ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

গাজায় শিশু হত্যা আমাদের বিবেকের ওপর কলঙ্ক: ইউনিসেফ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতভম্ব হওয়ার মতো সংখ্যায় শিশু হতাহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ)। একইসঙ্গে সংস্থাটি বলেছে, এটা আমাদের বিবেকের ওপর কলঙ্ক।

তিন সপ্তাহেরও কম সময়ে গাজায় ২,৩৬০ শিশু নিহত হয়েছে জানিয়ে ইউনিসেফ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তার জন্য টেকসই ও বাধাহীন প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজায় অবিরাম হামলায় আরও ৫ হাজার ৩৬৪ শিশু আহত হয়েছে। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহলগুলোতে প্রতিদিন চারশর বেশি শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়, এতে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এরপর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় অবিরাম বোমা বর্ষণ করে কমপক্ষে ৫,৭৯১ জনকে হত্যা করেছে। গাজার প্রায় ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকই ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু।

ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক অ্যাডেল খোদর বলেন, গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি আমাদের সম্মিলিত বিবেকের ওপর একটি ক্রমবর্ধমান কলঙ্ক। শিশুদের মৃত্যু ও আহত হওয়ার হার বিস্ময়কর।

তিনি বলেন, এর চেয়েও ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, উত্তেজনা প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত খাদ্য, পানি, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তা না দিলে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রায় প্রতিটি শিশুই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, নিরবচ্ছিন্ন হামলা, বাস্তুচ্যুতি এবং খাদ্য, পানি ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মারাত্মক ঘাটতির কারণে গভীর বেদনাদায়ক ঘটনা ও আঘাতের সম্মুখীন হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ২৮ জন শিশু নিহত এবং অন্তত ১৬০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, হত্যা ও পঙ্গু করা, অপহরণ, হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা এবং মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা শিশুদের অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন।

ইউনিসেফ জরুরি ভিত্তিতে সব পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে, মানবিক প্রবেশাধিকারের অনুমতি দিতে এবং সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা ৫৬ বছর ধরে দমবন্ধ দখলদারিত্বের শিকার। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ হামাসের আক্রমণকে ন্যায্যতা দেয় না। তেমনি হামাসের হামলার বিপরীতে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হামলা চালানোও ন্যায়সঙ্গত নয়।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

গাজায় শিশু হত্যা আমাদের বিবেকের ওপর কলঙ্ক: ইউনিসেফ

আপডেট সময় ০৪:২৪:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতভম্ব হওয়ার মতো সংখ্যায় শিশু হতাহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ)। একইসঙ্গে সংস্থাটি বলেছে, এটা আমাদের বিবেকের ওপর কলঙ্ক।

তিন সপ্তাহেরও কম সময়ে গাজায় ২,৩৬০ শিশু নিহত হয়েছে জানিয়ে ইউনিসেফ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তার জন্য টেকসই ও বাধাহীন প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজায় অবিরাম হামলায় আরও ৫ হাজার ৩৬৪ শিশু আহত হয়েছে। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহলগুলোতে প্রতিদিন চারশর বেশি শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়, এতে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এরপর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় অবিরাম বোমা বর্ষণ করে কমপক্ষে ৫,৭৯১ জনকে হত্যা করেছে। গাজার প্রায় ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকই ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু।

ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক অ্যাডেল খোদর বলেন, গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি আমাদের সম্মিলিত বিবেকের ওপর একটি ক্রমবর্ধমান কলঙ্ক। শিশুদের মৃত্যু ও আহত হওয়ার হার বিস্ময়কর।

তিনি বলেন, এর চেয়েও ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, উত্তেজনা প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত খাদ্য, পানি, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তা না দিলে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রায় প্রতিটি শিশুই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, নিরবচ্ছিন্ন হামলা, বাস্তুচ্যুতি এবং খাদ্য, পানি ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মারাত্মক ঘাটতির কারণে গভীর বেদনাদায়ক ঘটনা ও আঘাতের সম্মুখীন হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ২৮ জন শিশু নিহত এবং অন্তত ১৬০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, হত্যা ও পঙ্গু করা, অপহরণ, হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা এবং মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা শিশুদের অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন।

ইউনিসেফ জরুরি ভিত্তিতে সব পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে, মানবিক প্রবেশাধিকারের অনুমতি দিতে এবং সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা ৫৬ বছর ধরে দমবন্ধ দখলদারিত্বের শিকার। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ হামাসের আক্রমণকে ন্যায্যতা দেয় না। তেমনি হামাসের হামলার বিপরীতে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হামলা চালানোও ন্যায়সঙ্গত নয়।