বৈষম্য বিরোধী যৌক্তিক ছাত্র আন্দোলনে যে সমস্ত ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন তাঁদের রুহের মাগফিরাত এবং যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের আশু সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধা সাতটার দিকে মাগরিবের নামাজ শেষে পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ড জামাতের পক্ষ থেকে শহীদদের জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।মোঃ জাহিদুল ইসলামের পরিচালনায়, বক্তব্য রাখেন মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল গাফফার খান, অধ্যাপক রেজাউল করিম, মাওলানা আব্দুল লতিফ, সোহেল আক্তার রিপন ও এ্যাভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমীন মাসুম প্রমুখ। বক্তারা ইসলামের বিরুদ্ধে যারা কাজ করে তাদের ভয় না পেয়ে ইসলামকে বিজয়ী করার আন্দলোনে শরিক থাকার আহবান জানান।
ইসলামে শহীদদের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহপাক নিজে পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়েছে তাদের তোমরা মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের রবের কাছ থেকে তারা রিজিকপ্রাপ্ত।’ (সুরা, আল-ইমরান, আ/১৬৯)।
পবিত্র কোরআনের অন্যত্রে মহান আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘এ সময় যদি তোমাদের ওপর আঘাত লেগে থাকে, তাহলে এর আগে তোমাদের বিরোধী দলের ওপরও এ ধরনের আঘাত লেগেছে। এটা তো সময়ের উত্থান ও পতনমাত্র, যা আমি মানুষের মধ্যে একের পর এক দিয়ে থাকি। তোমাদের ওপর এ সময়টা এজন্য আনা হয়েছে যে, আল্লাহ দেখে নিতে চেয়েছিলেন, তোমাদের মধ্যে সাচ্চা মুমিন কারা এবং তিনি তোমাদের মধ্য থেকে ওই লোকদের বাছাই করে নিতে চেয়েছিলেন, যারা আসলেই শহীদ বা সত্যের সাক্ষী। কেননা জালিমদের আল্লাহ পছন্দ করেন না।’ (সুরা আল-ইমরান আ/ ১৪০)।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
মহান আল্লাহর কাছে একজন শহীদের জন্য রয়েছে আলাদা মর্যাদা ও সম্মান এবং তাকে ইসলাম প্রদান করেছে বিশেষ গুরুত্ব। একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত শহীদের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া-প্রার্থনা করা হয়,
দোয়া শেষে উপস্থিত সবার মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে এলাকার সকল মুসাল্লীগন উপস্থিত ছিলেন।