উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির ঢলে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ তারাটিয়া সানন্দবাড়ী প্রধান সড়কে নির্মাণাধীন মহারানী ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক এবং দেওয়ানগঞ্জ খোলাবাড়ী সড়কের বড় ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে যায়। এ কারণে দেওয়ানগঞ্জের সাঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ৪টি উপজেলার সরাসরি সড়ক পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, রাজিবপুরের যানবাহন দেওয়ানগঞ্জ তারাটিয়া সড়কের কাঠারবিল হয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে চলাচল করে। গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি উপজেলার লোকজন যমুনা নদী পার হয়ে চিকাজানী খোলাবাড়ী সড়কে চলাচল করে। খোলাবাড়ী ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে উত্তরের চার উপজেলাসহ দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মানুষ সড়ক পথে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন নৌকা দিয়ে নদী পার হচ্ছেন।
সাময়িকভাবে চলাচলের উপযোগী করতে সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ প্রদান করেছেন এবং বলেছেন দ্রুতই অ্যাপ্রোচ সড়ক দুইটি মেরামত করা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ামাত্রই অ্যাপ্রোচ সড়ক দুইটি মেরামত করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান, নির্মাণাধীন মহারানী ব্রিজের ঠিকাদারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। খোলাবাড়ী ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক উপজেলা পরিষদ থেকে মেরামত করা হবে। সংসদ সদস্য অস্থায়ী মেরামতের জন্য অর্থ দিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ যুগান্তরকে জানান, পানি কমলে সিএনজি ও অটোরিকশা চলাচলের জন্য কাঠ-বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হবে। পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে মাটি ভরাট করে অ্যাপ্রোচ সড়ক মেরামত করা হবে।
চিকাজানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম জানান, ব্রিজের সড়ক ভাঙায় খোলাবাড়ীসহ ৪ ওয়ার্ডের প্রায় ২ হাজার পরিবার দুর্ভোগে রয়েছে। দ্রুত কাঠ-বাঁশ দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।