ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

আয়নাঘর নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এর সঙ্গেই পতন হয় আওয়ামী সরকারের। তার পতনের পর একে একে উঠে আসছে ভয়ঙ্কার তথ্য। এর মধ্যে উঠে এসেছে আওয়ামী লীগের তৈরি নির্যাতনের জেল আয়নাঘর। এবার এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন দেশের ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।

শনিবার (১০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘আয়নাঘর’ প্রসঙ্গে নিজের মতামত জানান তিনি।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ধার্মিক তরুণদের আয়নঘরে নিয়ে জঙ্গি নাকট সাজানোর লোমহর্ষক ঘটনাগুলো একের পর এক সামনে আসতে শুরু করেছে। যারা বিগত দিনগুলোতে প্রশাসনের জঙ্গি নাটকে বিভ্রান্ত হয়ে ইসলামপন্থীদের জঙ্গি বলে গালি দিয়েছেন, আপনাদের এখন লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া উচিত।

শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও লেখেন, গুয়ানতানামো বে কিংবা আবু গারিব কারাগারের নাম শুনলেই আমাদের গা শিউরে ওঠে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে লোমহর্ষক নির্যাতনের মর্মান্তিক সব দৃশ্য। অথচ আমরা এখন আয়নাঘরের যে বীভৎসতার খবর জানছি, তা যেন গুয়ানতানামো বে, আবু গারিব কারাগারকেও হার মানায়।

তিনি লেখেন, আয়নাঘরে হয় কী, ইতোমধ্যে আমরা সবাই তা জেনে গেছি। আয়নাঘর হয়ে উঠেছিল জঙ্গি নাটক বানানোর বিশাল মঞ্চ। প্রশাসনের যখনই কোনো কথিত জঙ্গির প্রয়োজন হতো, নিরীহ কোনো মানুষকে ধরে এনে আয়নাঘরে রাখত আর নির্যাতন করে মিডিয়ার সামনে জঙ্গি হিসেবে পেশ করত।

তিনি আরও লেখেন, এদের এই ঘৃণ্য চক্রান্তের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে ধার্মিক মানুষেরা। এর মাধ্যমে কত মানুষের স্বপ্ন যে ধূলিসাৎ হয়েছে, কত তরুণের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়েছে, কত যুবকের তরতাজা প্রাণ যে নষ্ট হয়েছে, গুম হওয়া স্বজনের প্রতীক্ষায় থেকে কত পরিবার যে একটু একটু করে ক্ষয় হয়েছে, তার কোনো হিসাবই নেই।

তিনি বলেন, যারা আমাদের এই সবুজ বাংলাদেশে গুয়ানতানামো বে তৈরি করেছে, অসংখ্য নিরীহ মানুষের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে, অগণিত যুবককে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে বছরের পর বছর অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দি করে রেখেছে, আমরা সেসব কালপ্রিটদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

আমরা চাই স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো মানুষ গুম না হোক, প্রতিটি অন্যায়কারী বিচারের মুখোমুখি হয়ে উপযুক্ত সাজা পাক, ভুল ভাঙুক ও প্রহসন বন্ধ হোক আলেম সমাজ ও ধার্মিক মানুষদের প্রতি বলে জানান তিনি।..

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

আয়নাঘর নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

আপডেট সময় ১০:৩৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এর সঙ্গেই পতন হয় আওয়ামী সরকারের। তার পতনের পর একে একে উঠে আসছে ভয়ঙ্কার তথ্য। এর মধ্যে উঠে এসেছে আওয়ামী লীগের তৈরি নির্যাতনের জেল আয়নাঘর। এবার এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন দেশের ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।

শনিবার (১০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘আয়নাঘর’ প্রসঙ্গে নিজের মতামত জানান তিনি।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ধার্মিক তরুণদের আয়নঘরে নিয়ে জঙ্গি নাকট সাজানোর লোমহর্ষক ঘটনাগুলো একের পর এক সামনে আসতে শুরু করেছে। যারা বিগত দিনগুলোতে প্রশাসনের জঙ্গি নাটকে বিভ্রান্ত হয়ে ইসলামপন্থীদের জঙ্গি বলে গালি দিয়েছেন, আপনাদের এখন লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া উচিত।

শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও লেখেন, গুয়ানতানামো বে কিংবা আবু গারিব কারাগারের নাম শুনলেই আমাদের গা শিউরে ওঠে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে লোমহর্ষক নির্যাতনের মর্মান্তিক সব দৃশ্য। অথচ আমরা এখন আয়নাঘরের যে বীভৎসতার খবর জানছি, তা যেন গুয়ানতানামো বে, আবু গারিব কারাগারকেও হার মানায়।

তিনি লেখেন, আয়নাঘরে হয় কী, ইতোমধ্যে আমরা সবাই তা জেনে গেছি। আয়নাঘর হয়ে উঠেছিল জঙ্গি নাটক বানানোর বিশাল মঞ্চ। প্রশাসনের যখনই কোনো কথিত জঙ্গির প্রয়োজন হতো, নিরীহ কোনো মানুষকে ধরে এনে আয়নাঘরে রাখত আর নির্যাতন করে মিডিয়ার সামনে জঙ্গি হিসেবে পেশ করত।

তিনি আরও লেখেন, এদের এই ঘৃণ্য চক্রান্তের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে ধার্মিক মানুষেরা। এর মাধ্যমে কত মানুষের স্বপ্ন যে ধূলিসাৎ হয়েছে, কত তরুণের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়েছে, কত যুবকের তরতাজা প্রাণ যে নষ্ট হয়েছে, গুম হওয়া স্বজনের প্রতীক্ষায় থেকে কত পরিবার যে একটু একটু করে ক্ষয় হয়েছে, তার কোনো হিসাবই নেই।

তিনি বলেন, যারা আমাদের এই সবুজ বাংলাদেশে গুয়ানতানামো বে তৈরি করেছে, অসংখ্য নিরীহ মানুষের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে, অগণিত যুবককে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে বছরের পর বছর অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দি করে রেখেছে, আমরা সেসব কালপ্রিটদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

আমরা চাই স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো মানুষ গুম না হোক, প্রতিটি অন্যায়কারী বিচারের মুখোমুখি হয়ে উপযুক্ত সাজা পাক, ভুল ভাঙুক ও প্রহসন বন্ধ হোক আলেম সমাজ ও ধার্মিক মানুষদের প্রতি বলে জানান তিনি।..