ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঈশ্বরদীতে উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন বাকেরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময় আদালতের নির্দেশে আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাশ উত্তোলন বোরহানউদ্দিনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত গোপন তদন্তের মুখে আ.লীগ আমলের পুলিশ কর্মকর্তারা ক্যাডেট এসআইরাও তদন্তের আওতায় সিলেটে দেড় থেকে ২ কোটি ব্যারেল তেল পাওয়ার সম্ভাবনা রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন না: রিজওয়ানা হাসান জামায়াত কর্মীদের সৎ, যোগ্য এবং সমাজ পরিচালনার জন্য দক্ষ হিসাবে গড়ে তুলতে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন রাজবাড়ীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও খাবার বিতরণ কুরআনই একমাত্র দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতের মুক্তির গ্যারান্টি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রাসেল সিকদার নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জেলার বোয়ালামারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ইছাডাঙ্গা গ্রামের ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ জুন) ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত রাসেল সিকদার বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ইছাডাঙ্গা গ্রামের মনোয়ার সিকদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির সে শিশু ছাত্রী আসামি রাসেল সিকদারের পূর্ব পরিচিত ছিল। শিশুটির মা বাড়ির পাশে রাস্তায় মুদি দোকানি ছিলেন। দোকানে রাসেলের কিছু টাকা বাকি ছিল।

ঘটনার দিন ২০২২ সালের ২২ আগষ্ট সন্ধ্যার দিকে রাসেল শিশুটিকে বাড়ি থেকে পাওনা দেড়শ টাকা নিয়ে আসতে বলে। রাসেল তখন বাড়িতে একাই ছিল। শিশুটি রাসেলের বাড়িতে টাকা আনতে গেলে রাসেল শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের কথা জানাজানির ভয়ে শিশুটিকে হাত-পা বেঁধে, গলায় ওড়না পেচিঁয়ে হত্যা করে। হত্যার পর রাসেল পালানোর চেষ্টা করলে তাকে কৌশলে আটক করা হয়।

পরে রাসেলের দেখানো মতে গোসল খানার ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাসেলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে রাসেল নিজেই হত্যার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেয়।

এ ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা মোক্তার হোসেন ঘটনার পরদিন বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন। বোয়ালমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আজাদ হোসেন ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্বপন পাল বলেন, এ রায়ে আমরা খুশি।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈশ্বরদীতে উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ১০:৫৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রাসেল সিকদার নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জেলার বোয়ালামারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ইছাডাঙ্গা গ্রামের ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ জুন) ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত রাসেল সিকদার বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ইছাডাঙ্গা গ্রামের মনোয়ার সিকদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির সে শিশু ছাত্রী আসামি রাসেল সিকদারের পূর্ব পরিচিত ছিল। শিশুটির মা বাড়ির পাশে রাস্তায় মুদি দোকানি ছিলেন। দোকানে রাসেলের কিছু টাকা বাকি ছিল।

ঘটনার দিন ২০২২ সালের ২২ আগষ্ট সন্ধ্যার দিকে রাসেল শিশুটিকে বাড়ি থেকে পাওনা দেড়শ টাকা নিয়ে আসতে বলে। রাসেল তখন বাড়িতে একাই ছিল। শিশুটি রাসেলের বাড়িতে টাকা আনতে গেলে রাসেল শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের কথা জানাজানির ভয়ে শিশুটিকে হাত-পা বেঁধে, গলায় ওড়না পেচিঁয়ে হত্যা করে। হত্যার পর রাসেল পালানোর চেষ্টা করলে তাকে কৌশলে আটক করা হয়।

পরে রাসেলের দেখানো মতে গোসল খানার ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাসেলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে রাসেল নিজেই হত্যার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেয়।

এ ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা মোক্তার হোসেন ঘটনার পরদিন বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন। বোয়ালমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আজাদ হোসেন ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্বপন পাল বলেন, এ রায়ে আমরা খুশি।