ঢাকা ০২:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাঁদা,বর্ষা হলে গলা পানি চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী।

টাঙ্গাইল মির্জাপুরে উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের আটিয়ামামুদপুর গ্রামের মনপুরা ব্রিজ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা মাটির রাস্তা। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা-পানির সৃষ্টি হয়। আর বর্ষার সময় রাস্তায় অল্প বর্ষাতে গলা পানি হয়। এতে বিপাকে পড়েন ওই এলাকার শত শত মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে নিচু কাঁচা রাস্তাটি নিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,মির্জাপুর উপজেলার আটিয়ামামুদপুর গ্রামের মনপুরা ব্রিজ হয়তে সাবেক ইউপি সদস্য নাজিমুদ্দিন মিন্টু বাড়ির রাস্তার বাড়ি পর্যন্ত” প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই রাস্তার পাশে শতাধিক বাড়ি আছে। বিকল্প কোনো পথের ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটু সমান কাদা বর্ষাকালে গলা পর্যন্ত পানির মধ্যে চলাচল করতে হয় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, বৃদ্ধসহ অন্য সবার।

সারা বছরের প্রায় ৫/৬ মাস ভোগান্তির শিকার হতে হয় গ্রামবাসীর। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয় তাদের। এই এলাকার মানুষের আতংক ও ভয়ের নাম বৃষ্টি ও বর্ষা । বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে হাঁটু সমান কাঁদা ও একটু বর্ষা হলেই গলা পর্যন্ত পানি।

কাঁদার জন্য গ্রামের এ রাস্তায় কোনো অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, ভ্যান-রিকসা ঢোকে না। মোটরসাইকেল, সাইকেলে তো দূরে থাক,খালি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দায়। বৃষ্টির দিনে গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সও এখানে ঢুকতে পারে না। অনেক সময় কেউ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে কাঁধে করে কর্দমাক্ত রাস্তা পার করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মো.আলমগীর খান বলেন, আমাদের দুঃখ-কষ্ট, দুর্ভোগের কথা কেউ শুনে না। আমাদের ভোগান্তির কথা বলে বোঝানো যাবে না, নিজ চোখে দেখতে হবে। আমরা ঠিকমতো হাটবাজারে যেতে পারি না। কৃষিপণ্য সময়মতো বিক্রি করতে পারি না। আমাদের ছেলেমেয়েরা কষ্ট করে স্কুল-কলেজে যায়। বিশেষ করে বৃষ্টি-কাদার বর্ষায় নৌকা অথবা গলা পানিতে সাঁতার কেটে এক কিলোমিটার যাতায়াত করতে হয়। আর কত কাল এ কষ্ট করতে হবে কে জানে।

ওই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এলাকায় প্রচুর কৃষি ফসল উৎপাদন হয়। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে কৃষকরা সময়মতো পণ্য বাজারজাত করতে পারেন না। ফলে ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হতে না হতেই রাস্তার পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কি করে চলাচল করব আমরা কিছুই বুঝে পারি না।এলাকায় অসংখ্য স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী আছে, এসএসসি পরীক্ষার সময় বর্ষা কালে পানির ও কাঁদায় সময় মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে না জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনো ফল হয়নি। তাদের কাছে অনুরোধ আমাদের এই রাস্তার দিকে একটু নজর দেওয়ার জন্য।

জানতে চাইলে আনাইতারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল ময়নাল কে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আব্দুল আলীম বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা ও নিচু। রাস্তাটি মাটি ফেলে উঁচু করা বিশেষ দরকার, এই ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে। আশা করি, খু্ব তাড়াতাড়ি এর একটা সমাধান হবে।

এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মির্জা শামীমা আক্তার শিফা সরেজমিনে গিয়ে রাস্তাটি পরিদর্শন করে আশু সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাঁদা,বর্ষা হলে গলা পানি চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী।

আপডেট সময় ১১:৫৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

টাঙ্গাইল মির্জাপুরে উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের আটিয়ামামুদপুর গ্রামের মনপুরা ব্রিজ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা মাটির রাস্তা। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা-পানির সৃষ্টি হয়। আর বর্ষার সময় রাস্তায় অল্প বর্ষাতে গলা পানি হয়। এতে বিপাকে পড়েন ওই এলাকার শত শত মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে নিচু কাঁচা রাস্তাটি নিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,মির্জাপুর উপজেলার আটিয়ামামুদপুর গ্রামের মনপুরা ব্রিজ হয়তে সাবেক ইউপি সদস্য নাজিমুদ্দিন মিন্টু বাড়ির রাস্তার বাড়ি পর্যন্ত” প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই রাস্তার পাশে শতাধিক বাড়ি আছে। বিকল্প কোনো পথের ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটু সমান কাদা বর্ষাকালে গলা পর্যন্ত পানির মধ্যে চলাচল করতে হয় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, বৃদ্ধসহ অন্য সবার।

সারা বছরের প্রায় ৫/৬ মাস ভোগান্তির শিকার হতে হয় গ্রামবাসীর। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয় তাদের। এই এলাকার মানুষের আতংক ও ভয়ের নাম বৃষ্টি ও বর্ষা । বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে হাঁটু সমান কাঁদা ও একটু বর্ষা হলেই গলা পর্যন্ত পানি।

কাঁদার জন্য গ্রামের এ রাস্তায় কোনো অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, ভ্যান-রিকসা ঢোকে না। মোটরসাইকেল, সাইকেলে তো দূরে থাক,খালি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দায়। বৃষ্টির দিনে গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সও এখানে ঢুকতে পারে না। অনেক সময় কেউ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে কাঁধে করে কর্দমাক্ত রাস্তা পার করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মো.আলমগীর খান বলেন, আমাদের দুঃখ-কষ্ট, দুর্ভোগের কথা কেউ শুনে না। আমাদের ভোগান্তির কথা বলে বোঝানো যাবে না, নিজ চোখে দেখতে হবে। আমরা ঠিকমতো হাটবাজারে যেতে পারি না। কৃষিপণ্য সময়মতো বিক্রি করতে পারি না। আমাদের ছেলেমেয়েরা কষ্ট করে স্কুল-কলেজে যায়। বিশেষ করে বৃষ্টি-কাদার বর্ষায় নৌকা অথবা গলা পানিতে সাঁতার কেটে এক কিলোমিটার যাতায়াত করতে হয়। আর কত কাল এ কষ্ট করতে হবে কে জানে।

ওই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এলাকায় প্রচুর কৃষি ফসল উৎপাদন হয়। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে কৃষকরা সময়মতো পণ্য বাজারজাত করতে পারেন না। ফলে ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হতে না হতেই রাস্তার পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কি করে চলাচল করব আমরা কিছুই বুঝে পারি না।এলাকায় অসংখ্য স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী আছে, এসএসসি পরীক্ষার সময় বর্ষা কালে পানির ও কাঁদায় সময় মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে না জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনো ফল হয়নি। তাদের কাছে অনুরোধ আমাদের এই রাস্তার দিকে একটু নজর দেওয়ার জন্য।

জানতে চাইলে আনাইতারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল ময়নাল কে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আব্দুল আলীম বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা ও নিচু। রাস্তাটি মাটি ফেলে উঁচু করা বিশেষ দরকার, এই ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে। আশা করি, খু্ব তাড়াতাড়ি এর একটা সমাধান হবে।

এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মির্জা শামীমা আক্তার শিফা সরেজমিনে গিয়ে রাস্তাটি পরিদর্শন করে আশু সমাধানের চেষ্টা করা হবে।