আগামী ১৫ মে থেকে রাজশাহীতে গাছ থেকে নিরাপদ গুটিজাতীয় আম পাড়া, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণ শুরু হবে। জেলা প্রশাসন থেকে আম বাজারজাতের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে আম পরিবহন বাজারজাতকরণ ও সংগ্রহবিষয়ক মতবিনিময়সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রোববার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, রাজশাহী আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। বাজারে যেন অপরিপক্ব এবং ভেজাল মিশ্রিত কোনো আম বিক্রি করতে না পারে, সে জন্যই কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে এ ফল পাড়া, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে।
সভায় ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী, গাছে সব ধরনের গুটিজাতীয় আম ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এর আগে আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, স্থানীয় গুটি জাতের আঁটির আম ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এ ছাড়া ২৫ মে থেকে গোপালভোগ, রানিপছন্দ ও লক্ষণভোগ, ক্ষিরসাপাত/হিমসাগর ৩০ মে, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন, ফজলি ১৫ জুন, আশ্বিনা ১০ জুলাই, বারি-৪ জাতের আম ৫ জুলাই, গৌড়মতি জাতের আম ১৫ জুলাই, ইলামতি ২০ আগস্ট থেকে পাড়া ও বাজারজাতকরণ করতে পারবেন আমচাষি, বাগান মালিক, আড়ত মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন— রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোসা. উম্মে সালমা।