ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আল্লাহর আনুগত্যের জন্য রাসূল(স.)এর আনুগত্য করতে হবে প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মোসলেহ তজুমউদ্দিনে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১ সাকিবের বিকল্প খুঁজে নিলো বাংলাদেশ যেভাবে দেশ-বিদেশে ৫৮০ বাড়ির মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান রিফাত মহিউদ্দিন খান রিফাত শরীয়তপুরের জাজিরায় কালবেলার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন ঈশ্বরদীতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত ফরিদপুরের জাকারিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত, হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর মানবজাতির মুক্তির দিশারি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আবুল হাশেম বক্কর বি আর টি সির চেয়ারম্যানের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে সেমিনারে অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী

মিরপুরে অবৈধ অটোরিকশা বাণিজ্যের মূলহোতা তুহিন ভূঁইয়ার শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

অবৈধ অটোরিকশা বাণিজ্যের মূলহোতা কথিত সাংবাদিক সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তুহিন ভূঁইয়ার কাছে পাওনা টাকা আদায়, হুমকির প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী। দৈনিক বাংলার দূত পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তুহিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে তার অফিসে সাবেক কিছু প্রতিনিধি ও কর্মচারীবৃন্দ তাদের কাজের পাওনা টাকা আদায় ও কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

তাদের একজন ভুক্তভোগী এম. আসমত আলী মিসু জানান তিনি দৈনিক বাংলার দূত পত্রিকা ও নির্বাণ প্রকাশনীর কাজের জন্য এসেছিলেন। কিন্তু তুহিন ভূঁইয়া তার নামের কার্ড ছাপিয়ে অবৈধ অটোরিকশার বাণিজ্য করে আসতেন। এ বিষয়ে আমি এবং অন্যরা প্রতিবাদ করলে কোন সমস্যা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন ও ব্যবসা চালিয়ে যেতে বলেন তুহিন ভূঁইয়া। আমি সহ অফিসের সকলেই কয়েকবার প্রতিবাদ করলে একসময় আলোর পথিক নামে জাসদ এর মশাল লোগো ব্যবহার করে তুহিন ভূঁইয়া ব্যবসা চালাতেন। এসময় মুভি বাংলা টেলিভিশন ও অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রতিবেদনে অবৈধ অটোরিকশা বাণিজ্যের সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে দৈনিক বাংলার দূত পত্রিকার অফিসের কর্মচারীগণ মিলে প্রতিবাদ করলে তুহিন ভূঁইয়ার সাথে বাকবিতন্ডা হয় এবং অফিস থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে আমাদের বেতন-ভাতা চাইলে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তুহিন ভূঁইয়া সকলের পাওনাদি দিতে অস্বীকার করেন ও হুমকি ধামকি দেন।

তাই তাহার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক অভিযোগ করা হয়। আরেকজন ভুক্তভোগী আরিফুজ্জামান সাগর জানান যে, তুহিন ভূঁইয়া বিভিন্ন সময়ে অফিসের বিদ্যুৎ বিল, অফিস ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতনের জন্য আমার নিকট থেকে ৯২,০০০/- (বিরানব্বই হাজার) টাকা ধার নিয়েছিলেন এর সাথে বেতন-ভাতাসহ ২,২০,০০০/- (দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা পাওনাদি আছি। আমি টাকা ফেরৎ চাইলে তুহিন ভূঁইয়া তার গুন্ডাবাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে আমি শাহ আলী থানায় জিডি করি।

এছাড়াও উপস্থিত আরও এক ভুক্তভোগী মোঃ আনিসুল হক ক্লিপটন জানান যে তুহিন ভূঁইয়া বিভিন্ন ব্যক্তিদের অফিসে নিয়ে এসে ফিটিংবাজি, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যেতেন। এছাড়াও ভুক্তভোগী সাবিনা আক্তার মিষ্টি জানান আমাকে তিন মাসের বেতন না দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন তুহিন ভূঁইয়া। এছাড়াও আরেকজন ভুক্তভোগী মহিমা আক্তার জানান আমাকে তিন মাসের বেতন না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে অপদস্ত করে অফিস থেকে বের করে দেন। ভুক্তভোগী সকলেই দেশবাসী ও প্রশাসনের নিকট তুহিন গংদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা কামনা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

 

 

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আল্লাহর আনুগত্যের জন্য রাসূল(স.)এর আনুগত্য করতে হবে প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মোসলেহ

মিরপুরে অবৈধ অটোরিকশা বাণিজ্যের মূলহোতা তুহিন ভূঁইয়ার শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০১:০৭:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

অবৈধ অটোরিকশা বাণিজ্যের মূলহোতা কথিত সাংবাদিক সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তুহিন ভূঁইয়ার কাছে পাওনা টাকা আদায়, হুমকির প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী। দৈনিক বাংলার দূত পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তুহিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে তার অফিসে সাবেক কিছু প্রতিনিধি ও কর্মচারীবৃন্দ তাদের কাজের পাওনা টাকা আদায় ও কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

তাদের একজন ভুক্তভোগী এম. আসমত আলী মিসু জানান তিনি দৈনিক বাংলার দূত পত্রিকা ও নির্বাণ প্রকাশনীর কাজের জন্য এসেছিলেন। কিন্তু তুহিন ভূঁইয়া তার নামের কার্ড ছাপিয়ে অবৈধ অটোরিকশার বাণিজ্য করে আসতেন। এ বিষয়ে আমি এবং অন্যরা প্রতিবাদ করলে কোন সমস্যা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন ও ব্যবসা চালিয়ে যেতে বলেন তুহিন ভূঁইয়া। আমি সহ অফিসের সকলেই কয়েকবার প্রতিবাদ করলে একসময় আলোর পথিক নামে জাসদ এর মশাল লোগো ব্যবহার করে তুহিন ভূঁইয়া ব্যবসা চালাতেন। এসময় মুভি বাংলা টেলিভিশন ও অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রতিবেদনে অবৈধ অটোরিকশা বাণিজ্যের সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে দৈনিক বাংলার দূত পত্রিকার অফিসের কর্মচারীগণ মিলে প্রতিবাদ করলে তুহিন ভূঁইয়ার সাথে বাকবিতন্ডা হয় এবং অফিস থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে আমাদের বেতন-ভাতা চাইলে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তুহিন ভূঁইয়া সকলের পাওনাদি দিতে অস্বীকার করেন ও হুমকি ধামকি দেন।

তাই তাহার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক অভিযোগ করা হয়। আরেকজন ভুক্তভোগী আরিফুজ্জামান সাগর জানান যে, তুহিন ভূঁইয়া বিভিন্ন সময়ে অফিসের বিদ্যুৎ বিল, অফিস ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতনের জন্য আমার নিকট থেকে ৯২,০০০/- (বিরানব্বই হাজার) টাকা ধার নিয়েছিলেন এর সাথে বেতন-ভাতাসহ ২,২০,০০০/- (দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা পাওনাদি আছি। আমি টাকা ফেরৎ চাইলে তুহিন ভূঁইয়া তার গুন্ডাবাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে আমি শাহ আলী থানায় জিডি করি।

এছাড়াও উপস্থিত আরও এক ভুক্তভোগী মোঃ আনিসুল হক ক্লিপটন জানান যে তুহিন ভূঁইয়া বিভিন্ন ব্যক্তিদের অফিসে নিয়ে এসে ফিটিংবাজি, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যেতেন। এছাড়াও ভুক্তভোগী সাবিনা আক্তার মিষ্টি জানান আমাকে তিন মাসের বেতন না দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন তুহিন ভূঁইয়া। এছাড়াও আরেকজন ভুক্তভোগী মহিমা আক্তার জানান আমাকে তিন মাসের বেতন না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে অপদস্ত করে অফিস থেকে বের করে দেন। ভুক্তভোগী সকলেই দেশবাসী ও প্রশাসনের নিকট তুহিন গংদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা কামনা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।