ইসরাইলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে ৩০০ জন গাজাবাসী নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগ শিশু ও নারী বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই হাজার ২০০ জনে। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরাইলি নিহত হয়েছে কমপক্ষে এক হাজার ৩০০ জন।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) এ দাবি করে সরকারি সংস্থাটি। গেল ৫০ বছরের ইতিহাসে হমাসের হামলায় একসঙ্গে এত ইসরাইলি নিহতের ঘটনা এই প্রথম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় একদিনে ৩০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৮০০ ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে, শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা শহর থেকে সব বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরাইল। তবে, বাসিন্দারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে হামাস জানিয়েছে, তারা শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই চালিয়ে যাবে। হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যুরোর প্রধান বাসেম নাইম বলেন, আমাদের কাছে দুটি বিকল্প আছে। হয় এই দখলদারিত্বকে পরাস্ত করব, নতুবা বাড়িতেই প্রাণ দেব। আমরা গাজা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না।
পরে ওই দিন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। পদাতিক বাহিনী ও ট্যাঙ্ক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গেল ৭ অক্টোবর ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এই হামলায় ইসরাইলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৩০০ জন। এ ঘটনায় ইসরাইলের বেশ কিছু নাগরিককে বন্দি করেছে হামাস। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরাইল।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলায় ইতোমধ্যে গাজায় এক হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫০০ শিশু ও ২৭৬ জন নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৬১২ জন।