ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া বাজারে গুলি: যুবদল কর্মী বিপু গুলিবিদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। ফের বাড়ল সোনার দাম মুসলমানদেরকে শিরক মুক্ত ঈমান ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন করতে হবে ভোলায় গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সংগ্রহের লিফলেট বিতরণ মধ্যরাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল নভেম্বরেও হচ্ছে না হামজার অভিষেক! ইউএনও’র বাসভবনে সিন্দুক ভরা পোড়া টাকার ভিডিও ভাইরাল, সমালোচনা কুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার থানাধীন গ্রাম পদ্মকোট বৈধ গ্যাস লাইন বকেয়ার বিলের কারনে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে, পরামর্শ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে সরকার

‘বাইক চালকদের হেলমেট কেড়ে নেয় ছাত্রলীগ’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে রক্তাক্ত একটি দিন দেখলেন দেশবাসী। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। এ সময় ছয়জন নিহত ও কয়েকশ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় দুই যুবক, চট্টগ্রামে দুই শিক্ষার্থী ও এক পথচারীসহ ৩ জন এবং রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

দফায় দফায় হামলা, ধাওয়া-পালটাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের গুলিবর্ষণ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপে রাজধানীর ঢাকা কলেজ ও সায়েন্স ল্যাব এলাকা, চট্টগ্রাম নগরী, রংপুর, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মোড়ে মোড়ে ব্লকেডে রাজধানী অচল হয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার ঢাকা কলেজ ও শাহবাগ এলাকা দিয়ে যারা মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন তাদের কাছ থেকে হেলমেট কেড়ে নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সায়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সাধারণ মানুষ যারা মোটরসাইকেল নিয়ে কাজে বেরিয়েছিল তাদের কাছ থেকে জোর করে হেলমেট কেড়ে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তাদের হাতে লাঠিসোটা ছিল। আরোহীদের কাছ থেকে হেলমেট কেড়ে নিয়ে তারা নিজেরাই সেগুলো পরে নেন। তারপর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান।

তিনি বলেন, ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া প্রতিটি মোটরসাইকেল চালক, যাত্রীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে জোর করে হেলমেট ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

একই ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকাতেও। মঙ্গলবার দুপুরে টিএসসিতে ছাত্রলীগের সমাবেশের ছবি তুলতে যাওয়া এক আলোকচিত্রী বলেন, আমিসহ কয়েকজন সাংবাদিককে থামিয়ে তারা মাথা থেকে হেলমেট খুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা আমাকে জানায়, নিরাপত্তার জন্য তাদের হেলমেট প্রয়োজন। আমি তাদের বলেছি, আপনাকে হেলমেট দিলে আমার নিরাপত্তার কী হবে? পরে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া বাজারে গুলি: যুবদল কর্মী বিপু গুলিবিদ্ধ

‘বাইক চালকদের হেলমেট কেড়ে নেয় ছাত্রলীগ’

আপডেট সময় ১২:৩২:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে রক্তাক্ত একটি দিন দেখলেন দেশবাসী। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। এ সময় ছয়জন নিহত ও কয়েকশ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় দুই যুবক, চট্টগ্রামে দুই শিক্ষার্থী ও এক পথচারীসহ ৩ জন এবং রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

দফায় দফায় হামলা, ধাওয়া-পালটাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের গুলিবর্ষণ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপে রাজধানীর ঢাকা কলেজ ও সায়েন্স ল্যাব এলাকা, চট্টগ্রাম নগরী, রংপুর, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মোড়ে মোড়ে ব্লকেডে রাজধানী অচল হয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার ঢাকা কলেজ ও শাহবাগ এলাকা দিয়ে যারা মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন তাদের কাছ থেকে হেলমেট কেড়ে নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সায়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সাধারণ মানুষ যারা মোটরসাইকেল নিয়ে কাজে বেরিয়েছিল তাদের কাছ থেকে জোর করে হেলমেট কেড়ে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তাদের হাতে লাঠিসোটা ছিল। আরোহীদের কাছ থেকে হেলমেট কেড়ে নিয়ে তারা নিজেরাই সেগুলো পরে নেন। তারপর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান।

তিনি বলেন, ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া প্রতিটি মোটরসাইকেল চালক, যাত্রীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে জোর করে হেলমেট ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

একই ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকাতেও। মঙ্গলবার দুপুরে টিএসসিতে ছাত্রলীগের সমাবেশের ছবি তুলতে যাওয়া এক আলোকচিত্রী বলেন, আমিসহ কয়েকজন সাংবাদিককে থামিয়ে তারা মাথা থেকে হেলমেট খুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা আমাকে জানায়, নিরাপত্তার জন্য তাদের হেলমেট প্রয়োজন। আমি তাদের বলেছি, আপনাকে হেলমেট দিলে আমার নিরাপত্তার কী হবে? পরে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়।