ঢাকা ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাফলং পাথর কুয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ‘ঘরে চাল নেই’, নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই পদ্মায় ইলিশ ধরছেন জেলেরা! পটুয়াখালীতে ফেসবুক স্টাটাস দিয়ে যুবতীর আত্নহত্যা। পাবনায় ভ্যান চালকের টাকা ছিনতাই করলেন রবিন বাহিনী। ছাত্র-জনতা ও আলেম হত্যাকারী আ’লীগের বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করতে হবে -মামুনুল হক নগরীর তেলিকোনায় শতবর্ষী গোবিন্দ পুকুর ভরাট ও মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের অভিযো সাবেক সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধেগুম ওখুনের অভিযোগ উঠেছে । গোয়াইনঘাটে এফআইভিডিবির সভা অনুষ্ঠিত রংপুরে ৩৪ জন আইনজীবীকে বিভিন্ন আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রদান কুসিকের জনপ্রতিনিধিদের পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

হানিয়ার মৃত্যুর জন্য ইসরাইল পুরোপুরি দায়ী: ওআইসি

হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে গত ৩১ জুলাই ইরানের তেহরানে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই ইসরাইলকে দোষারোপ করছিল হামাস, ইরান ও ফিলিস্তিন। এবার তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) বলছে, হানিয়ার মৃত্যুতে সম্পূর্ণ দায়ী ইসরাইল।

বুধবার ৫৭জন সদস্য নিয়ে সৌদি আরবে ওআইসির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের পরে ওআইসি একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে হানিয়ার হত্যাকাণ্ডকে ‘জঘন্য হামলা’ উল্লেখ্য করে অবৈধ দখলদার শক্তি ইসরাইলকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী করেছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে তারা বিষয়টিকে ইরানের সার্বভৌমত্বের ‘গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।

এ বিষয়ে ওআইসির চেয়ারম্যান ও গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু টাঙ্গারা বলেছেন, হানিয়ার ‘জঘন্য’ হত্যাকাণ্ড এবং গাজায় চলমান যুদ্ধ একটি আঞ্চলিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার আগ্রাসন লঙ্ঘন করা হয়েছে। ইরানের মাটিতে একজন রাজনৈতিক নেতাকে হত্যার মাধ্যমে এমন একটি কাজ যা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায় না। এই জঘন্য কাজটি শুধুমাত্র বিদ্যমান উত্তেজনা বাড়াতে কাজ করবে। যা একটি বিস্তৃত সংঘাতের দিকে পরিচালিত করতে পারে এবং সমগ্র অঞ্চলকে জড়িত করতে পারে।’

এদিকে হানিয়ার হত্যার পর ইসরাইলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইল। যদিও এ বিষয়ে ইরান ও ইসরাইলকে শান্ত থাকতে বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের মতে এ বিষয়ে উত্তেজনা বাড়লে তা এই অঞ্চলে প্রতিটি সমস্যাকে আরও খারাপ দিকে নিয়ে যাবে।

মিলার বলেন, ‘ইসরাইল সরকার সংঘর্ষ বাড়ানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। আমরা প্রত্যেকের কাছে যে বার্তাটি পাঠাচ্ছি তা হল: দেখুন, এই অঞ্চলের জন্য এটি স্পষ্টতই একটি খুব নাজুক সময়। উত্তেজনা বাড়ছে। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি আমরা। কেননা, এটি না হলে এই অঞ্চলে প্রতিটি সমস্যা আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জাফলং পাথর কুয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

হানিয়ার মৃত্যুর জন্য ইসরাইল পুরোপুরি দায়ী: ওআইসি

আপডেট সময় ০১:০৩:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪

হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে গত ৩১ জুলাই ইরানের তেহরানে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই ইসরাইলকে দোষারোপ করছিল হামাস, ইরান ও ফিলিস্তিন। এবার তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) বলছে, হানিয়ার মৃত্যুতে সম্পূর্ণ দায়ী ইসরাইল।

বুধবার ৫৭জন সদস্য নিয়ে সৌদি আরবে ওআইসির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের পরে ওআইসি একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে হানিয়ার হত্যাকাণ্ডকে ‘জঘন্য হামলা’ উল্লেখ্য করে অবৈধ দখলদার শক্তি ইসরাইলকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী করেছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে তারা বিষয়টিকে ইরানের সার্বভৌমত্বের ‘গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।

এ বিষয়ে ওআইসির চেয়ারম্যান ও গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু টাঙ্গারা বলেছেন, হানিয়ার ‘জঘন্য’ হত্যাকাণ্ড এবং গাজায় চলমান যুদ্ধ একটি আঞ্চলিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার আগ্রাসন লঙ্ঘন করা হয়েছে। ইরানের মাটিতে একজন রাজনৈতিক নেতাকে হত্যার মাধ্যমে এমন একটি কাজ যা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায় না। এই জঘন্য কাজটি শুধুমাত্র বিদ্যমান উত্তেজনা বাড়াতে কাজ করবে। যা একটি বিস্তৃত সংঘাতের দিকে পরিচালিত করতে পারে এবং সমগ্র অঞ্চলকে জড়িত করতে পারে।’

এদিকে হানিয়ার হত্যার পর ইসরাইলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইল। যদিও এ বিষয়ে ইরান ও ইসরাইলকে শান্ত থাকতে বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের মতে এ বিষয়ে উত্তেজনা বাড়লে তা এই অঞ্চলে প্রতিটি সমস্যাকে আরও খারাপ দিকে নিয়ে যাবে।

মিলার বলেন, ‘ইসরাইল সরকার সংঘর্ষ বাড়ানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। আমরা প্রত্যেকের কাছে যে বার্তাটি পাঠাচ্ছি তা হল: দেখুন, এই অঞ্চলের জন্য এটি স্পষ্টতই একটি খুব নাজুক সময়। উত্তেজনা বাড়ছে। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি আমরা। কেননা, এটি না হলে এই অঞ্চলে প্রতিটি সমস্যা আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’