ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিন

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধে নেতানিয়াহুর বাহিনীকে সহায়তা করতে এর আগেই বিমানবাহী রণতরীসহ কেরিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, ৫ নভেম্বর ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের আওতাধীন অঞ্চলে একটি ওহাইও-ক্লাস সাবমেরিন এসে পৌঁছেছে।

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের অস্থান মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও এর আশপাশের ২১ দেশের সীমানায় বিস্তৃত।
প্রায় ১৯ হাজার টন ওজনের ওহিও-ক্লাস সাবমেরিন গুলো মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য নির্মিত সবচেয়ে বড় সাবমেরিন এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সাবমেরিন। পারমাণবিক শক্তিতে চালিত এই সাবমেরিন ১৪টি পারমাণবিক ব্যালিস্টিক মিসাইল বহণ করে এবং এর রয়েছে চারটি টর্পেডো টিউব যা দিয়ে ক্রুজ মিসাইলও ছোড়া যায়।

এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে। হামাসের ইসরায়েলের সংঘাত শুরুর পরপরই মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড এবং এর সঙ্গে থাকা অন্য যুদ্ধজাহাজগুলোকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ইসরায়েল উপকূলে পাঠায় তারা। এরপর আরেক মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আইজেনহাওয়ার এবং এর বহরে থাকা যুদ্ধজাহাজগুলোও ইসরায়েল উপকূলে মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র।

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধকে আরও প্রসারিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ঠেকাতে এবং ইসরায়েল বিরোধী যেকোনো পদক্ষেপ নিবৃত করতে যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধজাহাজগুলোকে মোতায়েন করেছে বলে জানানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য আল-আকসা মসজিদের মুসল্লীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ শুরু করে হামাস। হামাসের এই হামলায় কমপক্ষে দেড় হাজার ইসরায়েলি নিহত হয়। আহত হয়েছেন আরও সাড়ে ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি। এছাড়া সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে আরও প্রায় আড়াইশ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।

৭ অক্টোবরের এই হামালার জবাবে গাজা উপত্যকায় ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। নির্বিচার এই হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৯ হাজার ৭৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিন

আপডেট সময় ১২:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধে নেতানিয়াহুর বাহিনীকে সহায়তা করতে এর আগেই বিমানবাহী রণতরীসহ কেরিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, ৫ নভেম্বর ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের আওতাধীন অঞ্চলে একটি ওহাইও-ক্লাস সাবমেরিন এসে পৌঁছেছে।

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের অস্থান মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও এর আশপাশের ২১ দেশের সীমানায় বিস্তৃত।
প্রায় ১৯ হাজার টন ওজনের ওহিও-ক্লাস সাবমেরিন গুলো মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য নির্মিত সবচেয়ে বড় সাবমেরিন এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সাবমেরিন। পারমাণবিক শক্তিতে চালিত এই সাবমেরিন ১৪টি পারমাণবিক ব্যালিস্টিক মিসাইল বহণ করে এবং এর রয়েছে চারটি টর্পেডো টিউব যা দিয়ে ক্রুজ মিসাইলও ছোড়া যায়।

এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে। হামাসের ইসরায়েলের সংঘাত শুরুর পরপরই মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড এবং এর সঙ্গে থাকা অন্য যুদ্ধজাহাজগুলোকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ইসরায়েল উপকূলে পাঠায় তারা। এরপর আরেক মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আইজেনহাওয়ার এবং এর বহরে থাকা যুদ্ধজাহাজগুলোও ইসরায়েল উপকূলে মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র।

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধকে আরও প্রসারিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ঠেকাতে এবং ইসরায়েল বিরোধী যেকোনো পদক্ষেপ নিবৃত করতে যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধজাহাজগুলোকে মোতায়েন করেছে বলে জানানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য আল-আকসা মসজিদের মুসল্লীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ শুরু করে হামাস। হামাসের এই হামলায় কমপক্ষে দেড় হাজার ইসরায়েলি নিহত হয়। আহত হয়েছেন আরও সাড়ে ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি। এছাড়া সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে আরও প্রায় আড়াইশ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।

৭ অক্টোবরের এই হামালার জবাবে গাজা উপত্যকায় ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। নির্বিচার এই হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৯ হাজার ৭৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।