ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এবার অত্যাধুনিক বাস নির্মাণ করে চমকে দিল আফগানিস্তান পটুয়াখালীতে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন যোদ্ধাদের নতুন প্রধানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল ফিলিস্তিনিরা স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীরা মাথাচাড়া দিচ্ছে : তারেক রহমান মুরাদনগরের জোরপূর্বক হিন্দু পরিবারের রাস্তা দখলের পায়তারা আল্লাহর আনুগত্যের জন্য রাসূল(স.)এর আনুগত্য করতে হবে প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মোসলেহ তজুমউদ্দিনে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১ সাকিবের বিকল্প খুঁজে নিলো বাংলাদেশ যেভাবে দেশ-বিদেশে ৫৮০ বাড়ির মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান রিফাত মহিউদ্দিন খান রিফাত শরীয়তপুরের জাজিরায় কালবেলার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকায় বোরহানউদ্দিনের-৬ জন নিহত

  • রিয়াজ ফরাজী
  • আপডেট সময় ১২:৩৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
  • ৫৬৮ বার পড়া হয়েছে

রাজধানী ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিহতদের মধ্যে একজন ছাত্র ও বাকীরা শ্রমজীবি বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন, দীপ্ত চৌধুরী (২০) ছাত্র, সুজন(২৫) ট্রাক হেল্পার, লিজা আক্তার (১৪) গৃহকর্মী, ইলিয়াছ(১৮)রাজ মিস্ত্রি, জামাল (৩৫)রিক্সা চালক, ও নাঈম (২৪) ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী।

নিহত ছয়জনের মধ্যে দুজন উপজেলার সাচরা ইউনিয়নের বাসিন্দা, দুজন দেউলা ইউনিয়নের বাসিন্দা বাকি দুজনের এক জন কুতুবা ইউনিয়নের ও একজন বড়মানিকা ইউনিয়নের বাসিন্দা।

নিহতদের স্বজনরা জানান, তারা কোনো সহিংসতার সাথে জড়িত ছিলেন না তারা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীও নন।

নিহত নাঈমের বাবা আঃ জলিল জানায়, তার ছেলে মিরপুরে থাকতেন তিনি বিকাশ কোম্পানিতে চাকুরী করতেন পাশাপাশি বিকেলে মিরপুর ৬নম্বরের বাতেন সড়কের মাথায় বিকেলে ভ্যানে করে গার্মেন্টস আইটেমের মালামাল বিক্রি করতেন মালামাল বিক্রি করতে গেলে সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

নিহত ট্রাক হেল্পার সুজনের বড়ভাই নিজাম জানান, তার ছোটভাই সুজন ঢাকার মহাম্মদপুরে থাকতেন ২০ জুলাই গাড়ি নিয়ে বেড় হলে ঢাকার গাবতলীতে আলম সাহেবের মাঠে গাড়ির চাকা নষ্ট হলে তিনি গাড়ি থেকে নামেন পরে সেখানে তার ভাই গুলিবিদ্ধ হন পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে নিহত গৃহকর্মী লিজার স্বজন জানান, লিজা শান্তিনগরের একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন ঘটনার দিন ঔই বাসার ১৪ তলায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিলেন সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন, সেখান থেকে উদ্ধার করে গৃহকর্তা রাজধানীর ল্যাবএইড হসপিটালে নিয়ে যান সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত রাজমিস্ত্রী ইলিয়াছ এর বড়ভাই জানান, তারা ৪ভাই মিলে নারায়ণগঞ্জে একটি ভাড়া বাসায় থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন, ঘটনার দিন কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় তার ভাইয়ের লাশ পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। স্থানীয় একজন ইলিয়াছের মোবাইল ফোন থেকে কন্টাক্ট নাম্বার বেড় করে স্বজনদের ফোন দিয়ে জানায় স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করে।

নিহত রিক্সা চালক জামালের মামা জানান, মহাম্মদপুরের চাঁদউদ্যান থেকে রিক্সা নিয়ে বেড় হলে তিনি সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান সেখানে আতঙ্কে তার মৃত্যু হয়।

নিহতদের মধ্যে ৪জনকে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় তাদের নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নিহত রিক্সাচালক জামালকে ঢাকার বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য নিহতদের মধ্যে কুতুবা ইউনিয়নের সনাতন ধর্মের দীপ্ত চৌধুরী (ছাত্র) নিহত হন মাদারিপুরে, তাকে কুতুবা ইউনিয়নে সৎকার করা হয়েছে।

নিহতদের স্বজনরা এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবী জানান ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার অত্যাধুনিক বাস নির্মাণ করে চমকে দিল আফগানিস্তান

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকায় বোরহানউদ্দিনের-৬ জন নিহত

আপডেট সময় ১২:৩৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

রাজধানী ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিহতদের মধ্যে একজন ছাত্র ও বাকীরা শ্রমজীবি বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন, দীপ্ত চৌধুরী (২০) ছাত্র, সুজন(২৫) ট্রাক হেল্পার, লিজা আক্তার (১৪) গৃহকর্মী, ইলিয়াছ(১৮)রাজ মিস্ত্রি, জামাল (৩৫)রিক্সা চালক, ও নাঈম (২৪) ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী।

নিহত ছয়জনের মধ্যে দুজন উপজেলার সাচরা ইউনিয়নের বাসিন্দা, দুজন দেউলা ইউনিয়নের বাসিন্দা বাকি দুজনের এক জন কুতুবা ইউনিয়নের ও একজন বড়মানিকা ইউনিয়নের বাসিন্দা।

নিহতদের স্বজনরা জানান, তারা কোনো সহিংসতার সাথে জড়িত ছিলেন না তারা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীও নন।

নিহত নাঈমের বাবা আঃ জলিল জানায়, তার ছেলে মিরপুরে থাকতেন তিনি বিকাশ কোম্পানিতে চাকুরী করতেন পাশাপাশি বিকেলে মিরপুর ৬নম্বরের বাতেন সড়কের মাথায় বিকেলে ভ্যানে করে গার্মেন্টস আইটেমের মালামাল বিক্রি করতেন মালামাল বিক্রি করতে গেলে সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

নিহত ট্রাক হেল্পার সুজনের বড়ভাই নিজাম জানান, তার ছোটভাই সুজন ঢাকার মহাম্মদপুরে থাকতেন ২০ জুলাই গাড়ি নিয়ে বেড় হলে ঢাকার গাবতলীতে আলম সাহেবের মাঠে গাড়ির চাকা নষ্ট হলে তিনি গাড়ি থেকে নামেন পরে সেখানে তার ভাই গুলিবিদ্ধ হন পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে নিহত গৃহকর্মী লিজার স্বজন জানান, লিজা শান্তিনগরের একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন ঘটনার দিন ঔই বাসার ১৪ তলায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিলেন সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন, সেখান থেকে উদ্ধার করে গৃহকর্তা রাজধানীর ল্যাবএইড হসপিটালে নিয়ে যান সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত রাজমিস্ত্রী ইলিয়াছ এর বড়ভাই জানান, তারা ৪ভাই মিলে নারায়ণগঞ্জে একটি ভাড়া বাসায় থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন, ঘটনার দিন কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় তার ভাইয়ের লাশ পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। স্থানীয় একজন ইলিয়াছের মোবাইল ফোন থেকে কন্টাক্ট নাম্বার বেড় করে স্বজনদের ফোন দিয়ে জানায় স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করে।

নিহত রিক্সা চালক জামালের মামা জানান, মহাম্মদপুরের চাঁদউদ্যান থেকে রিক্সা নিয়ে বেড় হলে তিনি সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান সেখানে আতঙ্কে তার মৃত্যু হয়।

নিহতদের মধ্যে ৪জনকে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় তাদের নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নিহত রিক্সাচালক জামালকে ঢাকার বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য নিহতদের মধ্যে কুতুবা ইউনিয়নের সনাতন ধর্মের দীপ্ত চৌধুরী (ছাত্র) নিহত হন মাদারিপুরে, তাকে কুতুবা ইউনিয়নে সৎকার করা হয়েছে।

নিহতদের স্বজনরা এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবী জানান ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।