ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, পচে নষ্ট হচ্ছে কুরবানির মাংস

বড়লেখায় বন্যায় বিদ্যুৎলাইন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠার দোহাই দিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি শুক্রবার পর্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকার ৮ হাজার গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে হাজার হাজার পানিবন্দি পরিবার অন্ধকারে ভোগান্তিতে পড়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, কোনো ধরনের আগাম নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় ধনি-দরিদ্র সব শ্রেণির মানুষের ঈদের কুরবানির মাংস ফ্রিজে পচে নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় গণহারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করায় চুরি-ডাকাতিরও আশঙ্কার করছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, পল্লীবিদ্যুতের বড়লেখা জোনাল অফিসের আওতাধীন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বুধবার হঠাৎ কোনো ধরনের আগাম বার্তা ছাড়াই উপজেলার তালিমপুর, সুজানগর, বর্নি, দাসেরবাজার ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। এতে অনেকের ফ্রিজে রাখা কুরবানির মাংস পচতে থাকে। শুক্রবার পর্যন্ত পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি তালিমপুর, সুজানগর, বর্নি, দাসেরবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৭ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রথমে ৫ হাজার ৫শ গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। শুক্রবার আরও ১৫০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎলাইন কেটে দেওয়া হয়েছে।

সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম জানান, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকদের কোনো ধরনের অবহিত না করে গণহারে তার ইউনিয়নের কয়েকশ গ্রাহকের বিদ্যুৎলাইন কেটে দিয়েছে। এসব মানুষের ফ্রিজে রাখা লাখ লাখ টাকার জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বন্যাদুর্গত পানিবন্দি মানুষজন।

তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান জানান, একেতো পানিবন্দি মানুষজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তার ওপর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকদের না জানিয়ে তার ইউনিয়নের অন্ধকার করে দিয়েছে। যেখানে সমস্যা সেখানে সাময়িক বন্ধ রেখে দ্রুত লাইন নিরাপদ না করে বন্যা আক্রান্ত মানুষকে অন্ধকারের আরেক ভোগান্তিতে ফেলে তারা (পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি) দায় সারছে। এটা স্বেচ্ছাচারিতা, অন্যায়, অমানবিক।

বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের এজিএম (কম) শহীদুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পানি থেকে লাইনের ক্লিয়ারেন্স কমে যাওয়ায় জননিরাপত্তার স্বার্থে বন্যাকবলিত এলাকার ৭ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎলাইন সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৭ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, পচে নষ্ট হচ্ছে কুরবানির মাংস

আপডেট সময় ১২:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

বড়লেখায় বন্যায় বিদ্যুৎলাইন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠার দোহাই দিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি শুক্রবার পর্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকার ৮ হাজার গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে হাজার হাজার পানিবন্দি পরিবার অন্ধকারে ভোগান্তিতে পড়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, কোনো ধরনের আগাম নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় ধনি-দরিদ্র সব শ্রেণির মানুষের ঈদের কুরবানির মাংস ফ্রিজে পচে নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় গণহারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করায় চুরি-ডাকাতিরও আশঙ্কার করছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, পল্লীবিদ্যুতের বড়লেখা জোনাল অফিসের আওতাধীন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বুধবার হঠাৎ কোনো ধরনের আগাম বার্তা ছাড়াই উপজেলার তালিমপুর, সুজানগর, বর্নি, দাসেরবাজার ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। এতে অনেকের ফ্রিজে রাখা কুরবানির মাংস পচতে থাকে। শুক্রবার পর্যন্ত পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি তালিমপুর, সুজানগর, বর্নি, দাসেরবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৭ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রথমে ৫ হাজার ৫শ গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। শুক্রবার আরও ১৫০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎলাইন কেটে দেওয়া হয়েছে।

সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম জানান, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকদের কোনো ধরনের অবহিত না করে গণহারে তার ইউনিয়নের কয়েকশ গ্রাহকের বিদ্যুৎলাইন কেটে দিয়েছে। এসব মানুষের ফ্রিজে রাখা লাখ লাখ টাকার জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বন্যাদুর্গত পানিবন্দি মানুষজন।

তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান জানান, একেতো পানিবন্দি মানুষজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তার ওপর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকদের না জানিয়ে তার ইউনিয়নের অন্ধকার করে দিয়েছে। যেখানে সমস্যা সেখানে সাময়িক বন্ধ রেখে দ্রুত লাইন নিরাপদ না করে বন্যা আক্রান্ত মানুষকে অন্ধকারের আরেক ভোগান্তিতে ফেলে তারা (পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি) দায় সারছে। এটা স্বেচ্ছাচারিতা, অন্যায়, অমানবিক।

বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের এজিএম (কম) শহীদুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পানি থেকে লাইনের ক্লিয়ারেন্স কমে যাওয়ায় জননিরাপত্তার স্বার্থে বন্যাকবলিত এলাকার ৭ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎলাইন সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।