ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

নীলক্ষেতের অবৈধ দোকান ভাঙার কাজ করছে ডিএসসিসি

রাজধানীর নীলক্ষেতের রোডসাইড মার্কেটের (তুলা মার্কেট) সব অবৈধ দোকান ভাঙার কাজ চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার নকশাবহির্ভূত ১৪৮টি দোকান ভাঙার নেতৃত্ব দিচ্ছেন করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান।

রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেট ভাঙার জন্য সিটি করপোরেশন থেকে একটি পে-লেডার, একটি হুইল এক্সকাভেটর, হাইড্রলিক লেডার এবং ২টি ড্রাম ট্রাক আনা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতির নিরাপত্তায় পুলিশের ২২ জন সদস্য রয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে।

এছাড়াও রয়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স। এদিকে মার্কেটের নিচতলার বৈধ দোকানগুলো পাহারায় সেইসব দোকানের কর্মচারীরা প্রতিটি দোকানের সামনে অবস্থান করছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় সিটি করপোরেশনের ৫০ জন কর্মী ভেতরের অংশ ভাঙার কাজ চালাচ্ছেন।

নাসির উদ্দিন নামে সিটি করপোরেশনের এক কর্মী  বলেন, আমরা সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন অংশ ভাঙার কাজ শুরু করেছি। ভাঙা জিনিসগুলো দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে নামানোর পর পুরো স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান বলেন, নীলক্ষেত সিটি করপোরেশনের বৈধ মার্কেট তুলা মার্কেট নামে পরিচিত। মার্কেটের ৩৫টি বৈধ দোকানের উপর অবৈধভাবে দেড় শতাধিক দোকান তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।

এটা নজরে আসার পর যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেয়রের (তাপস) নির্দেশমতো আমরা অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করছি। তিনি আরও বলেন, এই মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা তৈরিতে প্রকৌশলী কোনো নিয়ম মানা হয়নি। যার ফলে প্রকৌশলীরা মেয়রকে বিষয়টিও অভিহিত করেছেন ঝুঁকিপূর্ণ বলে। সুতরাং এটি মেয়রের অনুমতি ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

নীলক্ষেতের অবৈধ দোকান ভাঙার কাজ করছে ডিএসসিসি

আপডেট সময় ০১:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

রাজধানীর নীলক্ষেতের রোডসাইড মার্কেটের (তুলা মার্কেট) সব অবৈধ দোকান ভাঙার কাজ চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার নকশাবহির্ভূত ১৪৮টি দোকান ভাঙার নেতৃত্ব দিচ্ছেন করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান।

রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেট ভাঙার জন্য সিটি করপোরেশন থেকে একটি পে-লেডার, একটি হুইল এক্সকাভেটর, হাইড্রলিক লেডার এবং ২টি ড্রাম ট্রাক আনা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতির নিরাপত্তায় পুলিশের ২২ জন সদস্য রয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে।

এছাড়াও রয়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স। এদিকে মার্কেটের নিচতলার বৈধ দোকানগুলো পাহারায় সেইসব দোকানের কর্মচারীরা প্রতিটি দোকানের সামনে অবস্থান করছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় সিটি করপোরেশনের ৫০ জন কর্মী ভেতরের অংশ ভাঙার কাজ চালাচ্ছেন।

নাসির উদ্দিন নামে সিটি করপোরেশনের এক কর্মী  বলেন, আমরা সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন অংশ ভাঙার কাজ শুরু করেছি। ভাঙা জিনিসগুলো দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে নামানোর পর পুরো স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান বলেন, নীলক্ষেত সিটি করপোরেশনের বৈধ মার্কেট তুলা মার্কেট নামে পরিচিত। মার্কেটের ৩৫টি বৈধ দোকানের উপর অবৈধভাবে দেড় শতাধিক দোকান তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।

এটা নজরে আসার পর যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেয়রের (তাপস) নির্দেশমতো আমরা অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করছি। তিনি আরও বলেন, এই মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা তৈরিতে প্রকৌশলী কোনো নিয়ম মানা হয়নি। যার ফলে প্রকৌশলীরা মেয়রকে বিষয়টিও অভিহিত করেছেন ঝুঁকিপূর্ণ বলে। সুতরাং এটি মেয়রের অনুমতি ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছে।