ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, ফের বন্যার শঙ্কা

সুনামগঞ্জে গত দুই দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফের বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার প্রধান নদী সুরমার পানি প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিকাল ৩টা থেকে সুরমার পানি শহরের ষোলঘর পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

দিনে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পানি বৃদ্ধি কিছুটা হ্রাস পায়। জেলার সব নদ-নদী ও হাওড়ের পানি টইটুম্বুর থাকায় ভারি বৃষ্টিপাত হলেই তা ফুলে-ফেঁপে ওঠে।

সুরমার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর, ষোলঘর, লঞ্চঘাট, আরপিননগর, সাহেববাড়িঘাট, বড়পাড়া, বাগানবাড়ি, মল্লিকপুর এলাকার রাস্তাঘাটে পানি উঠেছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে তাহিরপুর সড়ক প্লাবিত হয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী গত দুই দিনে সুনামগঞ্জে ৪১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুরমাসহ বেড়েছে সব নদ-নদীর পানি। পানি বাড়ায় তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলা অংশে মৌসুমে তৃতীয়বারের মতো পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তাদের তথ্যমতে, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল নেমে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী নদী, ধোপাজান, যাদুকাটা ও পাটলাই নদী এবং খাসিয়ামার, চেলা নদী দিয়ে দ্রুতবেগে পানি প্রবাহিত হয়ে জেলার প্রধান নদী সুরমার বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এছাড়া হাওড়েও পানি বেড়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারতে বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে; যার ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন পাহাড়ি ঢল এবং টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সুনামগঞ্জের সব নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়। কিছুদিন পর গত ৩০ জুন থেকে আবারও টানা বর্ষণ হওয়ায় জেলার সব নদী ও হাওড়গুলোতে পানি বেড়ে ফের বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, ফের বন্যার শঙ্কা

আপডেট সময় ১২:২২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

সুনামগঞ্জে গত দুই দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফের বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার প্রধান নদী সুরমার পানি প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিকাল ৩টা থেকে সুরমার পানি শহরের ষোলঘর পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

দিনে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পানি বৃদ্ধি কিছুটা হ্রাস পায়। জেলার সব নদ-নদী ও হাওড়ের পানি টইটুম্বুর থাকায় ভারি বৃষ্টিপাত হলেই তা ফুলে-ফেঁপে ওঠে।

সুরমার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর, ষোলঘর, লঞ্চঘাট, আরপিননগর, সাহেববাড়িঘাট, বড়পাড়া, বাগানবাড়ি, মল্লিকপুর এলাকার রাস্তাঘাটে পানি উঠেছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে তাহিরপুর সড়ক প্লাবিত হয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী গত দুই দিনে সুনামগঞ্জে ৪১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুরমাসহ বেড়েছে সব নদ-নদীর পানি। পানি বাড়ায় তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলা অংশে মৌসুমে তৃতীয়বারের মতো পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তাদের তথ্যমতে, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল নেমে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী নদী, ধোপাজান, যাদুকাটা ও পাটলাই নদী এবং খাসিয়ামার, চেলা নদী দিয়ে দ্রুতবেগে পানি প্রবাহিত হয়ে জেলার প্রধান নদী সুরমার বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এছাড়া হাওড়েও পানি বেড়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারতে বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে; যার ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন পাহাড়ি ঢল এবং টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সুনামগঞ্জের সব নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়। কিছুদিন পর গত ৩০ জুন থেকে আবারও টানা বর্ষণ হওয়ায় জেলার সব নদী ও হাওড়গুলোতে পানি বেড়ে ফের বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।