ভারতের তাহেরপুরের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাদিয়া। গত ১২ ডিসেম্বর রহস্যজনকভাবে সে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবার জানতে পারে নাদিয়া বাংলাদেশে আছে। পরে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ১১ মাস পর দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষার্থীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
নাদিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী, অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপরই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানা যায়।
গত বছর জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় নাদিয়ার। সেই পরিচয় ধীরে ধীরে গাঢ় হতে থাকে। এরপর সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় দুজনের। ওই যুবককে বিয়ে করার উদ্দেশ্য নিয়ে গত ১১ ই ডিসেম্বর নদীয়ার বাড়ি থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় নাদিয়া।
বাংলাদেশে পৌঁছালে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু তার স্বামী নাদিয়াকে দিয়ে নানারকম খারাপ কাজ করানোর চেষ্টা করেন। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় তার ঠাঁই হয় মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রে। সেখান থেকেই তাকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে দীর্ঘ ১১ মাস পর নাদিয়া ঘরে ফেরায় খুশি পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজনরা। তাকে গেদে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে। সেখানে নাদিয়া গোপন জবানবন্দী দেয়।