ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

গাজায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে হামলায় নিহত ৯

 

ইসরায়েলি হামলায় গাজা এখন শরণার্থী শিবির আর তাঁবুর বসতিতে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানকার জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনারা। এতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৫ জন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইয়ানিসে জাতিসংঘের ট্রেনিং সেন্টারে হামলা চালানো হয়েছে। এ কেন্দ্রটি বাস্তচ্যুত লোকদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। ইসরায়েলি সেনাদের এ হামলায় ৯ জন নিহত ও ৭৫ জন আহত হয়েছেন।

গাজায় ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর ফিলিস্তিনের পরিচালক টমাস হোয়াইট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, দুটি ট্যাংক দিয়ে ভবনটিতে হামলা চালানো হয়। এ সময় সেখানে অন্তত ৮০০ আশ্রয়গ্রহণকারী ছিলেন। তিনি জানান, জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেন্দ্রটিতে প্রবেশের চেষ্টা করছে।

আনাদোলু জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে কেন্দ্রটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল।

এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী মঙ্গলবার জানায়, তারা খান ইয়ানিসকে পুরোপুরি অবরোধ করেছে। তেল আবিব এ অঞ্চলটিকে হামাসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচেনা করে থাকে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির হামলার কারণে গাজায় ২৫ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় অহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬৩ হাজার ৭৪০ জন। অন্যদিকে হামাসের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ লোক নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে গাজার জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া উপত্যকাজুড়ে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট চলছে। এমনকি হামলার কারণে সেখানকার অর্ধেকের বেশি অবকাঠানো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার।

গাজায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে হামলায় নিহত ৯

আপডেট সময় ০২:২৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

 

ইসরায়েলি হামলায় গাজা এখন শরণার্থী শিবির আর তাঁবুর বসতিতে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানকার জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনারা। এতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৫ জন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইয়ানিসে জাতিসংঘের ট্রেনিং সেন্টারে হামলা চালানো হয়েছে। এ কেন্দ্রটি বাস্তচ্যুত লোকদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। ইসরায়েলি সেনাদের এ হামলায় ৯ জন নিহত ও ৭৫ জন আহত হয়েছেন।

গাজায় ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর ফিলিস্তিনের পরিচালক টমাস হোয়াইট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, দুটি ট্যাংক দিয়ে ভবনটিতে হামলা চালানো হয়। এ সময় সেখানে অন্তত ৮০০ আশ্রয়গ্রহণকারী ছিলেন। তিনি জানান, জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেন্দ্রটিতে প্রবেশের চেষ্টা করছে।

আনাদোলু জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে কেন্দ্রটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল।

এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী মঙ্গলবার জানায়, তারা খান ইয়ানিসকে পুরোপুরি অবরোধ করেছে। তেল আবিব এ অঞ্চলটিকে হামাসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচেনা করে থাকে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির হামলার কারণে গাজায় ২৫ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় অহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬৩ হাজার ৭৪০ জন। অন্যদিকে হামাসের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ লোক নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে গাজার জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া উপত্যকাজুড়ে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট চলছে। এমনকি হামলার কারণে সেখানকার অর্ধেকের বেশি অবকাঠানো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।