ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাফলং পাথর কুয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ‘ঘরে চাল নেই’, নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই পদ্মায় ইলিশ ধরছেন জেলেরা! পটুয়াখালীতে ফেসবুক স্টাটাস দিয়ে যুবতীর আত্নহত্যা। পাবনায় ভ্যান চালকের টাকা ছিনতাই করলেন রবিন বাহিনী। ছাত্র-জনতা ও আলেম হত্যাকারী আ’লীগের বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করতে হবে -মামুনুল হক নগরীর তেলিকোনায় শতবর্ষী গোবিন্দ পুকুর ভরাট ও মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের অভিযো সাবেক সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধেগুম ওখুনের অভিযোগ উঠেছে । গোয়াইনঘাটে এফআইভিডিবির সভা অনুষ্ঠিত রংপুরে ৩৪ জন আইনজীবীকে বিভিন্ন আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রদান কুসিকের জনপ্রতিনিধিদের পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রেসক্লাবের বিলুপ্ত কমিটির অপতৎপরতা ঠেকাতে ও দূর্নীতিগ্রস্থ সাংবাদিক নেতাদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মুখে নয় আগস্ট শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অন্তবর্তী কালীন কমিটির সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম শিল্পী। বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্য আরিয়ান লেনিনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান এর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর যখন প্রেসক্লাবে বিক্ষিপ্ত ছাত্রজনতা আক্রমণ করতে উদ্ভূত হয় তখন তৃণমূল সাংবাদিকরা দেশের সম্পদ প্রেসক্লাবকে রক্ষা করে। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র জনতার অভিযোগ বিগত দিনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবকে দলীয় কাজে ব্যবহার করেছেন,আন্দোলন কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন, এমনকি ছাত্রদের চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের পুলিশ ভ্যানে তুলে দেয়। এটা হচ্ছে অপসংবাদিকতা, সাংবাদিকরা কখনো এক পক্ষ হয়ে কাজ করতে পারে না। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের বিলুপ্ত কমিটির নেতারা নেতৃত্বে থেকে ক্লাবটিকে মাদক ও জুয়ার আসরে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া বক্তারা বলেন,প্রেসক্লাবে ছিলো শুধুমাত্র ক্লাবের সদস্যদের প্রবেশাধিকার,সাধারণ সাংবাদিকদের জন্য ছিলো এটি ক্যান্টনমেন্ট। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীদের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান তৈরিতে দেশের বিভিন্ন মানুষের অবদান রয়েছে। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের আশ্রয়স্থলে সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন যাবত সদস্য পদ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তৃণমূল সাংবাদিকরা জেগে উঠেছে। অতীতের সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের শৃংখল ভেঙে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে বৈষম্যহীন প্রেসক্লাব হিসেবে গড়ে তোলার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা যা পুরণ না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।ছাত্রদের বুকে নির্বিচারে গুলি চালানোর নেপথ্যের সহযোগিতাকারী সেসব সাংবাদিক নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানান বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক সমাজ।এছাড়াও সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংবাদিক নেতাদের দূর্নীতি খতিয়ে দেখে তাদের বিচারের দাবী জানান বক্তারা,সেসকল সাংবাদিকদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয় মানববন্ধন থেকে।

এসময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম, কিরন শর্মা,শিব্বির আহমেদ ওসমান এবং মোঃজালাল উদ্দিন সাগর, কামরুজ্জামান রনি, আমিনুল হক শাহিন, রাশেদুল আজীজ,মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বাহার, মোঃ আশরাফ উদ্দিন প্রমূখ।মানবন্ধনে যোগ দেয় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জাফলং পাথর কুয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

প্রেসক্লাবের বিলুপ্ত কমিটির অপতৎপরতা ঠেকাতে ও দূর্নীতিগ্রস্থ সাংবাদিক নেতাদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ১০:২৪:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মুখে নয় আগস্ট শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অন্তবর্তী কালীন কমিটির সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম শিল্পী। বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্য আরিয়ান লেনিনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান এর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর যখন প্রেসক্লাবে বিক্ষিপ্ত ছাত্রজনতা আক্রমণ করতে উদ্ভূত হয় তখন তৃণমূল সাংবাদিকরা দেশের সম্পদ প্রেসক্লাবকে রক্ষা করে। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র জনতার অভিযোগ বিগত দিনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবকে দলীয় কাজে ব্যবহার করেছেন,আন্দোলন কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন, এমনকি ছাত্রদের চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের পুলিশ ভ্যানে তুলে দেয়। এটা হচ্ছে অপসংবাদিকতা, সাংবাদিকরা কখনো এক পক্ষ হয়ে কাজ করতে পারে না। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের বিলুপ্ত কমিটির নেতারা নেতৃত্বে থেকে ক্লাবটিকে মাদক ও জুয়ার আসরে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া বক্তারা বলেন,প্রেসক্লাবে ছিলো শুধুমাত্র ক্লাবের সদস্যদের প্রবেশাধিকার,সাধারণ সাংবাদিকদের জন্য ছিলো এটি ক্যান্টনমেন্ট। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীদের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান তৈরিতে দেশের বিভিন্ন মানুষের অবদান রয়েছে। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের আশ্রয়স্থলে সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন যাবত সদস্য পদ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তৃণমূল সাংবাদিকরা জেগে উঠেছে। অতীতের সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের শৃংখল ভেঙে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে বৈষম্যহীন প্রেসক্লাব হিসেবে গড়ে তোলার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা যা পুরণ না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।ছাত্রদের বুকে নির্বিচারে গুলি চালানোর নেপথ্যের সহযোগিতাকারী সেসব সাংবাদিক নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানান বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক সমাজ।এছাড়াও সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংবাদিক নেতাদের দূর্নীতি খতিয়ে দেখে তাদের বিচারের দাবী জানান বক্তারা,সেসকল সাংবাদিকদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয় মানববন্ধন থেকে।

এসময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম, কিরন শর্মা,শিব্বির আহমেদ ওসমান এবং মোঃজালাল উদ্দিন সাগর, কামরুজ্জামান রনি, আমিনুল হক শাহিন, রাশেদুল আজীজ,মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বাহার, মোঃ আশরাফ উদ্দিন প্রমূখ।মানবন্ধনে যোগ দেয় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।