ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একই সঙ্গে দুই দেশের বাসিন্দদের অবাধ চলাচলের সুবিধা বাতিল করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) আসামের গুয়াহাটিতে এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্তে যেভাবে বেড়া দেওয়া হয়েছে তেমনি ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যকার পুরো সীমান্তে বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার।
মিয়ানমারের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের চার রাজ্য মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও অরুণাচলের এক হাজার ৬৪৩ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্তে কোনো বেড়া নেই। এ ছাড়া এসব অঞ্চলের মানুষ ভিসা ছাড়াই অন্য দেশের ভেতরে ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারে।
অমিত শাহ বলেন, আমাদের সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে বিদ্যমান অবাধ চলাচল ব্যবস্থার বিধানটি পুনরায় যাচাই-বাছাই করছে। এই সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ভারতীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন কথার প্রতিক্রিয়ায় মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা বলেছেন, তার সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের এমন পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছিল। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই।
মিয়ানমারের চিন সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিজোদের জাতিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হলে হাজার হাজার শরণার্থী মিজোরামে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৩০ হাজার শরণার্থী রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের মিয়ানমারের ফেরৎ পাঠাতে বললেও রাজি হয়নি মিজোরাম সরকার। এ ছাড়া মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) হামলায় টিকতে না পেরে জান্তাবাহিনীর শত শত সেনা ভারতে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ সেনা ভারতে প্রবেশ করেছেন।