ঢাকা ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শহীদ আবুল বাশার মাষ্টারের ১১তম শাহাদাৎ বার্ষিক উপলক্ষে বিশাল স্মরণ সভা পাহাড়তলীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট, কিং আলী গ্রেফতার নাগরিক ঐক্য চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধি সমাবেশ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) জেলা শাখা কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত ভোলার তুলাতুলি পার্কে বিনোদনের নামে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীলতা। লালমনিরহাটে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার সমস্যাকে রাজনৈতিক মূলধন করলে সমস্যা আরো গুরুতর হবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চাঁদপুরে তাবলিগ ইজতেমায় হাজারো মুসল্লিদের একসাথে জুম্মার নামাজ আদায়। এবার অত্যাধুনিক বাস নির্মাণ করে চমকে দিল আফগানিস্তান পটুয়াখালীতে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন

টাকার অভাবে লাশ গ্রামে নিতে পারেনি হাবিবের পরিবার

রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ১৯ জুলাই ও এর পরবর্তী কয়েকদিনের সংঘাতে ভোলার লালমোহনের সাতজন নিহত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাহ্বুব-উল-লালম। তবে নিহতদের কেউই আন্দোলনকারী ছিল না বলে দাবি পরিবারের। হতদরিদ্র এসব পরিবারের উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে এখন তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

নিহতদের মধ্যে উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চাঁদপুর গ্রামের শেকান্তর মুন্সিবাড়ির ছেলে আরিফ যাত্রাবাড়ীর একটি হোটেলে কাজ করতেন। তাকে হারিয়ে বৃদ্ধ বাবা চোখে অন্ধকার দেখছেন। উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কালমা এলাকার হমজুউদ্দিন বাড়ির বজলুর রহমান ব্যাপারীর ছেলে আকতার হোসেনও (৩৫) ঢাকায় গুলিতে নিহত হয়েছেন। ঢাকার মোহাম্মদপুরে ১৫ বছর ধরে ভাড়া নিয়ে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। ১৯ জুলাই অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। এখন পুত্রবধূ এবং দুই নাতি-নাতনির কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত আকতারের দিনমজুর বাবা বজলুর রহমান।

এছাড়া এ উপজেলার নিহত আরও পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন রামপুরায় মোসলেহ উদ্দিন (৪০), শনির আখড়ায় মো. হাবিব (৪০), যাত্রাবাড়ীতে হাফেজ মো. শাহাবুদ্দিন (৩৫), শাকিল (২০) এবং মো. সাইদুল (১২)। তাদের মধ্যে মোসলেহউদ্দিন রামপুরার একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। তিনি উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের পাঙাশিয়া এলাকার মো. হানিফের ছেলে। এছাড়া শনির আখড়ায় নিহত হাবিব পেশায় ছিলেন প্রাইভেটকারচালক। তিনি লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চরমোল্লাজির মো. শফিউল্যাহর ছেলে। টাকার অভাবে তার লাশ এলাকায় নিতে পারেনি পরিবার। তাই হাবিবের লাশ ঢাকার জুরাইনে দাফন করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ীতে নিহত হাফেজ মো. শাহাবুদ্দিনও একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের লেজছকিনা এলাকার রদ্দিবাড়ির মো. খলিলের ছেলে। এছাড়া শাকিল ও সাইদুল পেশায় ছিলেন হোটেল কর্মচারী। তাদের মধ্যে শাকিল লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের কাজিরাবাদ এলাকার মৃত দলিল উদ্দিনের ছেলে এবং সাইদুল কালমা ইউনিয়নের লেজছকিনার মো. আকবর হোসেনের ছেলে।

লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাহবুব-উল-আলম বলেন, ঢাকায় সংঘর্ষে এ উপজেলার মোট সাতজন নিহত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছি। এখনো তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ আবুল বাশার মাষ্টারের ১১তম শাহাদাৎ বার্ষিক উপলক্ষে বিশাল স্মরণ সভা

টাকার অভাবে লাশ গ্রামে নিতে পারেনি হাবিবের পরিবার

আপডেট সময় ১২:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ১৯ জুলাই ও এর পরবর্তী কয়েকদিনের সংঘাতে ভোলার লালমোহনের সাতজন নিহত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাহ্বুব-উল-লালম। তবে নিহতদের কেউই আন্দোলনকারী ছিল না বলে দাবি পরিবারের। হতদরিদ্র এসব পরিবারের উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে এখন তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

নিহতদের মধ্যে উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চাঁদপুর গ্রামের শেকান্তর মুন্সিবাড়ির ছেলে আরিফ যাত্রাবাড়ীর একটি হোটেলে কাজ করতেন। তাকে হারিয়ে বৃদ্ধ বাবা চোখে অন্ধকার দেখছেন। উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কালমা এলাকার হমজুউদ্দিন বাড়ির বজলুর রহমান ব্যাপারীর ছেলে আকতার হোসেনও (৩৫) ঢাকায় গুলিতে নিহত হয়েছেন। ঢাকার মোহাম্মদপুরে ১৫ বছর ধরে ভাড়া নিয়ে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। ১৯ জুলাই অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। এখন পুত্রবধূ এবং দুই নাতি-নাতনির কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত আকতারের দিনমজুর বাবা বজলুর রহমান।

এছাড়া এ উপজেলার নিহত আরও পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন রামপুরায় মোসলেহ উদ্দিন (৪০), শনির আখড়ায় মো. হাবিব (৪০), যাত্রাবাড়ীতে হাফেজ মো. শাহাবুদ্দিন (৩৫), শাকিল (২০) এবং মো. সাইদুল (১২)। তাদের মধ্যে মোসলেহউদ্দিন রামপুরার একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। তিনি উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের পাঙাশিয়া এলাকার মো. হানিফের ছেলে। এছাড়া শনির আখড়ায় নিহত হাবিব পেশায় ছিলেন প্রাইভেটকারচালক। তিনি লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চরমোল্লাজির মো. শফিউল্যাহর ছেলে। টাকার অভাবে তার লাশ এলাকায় নিতে পারেনি পরিবার। তাই হাবিবের লাশ ঢাকার জুরাইনে দাফন করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ীতে নিহত হাফেজ মো. শাহাবুদ্দিনও একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের লেজছকিনা এলাকার রদ্দিবাড়ির মো. খলিলের ছেলে। এছাড়া শাকিল ও সাইদুল পেশায় ছিলেন হোটেল কর্মচারী। তাদের মধ্যে শাকিল লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের কাজিরাবাদ এলাকার মৃত দলিল উদ্দিনের ছেলে এবং সাইদুল কালমা ইউনিয়নের লেজছকিনার মো. আকবর হোসেনের ছেলে।

লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাহবুব-উল-আলম বলেন, ঢাকায় সংঘর্ষে এ উপজেলার মোট সাতজন নিহত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছি। এখনো তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।