ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান ছিলেন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আপসহীন যোদ্ধা: ফখরুল গাজায় প্রবেশের জন্য প্রস্তুত ১ হাজার ৩০০ ত্রাণবাহী ট্রাক মনোহরগঞ্জে ডায়াবেটিক হাসপাতাল উদ্বোধন। আফতাবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবলু পন্ডিত – সাধারণ সম্পাদক জহির জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বেলাবোতে বিএনপির শীতবস্ত্র বিতরণ নাগেশ্বরীতে এমপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ বায়রা সদস্য কল্যাণ পরিষদ এর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও মিলন মেলা-২০২৫ অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ফের উত্তেজনা জনপ্রিয় বিনোদনের স্থান নন্দন পার্ক বন্ধের পথে মালিকপক্ষের দ্বন্দ্বে পবিপ্রবির নির্মাণাধীন হলে পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, বটির কোপে আহত ১

যেসব অপরাধে ফেঁসে যেতে পারেন মতিউর

ছাগলকাণ্ডে সমালোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে তিনি কয়েকটি অপরাধ করেছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

এনবিআরের বড় কর্তা হলেও ২০০৮ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে শেয়ারবাজারে জড়িত ছিলেন মতিউর রহমান। দুভাবে তিনি বাজার থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। সেগুলো হলো- প্লেসমেন্ট বাণিজ্য এবং কারসাজির আগাম তথ্য জেনে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনে বেশি দামে বিক্রি করতেন। সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুসারে এ ধরনের কাজ বেআইনি এবং অনৈতিক।

বিশ্লেষকদের মতে, একই সঙ্গে তিনি কয়েকটি অপরাধ করেছেন।
প্রথমত, তিনি সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন।
দ্বিতীয়ত, বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।
তৃতীয়ত, তিনি সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন করেছেন।
চতুর্থত, তিনি শেয়ার লেনদেন করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।

ইতোমধ্যে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে এনবিআর। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তার বিও অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সিডিবিএলকে পাঠানো চিঠিতে এ আদেশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিও হিসাব জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসাবে দুদকের পক্ষ থেকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে শেয়ারবাজারে থাকা বিও হিসাব জব্দের জন্য আবেদন জানানো হয়। দুদকের ওই আবেদনের পর বিএসইসি এসব বিও হিসাব জব্দের ব্যবস্থা নেয়। এদিকে এখন পর্যন্ত মতিউর ও পরিবারের সদস্যদের ১৬টি বিও অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে মতিউর রহমানের নামে চারটি, প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে দুটি, প্রথম পক্ষের ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে দুটি, প্রথম পক্ষের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতার নামে তিনটি ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর নামে পাঁচটি বিও হিসাব রয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জিয়াউর রহমান ছিলেন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আপসহীন যোদ্ধা: ফখরুল

যেসব অপরাধে ফেঁসে যেতে পারেন মতিউর

আপডেট সময় ১১:১৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

ছাগলকাণ্ডে সমালোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে তিনি কয়েকটি অপরাধ করেছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

এনবিআরের বড় কর্তা হলেও ২০০৮ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে শেয়ারবাজারে জড়িত ছিলেন মতিউর রহমান। দুভাবে তিনি বাজার থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। সেগুলো হলো- প্লেসমেন্ট বাণিজ্য এবং কারসাজির আগাম তথ্য জেনে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনে বেশি দামে বিক্রি করতেন। সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুসারে এ ধরনের কাজ বেআইনি এবং অনৈতিক।

বিশ্লেষকদের মতে, একই সঙ্গে তিনি কয়েকটি অপরাধ করেছেন।
প্রথমত, তিনি সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন।
দ্বিতীয়ত, বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।
তৃতীয়ত, তিনি সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন করেছেন।
চতুর্থত, তিনি শেয়ার লেনদেন করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।

ইতোমধ্যে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে এনবিআর। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তার বিও অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সিডিবিএলকে পাঠানো চিঠিতে এ আদেশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিও হিসাব জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসাবে দুদকের পক্ষ থেকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে শেয়ারবাজারে থাকা বিও হিসাব জব্দের জন্য আবেদন জানানো হয়। দুদকের ওই আবেদনের পর বিএসইসি এসব বিও হিসাব জব্দের ব্যবস্থা নেয়। এদিকে এখন পর্যন্ত মতিউর ও পরিবারের সদস্যদের ১৬টি বিও অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে মতিউর রহমানের নামে চারটি, প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে দুটি, প্রথম পক্ষের ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে দুটি, প্রথম পক্ষের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতার নামে তিনটি ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর নামে পাঁচটি বিও হিসাব রয়েছে।