রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও লালবাগে অনুমোদনহীন বিভিন্ন ধরনের নকল পন্য সামগ্রী মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ১০ টি প্রতিষ্ঠানকে ভেজাল বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ১ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বুধবার বিকেল ৪ টায় র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) আমিনুল ইসলাম জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে আজ বুধবার ভোর রাত ৫ টা পর্যন্ত র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি দল রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও লালবাগ পৃথক দুটি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় অভিযানকালে বিএসটিআই’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে উল্লেখিত এলাকায় অনুমোদনহীন নকল প্লাস্টিকের পন্য, প্রসাধনী সামগ্রী, শিশু খাদ্য ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান এবং অনাদায়ে এক জনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
র্যাব-১০ এর এ কর্মকর্তা জানান, জরিমানা করা প্রতিষ্টান গুলোর মধ্যে রয়েছে মাইশা এন্টারপ্রাইজ’কে নগদ- ৪ লাখ টাকা, কামাল প্যাকেজিং’কে নগদ- ৪ লাখ টাকা, বকুল প্যাকেজিং কোম্পানী’কে নগদ- ৪ লাখ টাকা, র্যামন ফ্লাওয়ার মিলস্’কে নগদ- ৩ লাখ টাকা, এ.এম.জেড ফুড এন্ড বেভারেজ’কে নগদ- ৪ লাখ টাকা, শেখ ফরিদ মার্কেটিং লিমিডেট’কে নগদ- ৪ লাখ টাকা, ইএসপিএন ক্যাবল’কে নগদ- ২ লাখ টাকা, ক্লাসিক কর্পোরেশন পিভিসি’কে নগদ- ২ লাখ টাকা, আনন্দ প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ’কে নগদ- ২ লাখ টাকা, মনি প্লাস্টিক হাউজ’কে নগদ- ২ লাখ টাকা, রিমি প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ’কে নগদ- ৫ লাখ টাকা ও চমক স্টার্ট পলিমার ইলেকট্রিক পাইপ’কে নগদ- ২ লাখ টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন।
আমিনুল ইসলাম জানান, এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে ওই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা মূল্যের নকল প্লাস্টিকের জব্দকৃত পলিথিন ধ্বংস করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন নকল প্লাস্টিকের পন্য, প্রসাধনী সামগ্রী, শিশু খাদ্য ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল।