আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল আশঙ্কা করছে যে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি মেটাভার্সের কারণে নতুন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান অপরাধগুলোও আরও বড় পরিসরে ঘটবে।
ইন্টারপোলের টেকনোলজি ও ইনোভেশনের নির্বাহী পরিচালক মদন ওবেরয় বলেছেন, মেটাভার্সে সম্ভাব্য অপরাধগুলো দমনে কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায় তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইন্টারপোলের সদস্য দেশগুলো। তিনি বলেন, মেটাভার্সের মাধ্যমে কিছু নতুন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হতে পারে, কিছু বিদ্যমান অপরাধ নতুন মাত্রা পেতে পারে।
ওবেরয় বলেন, ফিশিং এবং স্ক্যামের ধরন বদলে যেতে পারে। শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটে বাস্তব জগতে অপরাধকে আরও সহজ করে তুলতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।
প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, মেটাভার্সের কারণে ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগতকে মনে হবে বাস্তব জগতের মতো যেখানে মানুষের যোগাযোগ হবে বহুমাত্রিক। মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি কোন কিছু শুধু দেখতেই পাবেন না, তাতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতেও সক্ষম হবেন।
তিনি বলেন, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যদি কোথাও হামলা করার পরিকল্পনা করে তবে তারা ভার্চুয়াল রিয়েলিটের মাধ্যমে তারা আগে অনুশীলন করতে পারে।
চলতি বছরের শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ইউরোপোল একটি প্রতিবেদনে বলেছে যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো ভবিষ্যতে নানা কাজে ভার্চুয়াল রিয়েলেটি ব্যবহার করতে পারে। উগ্রবাদী নিয়ম দিয়ে কেউ কেউ আলাদা একটা ভার্চুয়াল বিশ্বও তৈরি করতে পারে।
২০২১ সাল থেকে মেটাভার্স শব্দটা প্রযুক্তি বিশ্বে পরিচিত হয়ে ওঠে। ধারণা করা হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলেটে দ্রুতই জনপ্রিয়তা পাবে এবং ইন্টারনেটের বিকাশে নতুন মাত্রা আনবে মেটাভার্স। ২০২১ সালের অক্টোবরে ফেসবুকও তার নাম বদলে মেটা করে। ফেসবুকের এই নামবদলও মেটাভার্সের ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়।