ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

গাজার মানুষ দিন কাটাচ্ছে খোলা আকাশের নিচে: জাতিসংঘ

জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান জুলিয়েট তৌমা জানিয়েছেন, গাজার অনেক বাস্তুচ্যুত নাগরিকই এখন খোলা আকাশের নিচে, পার্কে দিন কাটাচ্ছেন।

এদিকে জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক সময়ে মিশরের সীমান্তবর্তী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে কমপক্ষে এক লাখ মানুষ পালিয়ে গেছেন।

ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, জাতিসংঘকে সীমিত সহায়তা সরবরাহ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জুলিয়েট তৌমা বলেন, গাজায় দিন দিন মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়ছে।

তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় যেসব এলাকায় আমাদের প্রবেশ করা উচিত, সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে ইসরাইলের দাবি, তারা মানবিক সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা আরোপ করেনি। বরং এটি সংস্থাটির বিতরণের সমস্যা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সেই সময় ইসরাইলে ১২০০ জন নিহত হন এবং আরও ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরাইল।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছেন ইসরাইলি সৈন্যরা। বাড়িঘর, স্থাপনা, আবাসিক এলাকা— এমনকি হাসপাতাল, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাও হামলা থেকে বাদ পড়ছে না। গাজার কোনো জায়গাই এখন আর ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ নয়।

হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ২১ হাজার ৬৭২ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫৬ হাজার ১৬৫ জন।

সংঘাত শুরুর পর থেকেই ৪১ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দীর্ঘ এবং ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত এই উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

গাজায় সামরিক অভিযানের শুরুতে উত্তরাঞ্চলের দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছিল ইসরাইল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসকে হামাসের শক্তিশালী ঘাঁটি দাবি করে সেখানে হামলা বাড়ানো হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, সব দিক দিয়েই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

গাজার মানুষ দিন কাটাচ্ছে খোলা আকাশের নিচে: জাতিসংঘ

আপডেট সময় ১২:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান জুলিয়েট তৌমা জানিয়েছেন, গাজার অনেক বাস্তুচ্যুত নাগরিকই এখন খোলা আকাশের নিচে, পার্কে দিন কাটাচ্ছেন।

এদিকে জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক সময়ে মিশরের সীমান্তবর্তী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে কমপক্ষে এক লাখ মানুষ পালিয়ে গেছেন।

ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, জাতিসংঘকে সীমিত সহায়তা সরবরাহ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জুলিয়েট তৌমা বলেন, গাজায় দিন দিন মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়ছে।

তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় যেসব এলাকায় আমাদের প্রবেশ করা উচিত, সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে ইসরাইলের দাবি, তারা মানবিক সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা আরোপ করেনি। বরং এটি সংস্থাটির বিতরণের সমস্যা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সেই সময় ইসরাইলে ১২০০ জন নিহত হন এবং আরও ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরাইল।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছেন ইসরাইলি সৈন্যরা। বাড়িঘর, স্থাপনা, আবাসিক এলাকা— এমনকি হাসপাতাল, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাও হামলা থেকে বাদ পড়ছে না। গাজার কোনো জায়গাই এখন আর ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ নয়।

হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ২১ হাজার ৬৭২ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫৬ হাজার ১৬৫ জন।

সংঘাত শুরুর পর থেকেই ৪১ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দীর্ঘ এবং ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত এই উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

গাজায় সামরিক অভিযানের শুরুতে উত্তরাঞ্চলের দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছিল ইসরাইল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসকে হামাসের শক্তিশালী ঘাঁটি দাবি করে সেখানে হামলা বাড়ানো হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, সব দিক দিয়েই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।