ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, বড় হুজুর গ্রেফতার

  • প্রিয়া চৌধুরী
  • আপডেট সময় ১২:৩১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৫৬৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আয়তায় মান্ডা ৭১ নং ওয়ার্ড ২৩শে আগস্ট সোমবার রাত ৯ ঘটিকায় একটি মাদ্রাসায় দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা বড় হুজুর মোঃ আব্দুল কবিরের বিরুদ্ধে
যৌন হয়রানির একটি
গণ মিছিল বের করে এবং স্থানীয় জনগণ এই ধর্ষকের বিচার ও ফাঁসি চাই।দাবি জানিয়েছে পরিস্থিতি সামাল দিতে মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ সাজেদুল রহমান ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক
কে উদ্ধার করে এবং পুলিশ- টিম ২৩শে আগস্ট সোমবার রাত ১০ ঘটিকায়। মান্ডা পানির পাম এলাকায় তার নিজস্ব মাদ্রাসা থেকে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আসামি কে আটক করা হয়। অনুসন্ধানে উঠে আসে মান্ডায় তার জামিয়া ইসলামিয়া দারুল মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আব্দুল কবির ছাত্রীদের রুমে ডেকে নিয়ে ছাত্রীদের আপত্তিকর জায়গায় স্পর্শ করতো। বড় হুজুর ছিলেন অল্প শিক্ষিত কিন্তু কিভাবে ১০বছর ধরে তিনি এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মাদ্রাসার বড় হুজুর হিসেবে পরিচিত। ওই এলাকার স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবকের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায় যে বড় হুজুর। মেয়েদের যৌন হয়রানি নতুন নয় এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে প্রমাণ ছিল না বলে তাকে ধরতে পারিনি এবার নাকি তারা প্রমাণসহ ধরেছে ইতোমধ্যে দুই ছাত্রীর বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। তাছাড়া বড় হুজুরের বেশ কিছু রেকর্ড পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে
মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ তিনি বলেন আসামি কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এবং যারা যৌন হয়রানির শিকার প্রত্যেকের বয়স ১০ থেকে ১১ বছর। মোঃ আব্দুল কবির কে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বিস্তারিত সব কিছু জানা যাবে। ঘটনা সূত্রে জানা যায় মোঃ আব্দুল কবির
ওই মাদ্রাসার
৩ তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি ছিলেন বরিশাল এবং তার দুই ছেলে এক মেয়ে থাকায় তার স্ত্রী। বর্তমানে সাত মাসের গর্ভবতী সে ক্ষেত্রে তার শারীরিক উত্তেজনায় থাকায় দুই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যৌন হারাণীর দুই শিক্ষার্থীর মুগদা থানায় মামলা দায়ের করে আসামি মোঃ আব্দুল কবির এখন বলেন, এলাকার কয়েকজন জামাতের মোল্লারা মিলে পরিকল্পনা এবং ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এসব নাটক সাজিয়েছে। কারণ তারা চায় না মহিলা মাদ্রাসা স্থাপিত থাক এজন্য আমাকে মিথ্যা অপবাদে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ছিল এদিকে আসামিকে
মঙ্গলবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

৩ বিচারকের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুনর্গঠন

দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, বড় হুজুর গ্রেফতার

আপডেট সময় ১২:৩১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আয়তায় মান্ডা ৭১ নং ওয়ার্ড ২৩শে আগস্ট সোমবার রাত ৯ ঘটিকায় একটি মাদ্রাসায় দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা বড় হুজুর মোঃ আব্দুল কবিরের বিরুদ্ধে
যৌন হয়রানির একটি
গণ মিছিল বের করে এবং স্থানীয় জনগণ এই ধর্ষকের বিচার ও ফাঁসি চাই।দাবি জানিয়েছে পরিস্থিতি সামাল দিতে মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ সাজেদুল রহমান ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক
কে উদ্ধার করে এবং পুলিশ- টিম ২৩শে আগস্ট সোমবার রাত ১০ ঘটিকায়। মান্ডা পানির পাম এলাকায় তার নিজস্ব মাদ্রাসা থেকে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আসামি কে আটক করা হয়। অনুসন্ধানে উঠে আসে মান্ডায় তার জামিয়া ইসলামিয়া দারুল মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আব্দুল কবির ছাত্রীদের রুমে ডেকে নিয়ে ছাত্রীদের আপত্তিকর জায়গায় স্পর্শ করতো। বড় হুজুর ছিলেন অল্প শিক্ষিত কিন্তু কিভাবে ১০বছর ধরে তিনি এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মাদ্রাসার বড় হুজুর হিসেবে পরিচিত। ওই এলাকার স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবকের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায় যে বড় হুজুর। মেয়েদের যৌন হয়রানি নতুন নয় এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে প্রমাণ ছিল না বলে তাকে ধরতে পারিনি এবার নাকি তারা প্রমাণসহ ধরেছে ইতোমধ্যে দুই ছাত্রীর বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। তাছাড়া বড় হুজুরের বেশ কিছু রেকর্ড পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে
মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ তিনি বলেন আসামি কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এবং যারা যৌন হয়রানির শিকার প্রত্যেকের বয়স ১০ থেকে ১১ বছর। মোঃ আব্দুল কবির কে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বিস্তারিত সব কিছু জানা যাবে। ঘটনা সূত্রে জানা যায় মোঃ আব্দুল কবির
ওই মাদ্রাসার
৩ তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি ছিলেন বরিশাল এবং তার দুই ছেলে এক মেয়ে থাকায় তার স্ত্রী। বর্তমানে সাত মাসের গর্ভবতী সে ক্ষেত্রে তার শারীরিক উত্তেজনায় থাকায় দুই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যৌন হারাণীর দুই শিক্ষার্থীর মুগদা থানায় মামলা দায়ের করে আসামি মোঃ আব্দুল কবির এখন বলেন, এলাকার কয়েকজন জামাতের মোল্লারা মিলে পরিকল্পনা এবং ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এসব নাটক সাজিয়েছে। কারণ তারা চায় না মহিলা মাদ্রাসা স্থাপিত থাক এজন্য আমাকে মিথ্যা অপবাদে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ছিল এদিকে আসামিকে
মঙ্গলবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।