ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ফেসবুক লাইভে কষ্টের কথা জানিয়ে প্রাণ দিলেন গৃহবধূ

চারঘাটে ফেসবুক লাইভে কষ্টের কথা জানিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছেন। এতে ওই এলাকায় ঈদের আনন্দ যেন মুহূর্তে বিষাদে রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর নাম রহিমা আক্তার রেমি। তিনি এক সন্তানের জননী। রেমি পাশের পুঠিয়া উপজেলার নিমতলা মন্ডল পাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে। একই উপজেলার কাঠালবাড়িয়া এলাকার সায়েম আক্তার সাগরের স্ত্রী তিনি। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন চারঘাট মডেল থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রেমির স্বামী সাগর একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। সেই সুবাদে চারঘাট বাজারের সন্নিকটে ফকির ম্যালেটারির মোড়ে জনৈক আলী আজম নামে এক ব্যক্তির বাসার ২য় তলায় তারা ভাড়া থাকতেন। সেই ভাড়া বাসায় রেমি ফেসবুক লাইভে এসে তাদের পারিবারিক কলহের বিভিন্ন কথা তুলে ধরে কথা বলেন। এরপর রেমি ওই বাসার বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সংবাদ পেয়ে রেমির বাবা আব্দুর রহিম চারঘাট থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

রেমি ফেসবুক লাইভে বলেন, আমি একটি বই লিখতে শুরু করেছিলাম। বইয়ের নাম রাখতে চেয়েছিলাম সুইসাইড। বই লেখা শেষ না করতেই আমি নিজেই সুইসাইড হয়ে গেলাম। বাবা-মা খারাপ হলে কিন্তু সন্তানরা খারাপ হয় না। এসব কথা শুনতে শুনতে বোর হয়ে গেছি। জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দিতে চাই।

এছাড়াও স্বামী-সন্তান নিয়ে কথা বলেন রেমি। রেমির বাবা জানান, ঈদের দিন আমার মেয়ে ও জামাই আমার বাড়িতে এসে ঈদের দিন খাওয়া-দাওয়া করে তারপর দুপুরের পরে বাড়ি ফিরে যায়। এরপর আমি শুনতে পাই আমার মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে পারিবারিক মনমালিন্য হয়। পরে আমার জামাই ও মেয়ে চারঘাট ভাড়া বাসায় চলে যায়। ঈদের পরের দিন ভোরবেলায় জামাই আমার ছেলের কাছে ফোন দিয়ে মারা যাওয়ার খবর দেয়।

চারঘাট মডেল থানার ওসি এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদখোর চেয়ারম্যান সাইফুলের ঘরে আলাদিনের চেরাগ!

ফেসবুক লাইভে কষ্টের কথা জানিয়ে প্রাণ দিলেন গৃহবধূ

আপডেট সময় ১১:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

চারঘাটে ফেসবুক লাইভে কষ্টের কথা জানিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছেন। এতে ওই এলাকায় ঈদের আনন্দ যেন মুহূর্তে বিষাদে রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর নাম রহিমা আক্তার রেমি। তিনি এক সন্তানের জননী। রেমি পাশের পুঠিয়া উপজেলার নিমতলা মন্ডল পাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে। একই উপজেলার কাঠালবাড়িয়া এলাকার সায়েম আক্তার সাগরের স্ত্রী তিনি। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন চারঘাট মডেল থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রেমির স্বামী সাগর একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। সেই সুবাদে চারঘাট বাজারের সন্নিকটে ফকির ম্যালেটারির মোড়ে জনৈক আলী আজম নামে এক ব্যক্তির বাসার ২য় তলায় তারা ভাড়া থাকতেন। সেই ভাড়া বাসায় রেমি ফেসবুক লাইভে এসে তাদের পারিবারিক কলহের বিভিন্ন কথা তুলে ধরে কথা বলেন। এরপর রেমি ওই বাসার বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সংবাদ পেয়ে রেমির বাবা আব্দুর রহিম চারঘাট থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

রেমি ফেসবুক লাইভে বলেন, আমি একটি বই লিখতে শুরু করেছিলাম। বইয়ের নাম রাখতে চেয়েছিলাম সুইসাইড। বই লেখা শেষ না করতেই আমি নিজেই সুইসাইড হয়ে গেলাম। বাবা-মা খারাপ হলে কিন্তু সন্তানরা খারাপ হয় না। এসব কথা শুনতে শুনতে বোর হয়ে গেছি। জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দিতে চাই।

এছাড়াও স্বামী-সন্তান নিয়ে কথা বলেন রেমি। রেমির বাবা জানান, ঈদের দিন আমার মেয়ে ও জামাই আমার বাড়িতে এসে ঈদের দিন খাওয়া-দাওয়া করে তারপর দুপুরের পরে বাড়ি ফিরে যায়। এরপর আমি শুনতে পাই আমার মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে পারিবারিক মনমালিন্য হয়। পরে আমার জামাই ও মেয়ে চারঘাট ভাড়া বাসায় চলে যায়। ঈদের পরের দিন ভোরবেলায় জামাই আমার ছেলের কাছে ফোন দিয়ে মারা যাওয়ার খবর দেয়।

চারঘাট মডেল থানার ওসি এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।