ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনের রেকর্ড ইউরোপে

ইইউ প্লাস অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে গত বছর বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদন নজিরবিহীন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ইউরোপে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন।

বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ) প্রকাশিত ‘লেটেস্ট অ্যাসাইলাম ট্রেন্ডস ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ইইউএএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশ থেকে ওই অঞ্চলে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন প্রায় ৪০ হাজার ৩৩২ জন। এদের মধ্যে জানুয়ারি থেকে জুনে আবেদন করেছেন ২০ হাজার ৯২৬ জন। আর জুলাই থেকে ডিসেম্বরে ইউরোপে আশ্রয় পেতে আবেদন করেছেন ১৯ হাজার ৪০৬ জন।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ৯ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালেই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি ইইউ প্লাসে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।

সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে ওই অঞ্চলে আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন ১৭ হাজার ২১৭ জন বাংলাদেশি। ২০১৬ সালে ১৫ হাজার ৮৭ জন, ২০১৭ সালে ১৯ হাজার ১২৮ জন, ২০১৮ সালে ১৩ হাজার ৩৪০ জন, ২০১৯ সালে ১৪ হাজার ৩৭৫ জন, ২০২০ সালে ১১ হাজার ২৬৯ জন এবং ২০২১ সালে ১৯ হাজার ৯৯৪ জন বাংলাদেশি আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।

২০২২ সালে বাংলাদেশিদের আশ্রয় চেয়ে আবেদনের সংখ্যা আগের বছরগুলোর তুলনায় বৃদ্ধি পায়। ওই বছর ৩৩ হাজার ৭৩১ জন বাংলাদেশি সেখানে আশ্রয়ের আবেদন করেন। আর ২০২৩ সালে আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে আশ্রয় চেয়ে বাংলাদেশিদের আবেদন সংখ্যা। ২০২৩ সালে রেকর্ড ৪০ হাজার ৩৩২ জন বাংলাদেশি ইইউ প্লাসে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন।

ইইউএএ বলেছে, গত বছর বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনের প্রধান গন্তব্য ছিল ইতালি। ইইউ প্লাসে আশ্রয় চেয়ে করা বাংলাদেশিদের আবেদনের ৫৮ শতাংশই ইতালিতে করেছেন। অর্থাৎ ২০২৩ সালে ২৩ হাজার ৪৪৮ জন বাংলাদেশি ইতালিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। সেখানে বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীদের ৬৯ শতাংশ আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল।

এরপরই বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ফ্রান্স এবং রোমানিয়ায়। ইইউ প্লাসে বাংলাদেশিদের মোট আশ্রয় আবেদনের ২৫ শতাংশই ফ্রান্সে জমা দিয়েছেন। গত বছর ১০ হাজার ২১৫ জন বাংলাদেশি ফ্রান্সে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন।

একই সময়ে রোমানিয়ায় আশ্রয় চেয়েছেন ২ হাজার ৮২২ জন বাংলাদেশি। এরপর অস্ট্রিয়ায় ১ হাজার ৪০৯ জন, গ্রিসে ৬৪০ জন, আয়ারল্যান্ডে ৪৪৫ জন, স্পেনে ৩৮০ জন, সাইপ্রাসে ৩১৪ জন, জার্মানিতে ১৬৪ জন, মাল্টায় ১১৮ জন এবং অন্যান্য দেশে ৩৭৭ জন বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন।

ইইউএএর পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশিদের মোট আবেদনের মধ্যে ৩২ হাজার ৯৪৬টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। পাশাপাশি দুই হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশি তাদের আশ্রয় আবেদন প্রত্যাহার করেছেন। ইউরোপে আশ্রয় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন ১ শতাংশেরও কম বাংলাদেশি।

গত ৯ বছর ধরে বাংলাদেশিদের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার হার ছিল প্রায় একই, অর্থাৎ ১ শতাংশেরও কম। তবে ২০১৯ সালে মাত্র ২ শতাংশ বাংলাদেশি ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা

বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনের রেকর্ড ইউরোপে

আপডেট সময় ০৯:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ইইউ প্লাস অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে গত বছর বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদন নজিরবিহীন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ইউরোপে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন।

বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ) প্রকাশিত ‘লেটেস্ট অ্যাসাইলাম ট্রেন্ডস ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ইইউএএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশ থেকে ওই অঞ্চলে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন প্রায় ৪০ হাজার ৩৩২ জন। এদের মধ্যে জানুয়ারি থেকে জুনে আবেদন করেছেন ২০ হাজার ৯২৬ জন। আর জুলাই থেকে ডিসেম্বরে ইউরোপে আশ্রয় পেতে আবেদন করেছেন ১৯ হাজার ৪০৬ জন।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ৯ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালেই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি ইইউ প্লাসে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।

সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে ওই অঞ্চলে আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন ১৭ হাজার ২১৭ জন বাংলাদেশি। ২০১৬ সালে ১৫ হাজার ৮৭ জন, ২০১৭ সালে ১৯ হাজার ১২৮ জন, ২০১৮ সালে ১৩ হাজার ৩৪০ জন, ২০১৯ সালে ১৪ হাজার ৩৭৫ জন, ২০২০ সালে ১১ হাজার ২৬৯ জন এবং ২০২১ সালে ১৯ হাজার ৯৯৪ জন বাংলাদেশি আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।

২০২২ সালে বাংলাদেশিদের আশ্রয় চেয়ে আবেদনের সংখ্যা আগের বছরগুলোর তুলনায় বৃদ্ধি পায়। ওই বছর ৩৩ হাজার ৭৩১ জন বাংলাদেশি সেখানে আশ্রয়ের আবেদন করেন। আর ২০২৩ সালে আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে আশ্রয় চেয়ে বাংলাদেশিদের আবেদন সংখ্যা। ২০২৩ সালে রেকর্ড ৪০ হাজার ৩৩২ জন বাংলাদেশি ইইউ প্লাসে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন।

ইইউএএ বলেছে, গত বছর বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনের প্রধান গন্তব্য ছিল ইতালি। ইইউ প্লাসে আশ্রয় চেয়ে করা বাংলাদেশিদের আবেদনের ৫৮ শতাংশই ইতালিতে করেছেন। অর্থাৎ ২০২৩ সালে ২৩ হাজার ৪৪৮ জন বাংলাদেশি ইতালিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। সেখানে বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীদের ৬৯ শতাংশ আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল।

এরপরই বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ফ্রান্স এবং রোমানিয়ায়। ইইউ প্লাসে বাংলাদেশিদের মোট আশ্রয় আবেদনের ২৫ শতাংশই ফ্রান্সে জমা দিয়েছেন। গত বছর ১০ হাজার ২১৫ জন বাংলাদেশি ফ্রান্সে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন।

একই সময়ে রোমানিয়ায় আশ্রয় চেয়েছেন ২ হাজার ৮২২ জন বাংলাদেশি। এরপর অস্ট্রিয়ায় ১ হাজার ৪০৯ জন, গ্রিসে ৬৪০ জন, আয়ারল্যান্ডে ৪৪৫ জন, স্পেনে ৩৮০ জন, সাইপ্রাসে ৩১৪ জন, জার্মানিতে ১৬৪ জন, মাল্টায় ১১৮ জন এবং অন্যান্য দেশে ৩৭৭ জন বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন।

ইইউএএর পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশিদের মোট আবেদনের মধ্যে ৩২ হাজার ৯৪৬টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। পাশাপাশি দুই হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশি তাদের আশ্রয় আবেদন প্রত্যাহার করেছেন। ইউরোপে আশ্রয় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন ১ শতাংশেরও কম বাংলাদেশি।

গত ৯ বছর ধরে বাংলাদেশিদের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার হার ছিল প্রায় একই, অর্থাৎ ১ শতাংশেরও কম। তবে ২০১৯ সালে মাত্র ২ শতাংশ বাংলাদেশি ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলেন।