শ্রীমঙ্গল সাব-রেজিস্ট্রারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির কারণে দলিল লেখকরা তার অপসারণের দাবিতে টানা দুই দিন থেকে কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন। গত সোম ও মঙ্গলবার সকাল থেকে সারা দিনব্যাপী তারা এ কর্ম বিরতি পালন করে।
সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সদস্য মো. মছদ্দর আলী জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি শংকর কুমার ধর সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে অফিসে যোগদান করেই বিভিন্ন দলিলে সরকার নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি এর বাইরে অতিরিক্ত ঘুসের ১ থেকে ৫% টাকা আদায়, হয়রানি ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। উত্তরাধিকারী দলিলের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন করতে হলে ছেলে বাবদ ৫ হাজার, নাতি ২০ হাজার টাকা ধার্য করে দিয়েছেন। এরকম দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিছলু আহমেদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ২৫ হাজার টাকা আদায় করেছেন।
বাঁটোয়ারা দলিলে রাস্তার কথা উল্লেখ থাকলে সরকারি ফি এর কথা বলে তিমির বনিকের কাছে থেকে রশিদ ছাড়া ১ লাখ টাকা ঘুস নিয়েছেন, এভাবে সাংবাদিক ইসমাইল মাহমুদের এক আত্মীয়ের দলিল রেজিস্ট্রেশনে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে বক্তব্যে মছদ্দর আলী জানান। এ সময় সমিতির সভাপতি সায়েদ আলী বলেন, তিনি যোগদান করে অফিসে বসার জন্য শ্রীমঙ্গল পৌর মেয়রের দান সব চেয়ার টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করে দিয়েছেন এবং খাস কামড়াকে পার্টিশন দিয়ে আলাদা দুটি রুম করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া।
সমিতির সম্পাদক ফজলুর রহমান বলেন, সরকার নির্ধারিত ফি এর বাইরে তারা কোনো টাকা দিতে পারবেন না বলে জানালে সাব-রেজিস্ট্রার তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার শংকর কুমার ধরকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন রাখলে তিনি জানান, তিনি কর্ম বিরতির বিষয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তিনি জানান, প্রতিনিয়ত সরকার সার্কুলার পরিবর্তন করছে, তাই রেভিনিউ আদায়ে আমাকে ভূমিকা রাখতে হবে।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা রেজিস্ট্রার সোহেল রানা মিলন এর মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, তিনি ৩ দিনের ছুটিতে রয়েছেন।