ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গণপূর্তের সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ছয় প্রকল্প বাতিল দাউদকান্দিতে অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস বোতলজাতকরণের দায়ে ৩ জনকে সাজা প্রদান চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে আলোচনা সভা বোরহানউদ্দিনে উত্তর-টবগী রাস্তার মাথা জামে মসজিদের সভাপতি বাচ্চু পন্ডিত- সম্পাদক- আলম ফরাজি তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই ট্রাকে অভিনব কায়দায় লুকানো ১৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ০৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৩ মোবাইল চার্জে দিয়ে ঘুম, বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু। দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ড. ইউনূস নাম-পরিচয় গোপন করেও রক্ষা হলোনা বিএনপি নেতা চুন্নুর! মুরাদনগরে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ:প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ

পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

পাকিস্তান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার বলে মন্তব্য করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিক। এছাড়া পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার করার প্রচেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

একইসঙ্গে পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনেয়োগের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিক। সেখানেই এসব মন্তব্য করেন তিনি।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, বুধবার মুলতান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এমসিসিআই) ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে হাইকমিশনার রুহুল আলম পাকিস্তানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে যেখানে বিনিয়োগকারীদের কর ছাড় ও অন্যান্য প্রণোদনা দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরাও (অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগে) অংশগ্রহণ করতে পারে এবং সমান সুযোগ উপভোগ করতে পারে।’

অবশ্য এর আগে ২০২০ সালেও একবার রপ্তানি শিল্পে পাকিস্তানি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। সেসময় পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান এই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ‘বাংলাদেশে রপ্তানি এবং বিনিয়োগ’ ইস্যুতে পাকিস্তানের করাচিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তৎকালীন হাইকমিশনার তারিক আহসান বলেন, ‘আমি পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ থেকে আরও আমদানি করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই।’

আহসান আরও বলেন, পাকিস্তানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে পোশাক খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া তার দেশ বিদেশি বিনিয়োগের সুবিধার্থে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে। অবশ্য সাম্প্রতি বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশে পাকিস্তানের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে বলে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছিল।

স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এসবিপি) পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ডন সেসময় আরও জানায়, পাকিস্তানের এই রপ্তানি আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকের ১২৭ দশমিক ৪৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ২০২১ সালের একই সময়ে ১৭৫ দশমিক ৩৮৯ মিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি একই সময়সীমায় বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের আমদানিও ব্যাপক বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের আমদানির পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়ে ১৭ দশমিক ৪৪৬ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গণপূর্তের সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ছয় প্রকল্প বাতিল

পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৩:১৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

পাকিস্তান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার বলে মন্তব্য করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিক। এছাড়া পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার করার প্রচেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

একইসঙ্গে পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনেয়োগের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিক। সেখানেই এসব মন্তব্য করেন তিনি।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, বুধবার মুলতান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এমসিসিআই) ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে হাইকমিশনার রুহুল আলম পাকিস্তানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে যেখানে বিনিয়োগকারীদের কর ছাড় ও অন্যান্য প্রণোদনা দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরাও (অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগে) অংশগ্রহণ করতে পারে এবং সমান সুযোগ উপভোগ করতে পারে।’

অবশ্য এর আগে ২০২০ সালেও একবার রপ্তানি শিল্পে পাকিস্তানি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। সেসময় পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান এই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ‘বাংলাদেশে রপ্তানি এবং বিনিয়োগ’ ইস্যুতে পাকিস্তানের করাচিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তৎকালীন হাইকমিশনার তারিক আহসান বলেন, ‘আমি পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ থেকে আরও আমদানি করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই।’

আহসান আরও বলেন, পাকিস্তানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে পোশাক খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া তার দেশ বিদেশি বিনিয়োগের সুবিধার্থে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে। অবশ্য সাম্প্রতি বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশে পাকিস্তানের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে বলে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছিল।

স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এসবিপি) পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ডন সেসময় আরও জানায়, পাকিস্তানের এই রপ্তানি আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকের ১২৭ দশমিক ৪৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ২০২১ সালের একই সময়ে ১৭৫ দশমিক ৩৮৯ মিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি একই সময়সীমায় বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের আমদানিও ব্যাপক বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের আমদানির পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়ে ১৭ দশমিক ৪৪৬ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল।