ঢাকা ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপি এক ব্যক্তির শাসন দেখতে চায় নাশহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি গণতন্ত্র কিংবা অন্য কোন মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়- আমীর, ইসলামী সমাজ। ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া বাজারে গুলি: যুবদল কর্মী বিপু গুলিবিদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। ফের বাড়ল সোনার দাম মুসলমানদেরকে শিরক মুক্ত ঈমান ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন করতে হবে ভোলায় গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সংগ্রহের লিফলেট বিতরণ মধ্যরাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল নভেম্বরেও হচ্ছে না হামজার অভিষেক! ইউএনও’র বাসভবনে সিন্দুক ভরা পোড়া টাকার ভিডিও ভাইরাল, সমালোচনা

‘৪০০ কোটির পিয়ন’ জাহাঙ্গীরের যত সম্পদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনের সাবেক পিয়ন মো. জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিতের (ফ্রিজ) নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সব ব্যাংকে এ নির্দেশনা পাঠায়।

নির্দেশনায় তাদের অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য পাঁচ দিনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা ও নোয়াখালীর নিজ এলাকায় বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ অঢেল সম্পদের মালিক। তিনি ‘নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক’- এমন কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই।

রবিবার সংবাদ সম্মেলনে পিএসসির এক গাড়িচালক কিভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার বাসার একজন পিয়ন ছিল, সেও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক! হেলিকপ্টার ছাড়া নাকি চলে না। পরে তাকে ধরা হয়েছে। খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।”

জাহাঙ্গীরের যত সম্পদ

নির্বাচনি হলফনামা থেকে জানা গেছে, রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় জাহাঙ্গীরের রয়েছে কয়েকশ কোটি টাকার সম্পদ। এর মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও নিউমার্কেটে দুটি দোকান, মিরপুরে সাততলা ভবন ও নোয়াখালীতে গ্রামের বাড়িতে একতলা পাকা বাড়ি রয়েছে।

এদিকে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রীর নামে আটতলা ভবন রয়েছে, হলফনামায় যার দাম দেখানো হয় ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। মিরপুরে দুটি ফ্ল্যাটের দাম দেখানো হয় ৪৪ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ২ হাজার ৩৬০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার দাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭৬ লাখ টাকা।

নির্বাচনি হলফনামায় জাহাঙ্গীরের স্থাবর সম্পদের মধ্যে কৃষিজমির পরিমাণ সাড়ে ৪ একরের মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। স্ত্রীর অকৃষিজমি আছে ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকার। হিসাবের বাইরেও তাদের রয়েছে আরও নানা সম্পদ। তার অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ২ কোটি ৫২ লাখ এবং স্ত্রীর নামে ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা আছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপিএস আছে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, এফডিআর ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার। স্ত্রীর ব্যাংক স্থিতি ২৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ও ডিপিএস ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বন্ড ঋণপত্র স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এ রকম কোম্পানির শেয়ার আছে ৫৮ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ২৫ লাখ টাকা।

জাহাঙ্গীরের নিজস্ব ৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আছে। স্ত্রীর নামে আছে আরও ৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, একটি গাড়ি, যার দাম হলফনামায় দেখানো হয়েছে ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এ ছাড়া ৭৫ তোলা স্বর্ণের দাম দেখানো হয় ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর স্ত্রীর স্বর্ণ আছে ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকার। আসবাব ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ১০ লাখ ২৮ হাজার টাকার, স্ত্রীর নামে আছে ৯ লাখ টাকার। জাহাঙ্গীরের ব্যবহৃত পিস্তলের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা। অংশীদারি ফার্মে তার মূলধন আছে ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। স্ত্রীর ব্যবসায় মূলধন আছে ৭৩ লাখ টাকার।

সব মিলিয়ে কৃষি খাতে তার বছরে আয় ৪ লাখ টাকা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে আয় ১১ লাখ টাকা, ব্যবসা থেকে ৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং সঞ্চয়পত্রের আয় ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। চাকরি থেকে ভাতা দেখানো হয় বছরে ৬ লাখ টাকা এবং অন্য উৎস থেকে বছরে আয় আরও ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি এক ব্যক্তির শাসন দেখতে চায় নাশহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

‘৪০০ কোটির পিয়ন’ জাহাঙ্গীরের যত সম্পদ

আপডেট সময় ০৯:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনের সাবেক পিয়ন মো. জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিতের (ফ্রিজ) নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সব ব্যাংকে এ নির্দেশনা পাঠায়।

নির্দেশনায় তাদের অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য পাঁচ দিনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা ও নোয়াখালীর নিজ এলাকায় বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ অঢেল সম্পদের মালিক। তিনি ‘নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক’- এমন কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই।

রবিবার সংবাদ সম্মেলনে পিএসসির এক গাড়িচালক কিভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার বাসার একজন পিয়ন ছিল, সেও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক! হেলিকপ্টার ছাড়া নাকি চলে না। পরে তাকে ধরা হয়েছে। খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।”

জাহাঙ্গীরের যত সম্পদ

নির্বাচনি হলফনামা থেকে জানা গেছে, রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় জাহাঙ্গীরের রয়েছে কয়েকশ কোটি টাকার সম্পদ। এর মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও নিউমার্কেটে দুটি দোকান, মিরপুরে সাততলা ভবন ও নোয়াখালীতে গ্রামের বাড়িতে একতলা পাকা বাড়ি রয়েছে।

এদিকে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রীর নামে আটতলা ভবন রয়েছে, হলফনামায় যার দাম দেখানো হয় ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। মিরপুরে দুটি ফ্ল্যাটের দাম দেখানো হয় ৪৪ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ২ হাজার ৩৬০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার দাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭৬ লাখ টাকা।

নির্বাচনি হলফনামায় জাহাঙ্গীরের স্থাবর সম্পদের মধ্যে কৃষিজমির পরিমাণ সাড়ে ৪ একরের মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। স্ত্রীর অকৃষিজমি আছে ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকার। হিসাবের বাইরেও তাদের রয়েছে আরও নানা সম্পদ। তার অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ২ কোটি ৫২ লাখ এবং স্ত্রীর নামে ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা আছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপিএস আছে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, এফডিআর ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার। স্ত্রীর ব্যাংক স্থিতি ২৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ও ডিপিএস ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বন্ড ঋণপত্র স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এ রকম কোম্পানির শেয়ার আছে ৫৮ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ২৫ লাখ টাকা।

জাহাঙ্গীরের নিজস্ব ৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আছে। স্ত্রীর নামে আছে আরও ৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, একটি গাড়ি, যার দাম হলফনামায় দেখানো হয়েছে ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এ ছাড়া ৭৫ তোলা স্বর্ণের দাম দেখানো হয় ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর স্ত্রীর স্বর্ণ আছে ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকার। আসবাব ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ১০ লাখ ২৮ হাজার টাকার, স্ত্রীর নামে আছে ৯ লাখ টাকার। জাহাঙ্গীরের ব্যবহৃত পিস্তলের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা। অংশীদারি ফার্মে তার মূলধন আছে ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। স্ত্রীর ব্যবসায় মূলধন আছে ৭৩ লাখ টাকার।

সব মিলিয়ে কৃষি খাতে তার বছরে আয় ৪ লাখ টাকা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে আয় ১১ লাখ টাকা, ব্যবসা থেকে ৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং সঞ্চয়পত্রের আয় ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। চাকরি থেকে ভাতা দেখানো হয় বছরে ৬ লাখ টাকা এবং অন্য উৎস থেকে বছরে আয় আরও ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা।