ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপি এক ব্যক্তির শাসন দেখতে চায় নাশহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি গণতন্ত্র কিংবা অন্য কোন মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়- আমীর, ইসলামী সমাজ। ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া বাজারে গুলি: যুবদল কর্মী বিপু গুলিবিদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। ফের বাড়ল সোনার দাম মুসলমানদেরকে শিরক মুক্ত ঈমান ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন করতে হবে ভোলায় গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সংগ্রহের লিফলেট বিতরণ মধ্যরাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল নভেম্বরেও হচ্ছে না হামজার অভিষেক! ইউএনও’র বাসভবনে সিন্দুক ভরা পোড়া টাকার ভিডিও ভাইরাল, সমালোচনা

রংপুরে পুলিশের টিয়ারসেলের গুলিতে নিহত এক আহত ৪০

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলকারীদের সাথে দফায় দফায় ছাত্রলীগ ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ও পুলিশের ছড়া টিয়ারসেলের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন।

১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্কের মোড়ে শতশত ছাত্র-ছাত্রী জড়ো হয়। পরে তারা একটি মিছিল নিয়ে শহরের শাপলা চৌরাস্তার দিকে অগ্রসর হলে অপরদিক থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীগণ আন্দোলনকারীদের উপর ধাওয়া দেয়।এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণের নেওয়ার চেষ্টা করেন।কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে আন্দোলনকারীদের সাথে একত্বতা প্রকাশ করে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শত শত ছাত্র ছাত্রীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংযুক্ত হন।আর এর কারণে দ্রুত সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।

এ সময় পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করে। আন্দোলনকারীরা পার্কের মোড় থেকে বেরিয়ে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের আটকিয়ে দেয়,কিন্তু তারা পুলিশ ব্যারিকেট ভেঙ্গে চৌরাস্তার দিকে অগ্রসর হয়। আবারও চৌরাস্তা থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দিলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থায় নেয়।

আন্দোলনকারীদের একটি অংশ প্রাইমারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। অপর একটি অংশ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনেসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। এ সময় শাপলা পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল ও দোকানপাঠ কমপক্ষে ৩ ঘন্টা বন্ধ থাকে। উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার সেল,গ্যাস গান করে ইত্যাদি নিক্ষোপ করে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

সংঘর্ষে পুলিশের টিয়ার সেলের গুলিতে মারা যান কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীর সমন্বয় আবু সাঈদ পিতাঃমকবুল হোসেন গ্রামঃবাবনপুর থানাঃপীরগঞ্জ জেলাঃ রংপুর সে ১২ তম ব্যাচের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী উভয় পক্ষের প্রায় ৪০ অধিক লোক আহত হয়েছেন। সচিত্র প্রতিবেদন ধারণ করতে দেখা গিয়েছে অনেক গণমাধ্যম কর্মীকে (সংবাদ সংগ্রহ) করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের তথ্য গবেষণা ও দপ্তর সম্পাদক সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার রেদওয়ান হিমেলসহ ভিডিও সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম , শাহ নওয়াজজনিসহ অন্তত ১০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পরে বিকেল ৬টার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।শিক্ষার্থীদের ঘোষণা আসে আগামীকাল সকাল দশটার মধ্যে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তারপর যান চলাচল স্বাভাবিক অবস্থানে আসে।

সাংবাদিকদের উপর হামলার বিষয়ে যমুনা টেলিভিশনের রংপুর ব্যাুর প্রধান সরকার মাজহার মান্নান,তার ব্যক্তিগত প্রোফাইলে বলেন,কোটা আন্দোলন নিয়ে সংঘর্ষের সময় দায়িত্বপালনকালে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের তথ্য গবেষণা ও দপ্তর সম্পাদক সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার রেদওয়ান হিমেলসহ ভিডিও সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম , শাহ নওয়াজজনিসহ অন্তত ১০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।এদের কেউ কেউ টিয়ারশেল রাবারবুলেট ও ছররা গুলিতে, কেউ কেউ আন্দোলনকারীদের হাতে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে হামলাকারীদের আইনের আওতায় দাবি জানাচ্ছি। আমরা মনে করি গণমাধ্যমকর্মীদের সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করতে দিতে হবে। কোন ধরণের বাঁধা সৃষ্টি করলে গণমাধ্যমকর্মীরা রুখে দাড়াবে। সংশ্লিষ্টদের খবর বর্জনের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি এক ব্যক্তির শাসন দেখতে চায় নাশহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

রংপুরে পুলিশের টিয়ারসেলের গুলিতে নিহত এক আহত ৪০

আপডেট সময় ০৯:৩৭:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলকারীদের সাথে দফায় দফায় ছাত্রলীগ ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ও পুলিশের ছড়া টিয়ারসেলের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন।

১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্কের মোড়ে শতশত ছাত্র-ছাত্রী জড়ো হয়। পরে তারা একটি মিছিল নিয়ে শহরের শাপলা চৌরাস্তার দিকে অগ্রসর হলে অপরদিক থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীগণ আন্দোলনকারীদের উপর ধাওয়া দেয়।এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণের নেওয়ার চেষ্টা করেন।কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে আন্দোলনকারীদের সাথে একত্বতা প্রকাশ করে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শত শত ছাত্র ছাত্রীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংযুক্ত হন।আর এর কারণে দ্রুত সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।

এ সময় পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করে। আন্দোলনকারীরা পার্কের মোড় থেকে বেরিয়ে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের আটকিয়ে দেয়,কিন্তু তারা পুলিশ ব্যারিকেট ভেঙ্গে চৌরাস্তার দিকে অগ্রসর হয়। আবারও চৌরাস্তা থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দিলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থায় নেয়।

আন্দোলনকারীদের একটি অংশ প্রাইমারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। অপর একটি অংশ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনেসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। এ সময় শাপলা পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল ও দোকানপাঠ কমপক্ষে ৩ ঘন্টা বন্ধ থাকে। উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার সেল,গ্যাস গান করে ইত্যাদি নিক্ষোপ করে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

সংঘর্ষে পুলিশের টিয়ার সেলের গুলিতে মারা যান কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীর সমন্বয় আবু সাঈদ পিতাঃমকবুল হোসেন গ্রামঃবাবনপুর থানাঃপীরগঞ্জ জেলাঃ রংপুর সে ১২ তম ব্যাচের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী উভয় পক্ষের প্রায় ৪০ অধিক লোক আহত হয়েছেন। সচিত্র প্রতিবেদন ধারণ করতে দেখা গিয়েছে অনেক গণমাধ্যম কর্মীকে (সংবাদ সংগ্রহ) করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের তথ্য গবেষণা ও দপ্তর সম্পাদক সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার রেদওয়ান হিমেলসহ ভিডিও সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম , শাহ নওয়াজজনিসহ অন্তত ১০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পরে বিকেল ৬টার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।শিক্ষার্থীদের ঘোষণা আসে আগামীকাল সকাল দশটার মধ্যে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তারপর যান চলাচল স্বাভাবিক অবস্থানে আসে।

সাংবাদিকদের উপর হামলার বিষয়ে যমুনা টেলিভিশনের রংপুর ব্যাুর প্রধান সরকার মাজহার মান্নান,তার ব্যক্তিগত প্রোফাইলে বলেন,কোটা আন্দোলন নিয়ে সংঘর্ষের সময় দায়িত্বপালনকালে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের তথ্য গবেষণা ও দপ্তর সম্পাদক সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার রেদওয়ান হিমেলসহ ভিডিও সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম , শাহ নওয়াজজনিসহ অন্তত ১০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।এদের কেউ কেউ টিয়ারশেল রাবারবুলেট ও ছররা গুলিতে, কেউ কেউ আন্দোলনকারীদের হাতে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে হামলাকারীদের আইনের আওতায় দাবি জানাচ্ছি। আমরা মনে করি গণমাধ্যমকর্মীদের সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করতে দিতে হবে। কোন ধরণের বাঁধা সৃষ্টি করলে গণমাধ্যমকর্মীরা রুখে দাড়াবে। সংশ্লিষ্টদের খবর বর্জনের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।