ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গোয়াইনঘাটে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন ভোলা জেলার উন্নয়ন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা হবে : আমিনুল হক মহিলালীগ নেত্রী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও এনজিওকর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি ভোলায় ডিবির অভিযানে বিপুল পরিমান চোরাই মালামালসহ আটক-১ কুমিল্লার কুখ্যাত কিশোর গ্যাং ‘রতন’ গ্রুপের সদস্য গ্রেপ্তার পবিপ্রবি বরিশাল ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, বিপাকে শিক্ষার্থীরা অবৈধ ট্রাক্টরট্রলি বন্ধে কমলনগরে অবস্থান কর্মসূচি পালন। জামালপুর ৩৫ বিজিবির উদ্যোগে বিওপি পর্যায়ে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে এফএনবি’র উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ।

বর্তমানে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ ডেঙ্গু ঝুঁকিতে: ডব্লিউএইচও

ডেঙ্গু  নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।  সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে মশাবাহিত ডেঙ্গু ঝুঁকিতে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ।  বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অতিবর্ষণজনিত কারণে বন্যার প্রকোপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুর বিস্তার। আক্রান্ত রোগীর হিসেবে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে এই রোগটি রেকর্ড করতে পারে।

শুক্রবার (২১ জুলাই) জাতিসংঘের এক প্রেস কনফারেন্সের এ সতর্কবার্তা দেন ডাব্লিউএইচওর গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগের ইউনিট প্রধান রমন ভেলাউধন।

ডব্লিউএইচও বলছে, বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের সংখ্যা। এই মুহূর্তে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বৃষ্টিবহুল ও উষ্ণ অঞ্চলে অকল্পনীয় দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে রোগটি। বর্তমানে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা না গেলে চলতি বছরই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হবেন। সামনের দিনে আসতে পারে ডেঙ্গু মহামারির ঘোষ

ভেলাউধন বলেন, “ডাব্লিউএইচও ২০০০-২০২২ সালের মধ্যে ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে আটগুণ বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে। এ সময় আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ থেকে বেড়ে ৪২ লাখ হয়েছে।”

এ ছাড়াও প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। কারণ সংস্থাটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরো বেশি সঠিক পরিসংখ্যান পেয

তিনি বলেন, “বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। ডেঙ্গু আনুমানিক ১২৯টি দেশকে প্রভাবিত করে।” প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ৪০০ আক্রান্তের খবর নথিভুক্ত করা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ডা. রমন ভেলাইউধান আরও বলেন, “ঘুমানোর সময়ে মশারির ব্যবহার, বাসাবাড়ি ও অফিস আদালতে পানি জমতে না দেওয়া- এগুলো হয়তো খানিকটা সুরক্ষা দিতে পারে। কিন্তু এই রোগটি ঠেকানোর সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হলো এডিস মশা ও সেটির প্রজনন ক্ষেত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস করা। তাই ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে বিশ্ববাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গোয়াইনঘাটে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন

বর্তমানে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ ডেঙ্গু ঝুঁকিতে: ডব্লিউএইচও

আপডেট সময় ০১:৩২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩

ডেঙ্গু  নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।  সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে মশাবাহিত ডেঙ্গু ঝুঁকিতে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ।  বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অতিবর্ষণজনিত কারণে বন্যার প্রকোপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুর বিস্তার। আক্রান্ত রোগীর হিসেবে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে এই রোগটি রেকর্ড করতে পারে।

শুক্রবার (২১ জুলাই) জাতিসংঘের এক প্রেস কনফারেন্সের এ সতর্কবার্তা দেন ডাব্লিউএইচওর গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগের ইউনিট প্রধান রমন ভেলাউধন।

ডব্লিউএইচও বলছে, বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের সংখ্যা। এই মুহূর্তে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বৃষ্টিবহুল ও উষ্ণ অঞ্চলে অকল্পনীয় দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে রোগটি। বর্তমানে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা না গেলে চলতি বছরই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হবেন। সামনের দিনে আসতে পারে ডেঙ্গু মহামারির ঘোষ

ভেলাউধন বলেন, “ডাব্লিউএইচও ২০০০-২০২২ সালের মধ্যে ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে আটগুণ বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে। এ সময় আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ থেকে বেড়ে ৪২ লাখ হয়েছে।”

এ ছাড়াও প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। কারণ সংস্থাটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরো বেশি সঠিক পরিসংখ্যান পেয

তিনি বলেন, “বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। ডেঙ্গু আনুমানিক ১২৯টি দেশকে প্রভাবিত করে।” প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ৪০০ আক্রান্তের খবর নথিভুক্ত করা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ডা. রমন ভেলাইউধান আরও বলেন, “ঘুমানোর সময়ে মশারির ব্যবহার, বাসাবাড়ি ও অফিস আদালতে পানি জমতে না দেওয়া- এগুলো হয়তো খানিকটা সুরক্ষা দিতে পারে। কিন্তু এই রোগটি ঠেকানোর সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হলো এডিস মশা ও সেটির প্রজনন ক্ষেত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস করা। তাই ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে বিশ্ববাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”