ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

ইসরায়েল-হামাস উভয়েই যুদ্ধাপরাধ করেছে: জাতিসংঘ

এক মাস আগে শুরু হওয়া সংঘাতে ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

বুধবার (৯ নভেম্বর) গাজা-মিশরের রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শনের সময় এ মন্তব্য করেন ভলকার।

এ সময় তিনি আরও বলেন, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতা ছিল জঘন্য, সেগুলো ছিল যুদ্ধাপরাধ- জিম্মিদের অব্যাহত রাখা।
ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েল কর্তৃক সম্মিলিত শাস্তিও একটি যুদ্ধাপরাধ- যেমন বেসামরিক লোকদের বেআইনিভাবে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়া।

রাফাহ সীমান্তের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা বিতরণ শুরু হওয়ার আগে অঞ্চলটিতে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। তুর্ক এ সীমান্ত এলাকাটিকে ‘লাইফলাইন’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, লাইফলাইনটি অন্যায়ভাবে, আক্রোশজনকভাবে সরু করে ফেলা হয়েছে।

ভলকার তুর্ক অরও বলেন, দক্ষিণ ইসরায়েলে আন্তঃসীমান্তে হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নিরলসভাবে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। ইসরায়েলের এ কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় হামাসের লোকেরাও হামলা চালায়। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হন; ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়। আবার ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় অনেক নারী ও শিশুসহ ১০ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে।

আমি আহ্বান জানাই, জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে একমত হওয়া প্রয়োজন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ইসরায়েল-গাজায় মানবাধিকারের অপরিহার্যতা তিনটি- গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা দেওয়া, জিম্মিদের মুক্তি ও দখলদারিত্বের টেকসই অবসান হওয়া। আমরা একটি গিরি থেকে নিচে পড়ে গেছি, যা চলতে পারে না। এক পক্ষের কর্ম অন্য পক্ষের কর্মকে নিষ্কৃতি দেয় না।

গাজায় দুর্ভোগ লাঘবে চলমান যুদ্ধের মানবিক বিরতি দিকে ইসরায়েলকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ ও জি-৭ দেশগুলো। কিন্তু ইসরায়েল সেটি প্রত্যাখ্যান করে। এমনটি মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানও নাকচ করে দেয়। দেশটি বলেছে, হামাস যতক্ষণ জিম্মিদের মুক্তি না দেবে, ততক্ষণ যুদ্ধবিরতিতে তারা রাজি হবে না। অপরদিকে হামাস বলছে, যতক্ষণ গাজায় হামলা চলবে তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

গত ৫৬ বছরের দখলদারিত্বের প্রেক্ষাপটে গাজা, ইসরায়েল, পশ্চিম তীর তো বটেই- আঞ্চলিকভাবেও আমরা সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

ইসরায়েল-হামাস উভয়েই যুদ্ধাপরাধ করেছে: জাতিসংঘ

আপডেট সময় ১২:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

এক মাস আগে শুরু হওয়া সংঘাতে ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

বুধবার (৯ নভেম্বর) গাজা-মিশরের রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শনের সময় এ মন্তব্য করেন ভলকার।

এ সময় তিনি আরও বলেন, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতা ছিল জঘন্য, সেগুলো ছিল যুদ্ধাপরাধ- জিম্মিদের অব্যাহত রাখা।
ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েল কর্তৃক সম্মিলিত শাস্তিও একটি যুদ্ধাপরাধ- যেমন বেসামরিক লোকদের বেআইনিভাবে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়া।

রাফাহ সীমান্তের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা বিতরণ শুরু হওয়ার আগে অঞ্চলটিতে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। তুর্ক এ সীমান্ত এলাকাটিকে ‘লাইফলাইন’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, লাইফলাইনটি অন্যায়ভাবে, আক্রোশজনকভাবে সরু করে ফেলা হয়েছে।

ভলকার তুর্ক অরও বলেন, দক্ষিণ ইসরায়েলে আন্তঃসীমান্তে হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নিরলসভাবে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। ইসরায়েলের এ কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় হামাসের লোকেরাও হামলা চালায়। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হন; ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়। আবার ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় অনেক নারী ও শিশুসহ ১০ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে।

আমি আহ্বান জানাই, জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে একমত হওয়া প্রয়োজন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ইসরায়েল-গাজায় মানবাধিকারের অপরিহার্যতা তিনটি- গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা দেওয়া, জিম্মিদের মুক্তি ও দখলদারিত্বের টেকসই অবসান হওয়া। আমরা একটি গিরি থেকে নিচে পড়ে গেছি, যা চলতে পারে না। এক পক্ষের কর্ম অন্য পক্ষের কর্মকে নিষ্কৃতি দেয় না।

গাজায় দুর্ভোগ লাঘবে চলমান যুদ্ধের মানবিক বিরতি দিকে ইসরায়েলকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ ও জি-৭ দেশগুলো। কিন্তু ইসরায়েল সেটি প্রত্যাখ্যান করে। এমনটি মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানও নাকচ করে দেয়। দেশটি বলেছে, হামাস যতক্ষণ জিম্মিদের মুক্তি না দেবে, ততক্ষণ যুদ্ধবিরতিতে তারা রাজি হবে না। অপরদিকে হামাস বলছে, যতক্ষণ গাজায় হামলা চলবে তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

গত ৫৬ বছরের দখলদারিত্বের প্রেক্ষাপটে গাজা, ইসরায়েল, পশ্চিম তীর তো বটেই- আঞ্চলিকভাবেও আমরা সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।