা গ্রহণ করতেন। ভগবতী ব্যানার্জি রোডের অফিসে থাকাকালে সর্বশেষ এক বছরের জন্য বাড়ি ভাড়ার চুক্তি নবায়ন কালে এক মাসের ভাড়া সমপরিমাণ ৬ লক্ষ টাকা বাড়ির মালিকের নিকট জোরপূর্বক হাতিয়ে নেন। তিতাসের কুড়িল অফিসে জাকির কমপ্লেক্সের মালিক জাকির হোসেন কে ৮ লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য করেন। চাকুরী জীবনে নিজের স্বার্থ ছাড়া কোম্পানির স্বার্থে কোন কাজ করেনি। তিনি বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অফিসার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি পদে থেকে সুবিধা নিয়েছেন। তিতাস গ্যাস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন রেজিঃ নং- ঢ ০১৭২০/৮৫ এর ২০২২ সালে অভিষেক ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রকাশিত স্মরণিকায় সম্পাদক হিসেবে প্রদত্ত বিজ্ঞাপনে কোটি কোটি হাতিয়ে নেন।

আবার রাজনৈতিক পদ পরিবর্তন এর পর সুকৌশলে তিতাসের বিএনপিপন্থী সিবিএর সাথে মিশে জাতীয়তাবাদী ঘরানার কর্মকর্তা বনে গেছেন। তিতাস গ্যাসের বিএনপি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত প্রকৌশলী মোঃ হেলাল উদ্দিন তালুকদারের সাথে একত্রিত হয়ে প্রায় ১০০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর বদলি বাণিজ্য সহ ১০/১৫ বছর আগে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি তিতাসে ভয়ার্ত পরিবেশের সৃষ্টি করে চলেছেন। আতিয়া বিলকিসের ব্যক্তি জীবন নানা কলঙ্কে ভরপুর।

তিনি একজন পরকীয়া আসক্ত নারী বলেও জানান তিতাস গ্যাসের চাকরিচ্যুত কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিবিএ নেতা।বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজের আওয়ামী চরিত্র বদল করে রাতারাতি বিএনপি বনে যাওয়া আতিয়া বিলকিস মিতুর দাপটে তটস্থ সকলেই।সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীরা আতিয়া আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে দিন পার করছেন। তারা এই ধরনের অরাজক পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইতিহাস গড়ল ইলন মাস্কের মহাকাশ যান স্পেসএক্স

তিতাস গ্যাসের ডিজিএম আতিয়া বিলকিসের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র ডিজিএম কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স সৈয়দা আতিয়া বিলকিস (মিতু) কোড নং-০০৭৫৬ এর বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোপূর্বে নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে পেট্রোবাংলায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হয়।কিন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে চায় না।

দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থেকে তিনি দাপটের সাথে অপকর্ম করে আসছেন।নিয়মিত অফিসে না আসা, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর থেকেও রাতারাতি আওয়ামী রূপ পাল্টিয়ে বিএনপি বনে যাওয়া এই কর্মকর্তার অত্যাচারে জর্জরিত তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা।বিভিন্ন সময়ে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে অনিয়ম দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন, বাগিয়ে নিয়েছেন ৪টি পদোন্নতি ও তিনটি বৈদেশিক প্রশিক্ষণ। প্রায় দিনই দুপুরে অফিসে আসলেও তিনি দাপ্তরিক কাজ করতেন না।সোস্যাল মিডিয়ায় আবির তালুকদার নামে ফেক আইডি ব্যাবহার করে কোম্পানীর স্বার্থ বিরোধী কাজ করেন। শফিউল্লাহ ভূইয়া নামে একজন চাকরিচ্যুত কর্মচারীকে দিয়ে ফেসবুকে বর্তমান এমডিকে নিয়ে টাকার জন্য অভিযান চালায় বলে কুৎসা রটায়।গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কমিশনার মোজাম্মেল হক, ও পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী কে দিয়ে তিতাসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল কে চাপ প্রয়োগ করে তদবির করে ডিজিএম পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

তিতাস গ্যাসের ডিজিএম হয়ে বেপরো হয়ে ওঠেন আতিয়া। সেই সময় তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত তিতাস গ্যাস কর্মকর্তাদের অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি পদ বাগিয়ে নেন। দুদকের শীর্ষ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক এর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সৎ, দক্ষ,কর্মঠ ও নিবেদিত প্রাণ তিতাস গ্যাসের অফিসারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করেন। তিতাসের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মনির হোসেন খানের নামে অফিসের আশেপাশে ও পেট্রোবাংলায় পোস্টার সাঁটিয়ে হয়রানি ও মানহানি করেন। আতিয়ার ছেলে ও ছেলের স্ত্রী কানাডা গমন কালে আর্থিক সংকট দেখিয়ে তিতাসের আঞ্চলিক অফিস প্রধানদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন।

তিনি কমন সার্ভিস বিভাগের ডিজিএম থাকাকালে মিরপুরে তিতাসের অফিস ভাড়া নেওয়ার কে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট বাড়িওয়ালার নিকট হতে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলেও শোনা যায়। এবং সেখান থেকে নিয়মিত মাসোহারা গ্রহণ করতেন। ভগবতী ব্যানার্জি রোডের অফিসে থাকাকালে সর্বশেষ এক বছরের জন্য বাড়ি ভাড়ার চুক্তি নবায়ন কালে এক মাসের ভাড়া সমপরিমাণ ৬ লক্ষ টাকা বাড়ির মালিকের নিকট জোরপূর্বক হাতিয়ে নেন। তিতাসের কুড়িল অফিসে জাকির কমপ্লেক্সের মালিক জাকির হোসেন কে ৮ লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য করেন। চাকুরী জীবনে নিজের স্বার্থ ছাড়া কোম্পানির স্বার্থে কোন কাজ করেনি। তিনি বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অফিসার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি পদে থেকে সুবিধা নিয়েছেন। তিতাস গ্যাস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন রেজিঃ নং- ঢ ০১৭২০/৮৫ এর ২০২২ সালে অভিষেক ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রকাশিত স্মরণিকায় সম্পাদক হিসেবে প্রদত্ত বিজ্ঞাপনে কোটি কোটি হাতিয়ে নেন।

আবার রাজনৈতিক পদ পরিবর্তন এর পর সুকৌশলে তিতাসের বিএনপিপন্থী সিবিএর সাথে মিশে জাতীয়তাবাদী ঘরানার কর্মকর্তা বনে গেছেন। তিতাস গ্যাসের বিএনপি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত প্রকৌশলী মোঃ হেলাল উদ্দিন তালুকদারের সাথে একত্রিত হয়ে প্রায় ১০০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর বদলি বাণিজ্য সহ ১০/১৫ বছর আগে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি তিতাসে ভয়ার্ত পরিবেশের সৃষ্টি করে চলেছেন। আতিয়া বিলকিসের ব্যক্তি জীবন নানা কলঙ্কে ভরপুর।

তিনি একজন পরকীয়া আসক্ত নারী বলেও জানান তিতাস গ্যাসের চাকরিচ্যুত কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিবিএ নেতা।বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজের আওয়ামী চরিত্র বদল করে রাতারাতি বিএনপি বনে যাওয়া আতিয়া বিলকিস মিতুর দাপটে তটস্থ সকলেই।সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীরা আতিয়া আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে দিন পার করছেন। তারা এই ধরনের অরাজক পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।