চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে নগরীর কোতোয়ালি ও পাহাড়তলী থানায় নতুন করে আরও দুটি মামলা হয়েছে।
এসআই নয়ন বড়ুয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এবং এসআই আকতারুজ্জামান সোহাগ বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এ নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বিভিন্ন থানায় ২২টি এবং জেলায় ১১টিসহ ৩৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নগরী ও জেলায় নতুন করে আরও ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সোমবারের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৬ জুলাই রাত থেকে এ পর্যন্ত ৯৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের দুই সমন্বয়কের ভিডিও বার্তায় সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নগরীর চেরাগী মোড় এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে হত্যা, দাঙ্গা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নাশকতার ঘটনায় নতুন দুই মামলাসহ ২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৫৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলন ঘিরে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় ১১টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ মোট ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।