ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের মতো হামলার কবলে পড়েছিলেন যেসব মার্কিন রাষ্ট্রনায়ক

নির্বাচনি জনসভায় রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দেশটির রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়টি সামনে এসেছে।

তবে ট্রাম্পই প্রথম ব্যক্তি নয় যে তিনি নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বা সহিংসতার শিকার হয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সহিংসতা নতুন কিছু নয়। দেশটিতে এ ধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৬৩ সালে দেশটিতে জন এফ কেনেডিকে হত্যাসহ সাবেক চার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তাদের নিজ অফিসে হত্যা করা হয়।

এছাড়া ১৯৮১ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান গুলিবিদ্ধ হয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।

গত দুই দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেসব রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে সবেচেয়ে বড় কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো-
২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসওম্যান গ্যাবি গিফোর্ডস অ্যারিজোনাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। ওই ঘটনায় আরও ছয় জন নিহত হয়।

২০১৭ সালের ১৪ জুন বার্ষিক কংগ্রেসনাল বেসবল গেম অনুশীলন অনুষ্ঠানে এক বন্দুকধারী গুলি চালায়। এত রিপাবরিকান হাউজ মেজরিটি হুইপ স্টিভ স্কালিস আহত হন।

২০১৭ আগস্টের ১২ ভার্জিনিয়ার শার্লোটসভিলে একজন অতি-ডানপন্থীর সমাবেশে একজন শ্বেতাঙ্গ তার প্রতিপক্ষের র্যালিতে গাড়ি নিয়ে হামলা চালায়, এতে এতজন নিহত হয়।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের পর তার মেনে নিতে না পেরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল হিলে হামলা চালায় ট্রাম্পের সমর্থকরা।

২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালির্ফোনিয়ায় ডেমোক্রেটিক হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বাড়িতে প্রবেশ করে এক ব্যক্তি হামলা চালায়। ওই সময়ে পেলোসির স্বামীকে হ্যামার দিয়ে আক্রমণ করা হয়। এতে তিনি গুরুতর জখম হন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্পের মতো হামলার কবলে পড়েছিলেন যেসব মার্কিন রাষ্ট্রনায়ক

আপডেট সময় ১১:০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

নির্বাচনি জনসভায় রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দেশটির রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়টি সামনে এসেছে।

তবে ট্রাম্পই প্রথম ব্যক্তি নয় যে তিনি নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বা সহিংসতার শিকার হয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সহিংসতা নতুন কিছু নয়। দেশটিতে এ ধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৬৩ সালে দেশটিতে জন এফ কেনেডিকে হত্যাসহ সাবেক চার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তাদের নিজ অফিসে হত্যা করা হয়।

এছাড়া ১৯৮১ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান গুলিবিদ্ধ হয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।

গত দুই দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেসব রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে সবেচেয়ে বড় কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো-
২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসওম্যান গ্যাবি গিফোর্ডস অ্যারিজোনাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। ওই ঘটনায় আরও ছয় জন নিহত হয়।

২০১৭ সালের ১৪ জুন বার্ষিক কংগ্রেসনাল বেসবল গেম অনুশীলন অনুষ্ঠানে এক বন্দুকধারী গুলি চালায়। এত রিপাবরিকান হাউজ মেজরিটি হুইপ স্টিভ স্কালিস আহত হন।

২০১৭ আগস্টের ১২ ভার্জিনিয়ার শার্লোটসভিলে একজন অতি-ডানপন্থীর সমাবেশে একজন শ্বেতাঙ্গ তার প্রতিপক্ষের র্যালিতে গাড়ি নিয়ে হামলা চালায়, এতে এতজন নিহত হয়।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের পর তার মেনে নিতে না পেরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল হিলে হামলা চালায় ট্রাম্পের সমর্থকরা।

২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালির্ফোনিয়ায় ডেমোক্রেটিক হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বাড়িতে প্রবেশ করে এক ব্যক্তি হামলা চালায়। ওই সময়ে পেলোসির স্বামীকে হ্যামার দিয়ে আক্রমণ করা হয়। এতে তিনি গুরুতর জখম হন।