ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া বাজারে গুলি: যুবদল কর্মী বিপু গুলিবিদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। ফের বাড়ল সোনার দাম মুসলমানদেরকে শিরক মুক্ত ঈমান ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন করতে হবে ভোলায় গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সংগ্রহের লিফলেট বিতরণ মধ্যরাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল নভেম্বরেও হচ্ছে না হামজার অভিষেক! ইউএনও’র বাসভবনে সিন্দুক ভরা পোড়া টাকার ভিডিও ভাইরাল, সমালোচনা কুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার থানাধীন গ্রাম পদ্মকোট বৈধ গ্যাস লাইন বকেয়ার বিলের কারনে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে, পরামর্শ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে সরকার

জাবিতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষকরাও

কোটা সংস্কার আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।

মঙ্গলবার রাতে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের পাঠানো হয়েছে।

ইউজিসির নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বসেছে জরুরি সিন্ডিকেট সভা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও হল ভ্যাকেন্ট করতেই এই সিন্ডিকেট সভার আহ্বান করা হয়েছে।

এদিকে এমন খবর পেয়ে রেজিস্ট্রার ভবনের নিচে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষকও।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ইমন বলেন, আমাদের আন্দোলনকে বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে সরকার। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। অ্যাক্ট অনুযায়ী ইউজিসির সিদ্ধান্ত মানতে বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য নয়। নিয়োগ থেকে শুরু করে কোনো ক্ষেত্রেই ইউজিসির নির্দেশনা মানা হয় না। আজ যদি কোনোভাবে হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে তা আমরা মেনে নেবো না।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অবস্থান নেওয়া ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট অনুযায়ী সিন্ডিকেটের কোনও সিদ্ধান্ত ছয় মাসের আগে পরিবর্তন সম্ভব নয়। গতকাল সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ তা কোনোভাবেই বন্ধ করা যেতে পারে না।

শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে কাল (মঙ্গলবার) উপাচার্যকে বলেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে কোনোভাবেই সমাধান সম্ভব নয়।’

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া বাজারে গুলি: যুবদল কর্মী বিপু গুলিবিদ্ধ

জাবিতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষকরাও

আপডেট সময় ১২:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।

মঙ্গলবার রাতে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের পাঠানো হয়েছে।

ইউজিসির নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বসেছে জরুরি সিন্ডিকেট সভা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও হল ভ্যাকেন্ট করতেই এই সিন্ডিকেট সভার আহ্বান করা হয়েছে।

এদিকে এমন খবর পেয়ে রেজিস্ট্রার ভবনের নিচে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষকও।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ইমন বলেন, আমাদের আন্দোলনকে বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে সরকার। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। অ্যাক্ট অনুযায়ী ইউজিসির সিদ্ধান্ত মানতে বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য নয়। নিয়োগ থেকে শুরু করে কোনো ক্ষেত্রেই ইউজিসির নির্দেশনা মানা হয় না। আজ যদি কোনোভাবে হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে তা আমরা মেনে নেবো না।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অবস্থান নেওয়া ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট অনুযায়ী সিন্ডিকেটের কোনও সিদ্ধান্ত ছয় মাসের আগে পরিবর্তন সম্ভব নয়। গতকাল সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ তা কোনোভাবেই বন্ধ করা যেতে পারে না।

শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে কাল (মঙ্গলবার) উপাচার্যকে বলেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে কোনোভাবেই সমাধান সম্ভব নয়।’