মাত্র কয়েক দিন পরই পাকিস্তানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। এ ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ।
নির্বাচনের ভোট নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসে পাকিস্তানের ফেডারেল মন্ত্রিসভা। বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনারা ঝুঁকিপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা ও ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে। তারা দ্রুত সাড়াদান বাহিনী হিসেবেও কাজ করবে।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। নির্বাচন সামনে রেখে জোরেশোরে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। ইতোমধ্যে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনের প্রার্থী মনোনীত করে ফেলেছে দল দুটি।
তবে নির্বাচন সামনে রেখে পিটিআইয়ের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভাঙা-গড়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দলটি। গত মে মাসে প্রথমবারের মতো কারাবন্দি হন ইমরান খান। কয়েক দিন পর ছাড়া হলেও আরেক মামলায় আগস্টে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই গণহারে পিটিআই ছাড়তে থাকেন নেতারা। চলতি মাসে পিটিআইয়ের নির্বাচনী প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট কেড়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া একটি দলের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার কথা থাকলেও মাঝপথে রণে ভঙ্গ দেয় দলটি। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় নির্বাচন করতে পারবেন না ইমরান খান। তার মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতিও ভালো না। ২০১৫ সালের পর সদ্য বিদায়ী ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এমনকি নির্বাচন পূর্ববর্তী সহিংসতায় বেশ কয়েক জন সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। দেশের এমন ভয়াবহ নিরাপত্তা পরিস্থিতি কথা উল্লেখ করে সংসদের উচ্চ কক্ষ সিনেটে প্রস্তাব পর্যন্ত পাস হয়েছে। যদিও এই প্রস্তাব মেনে নির্বাচন পেছানোর কোনো বাধ্যবাধকা নেই।