রংপুর মহানগরীসহ জেলার আট উপজেলায় হঠাৎ করে গরুর ল্যাম্পিস্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। গত এক মাসে ল্যাম্পিস্কিনে আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে কৃষক ও বিভিন্ন খামারের পাঁচ শতাধিক গরু। এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খামারিরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা জরুরি ভিত্তিতে ল্যাম্পিস্কিন রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, এই রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মিঠাপুকুর উপজেলায়। এই উপজেলায় ৩০টিরও বেশি গরু ইতোমধ্যে মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে দুই শতাধিকের বেশি। এছাড়াও রংপুর মহানগরীর তামপাট, মাহিগঞ্জ, সাতমাথা, তপোধন, দর্শনা, কেরানীরহাটসহ জেলার রংপুর সদর, পীরগাছা, কাউনিয়া, হারাগাছ, গঙ্গাচড়া, বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ এবং পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গরুর ল্যাম্পিস্কিন রোগ দেখা দিয়েছে।
মিঠাপুকুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা একরামুল হক মন্ডল বলেন, বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে প্রতিষেধক হিসাবে ভ্যাকসিনসহ জনসচেতনতা সৃষ্টি, উঠান বৈঠক ও মেডিক্যাল ক্যাম্প করে রোগের প্রতিকার সম্পর্কে অবগত করা হচ্ছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এ রোগটি ক্ষুরা ও ল্যাম্পিস্কিন রোগের নতুন ধরন।
রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একরামুল হক বলেন, ল্যাম্পিস্কিনের বিষয়ে অবগত আছি। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। আশা করি দ্রুতই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।