কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহতদের স্মরণে বুধবার গায়েবানা নামাজ আদায় করা হয়েছে। বিকাল ৪টার দিকে নগরীর লালদিঘি মাঠে বিপুল পুলিশ পাহারার মধ্যদিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক নামাজে জানাজায় অংশ নেন।
গায়েবানা নামাজে জানাজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে লালদিঘি মাঠের অদূরে কোতোয়ালি, সিনেমা প্যালেস ও বক্সিরহাট এলাকায় পুলিশি ব্যারিকেড দেওয়া হয়। লালদিঘি সড়কে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় যানবাহন চলাচল। শেষ পর্যন্ত অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নামাজে জানাজা শেষ হয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হেঁটে জানাজা স্থলে পৌঁছান।
জানাজা নামজপূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কার দাবির পক্ষে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সারা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে। কিন্তু সরকার মঙ্গলবার তাদের কর্মসূচিতে পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। চট্টগ্রামে ৩ জনসহ সারা দেশে ৬ জন শিক্ষার্থী পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মুরাদপুর ও ষোলশহর এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। একটি ভবন ঘেরাও করে সেখানে ছাত্রলীগের কর্মীদের মারধর ও অনেককে ভবনের ৬ তলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয় এবং তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয়। পরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। রাজপথে ঘেরাও করে এলোপাথাড়ি কোপায়। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে দুই কলেজ শিক্ষার্থী ও পথচারী এক দোকান কর্মচারী নিহত হন।
এদিকে নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ স্বজনদের হস্তান্তর করে। তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।